ফিলিস্তিনের মুক্তি আন্দোলনের প্রতি সহানুভূতিশীল সংগঠনগুলোকে এখন থেকে আর ইসরায়েলের স্কুলে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স-এর এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, এরইমধ্যে স্কুলে ওই সংগঠনগুলোর প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করতে ইসরায়েলি পার্লামেন্ট নেসেটে আইন পাস হয়েছে। আইনটিকে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের পরিপন্থী আখ্যা দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা মনে করেন, শিক্ষা ও সঠিক গণতন্ত্রের শিক্ষা দিতে হলে সবার কথাই শুনতে হবে শিশুদের।
ইসরায়েলের স্কুলগুলোতে এতোদিন ফিলিস্তিনের প্রতি সহানুভূতিশীল সংগঠন ও ব্যক্তিরা প্রবেশ করতে পারত। তারা বিভিন্ন বিষয়ভিত্তিক পাঠদানও করতে পারত। ১২০ আসনের নেসেটে (ইসরায়েলি পার্লামেন্ট) এই প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধের প্রস্তাব উঠলে পক্ষে ভোট দেন ৪৩ জন আর বিরোধিতা করেন ২৪ জন। ফলে স্কুলে ফিলিস্তিনের পক্ষের সংগঠনগুলোকে নিষিদ্ধ করার প্রস্তাবটি আইনে পরিণত হয়। এই আইন অনুযায়ী দেশটির শিক্ষামন্ত্রী নাফাতি বেনেট এখন চাইলেই যে কাউকে লেকচার দেওয়া থেকে বিরত রাখার জন্য স্কুলগুলোকে নির্দেশ দিতে পারবেন।
বিশ্লেষকদের উদ্ধৃত করে রয়টার্স জানিয়েছে, এই আইনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ক্ষুন্ন হবে। বাকস্বাধীনতা অনিশ্চিত হয়ে পড়বে।