X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের আমদানি বাড়বে যুক্তরাষ্ট্রে: জরিপ

ব্রজেশ উপাধ্যায়, ওয়াশিংটন
২১ জুলাই ২০১৮, ১০:৫৯আপডেট : ২১ জুলাই ২০১৮, ১১:০৭

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের মধ্যকার বাণিজ্য দ্বন্দ্ব বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমেরিকার ফ্যাশন শিল্পগুলোতে বাংলাদেশে তৈরি পোশাকের আমদানি অনেক বেড়ে যাবে। জুলাই মাসে যুক্তরাষ্ট্রের পোশাক তৈরি ও বিক্রেতাদের সংগঠন ইউএস ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন-ইউএসএফআইএ পরিচালিত এক জরিপে এই তথ্য জানা গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বহুজাতিক ফ্যাশন ব্র্যান্ড ও বিক্রেতা, নীতিনির্ধারক এবং বৈশ্বিক সংবাদমাধ্যমগুলো থেকে নেওয়া তথ্যের মাধ্যমে ওই জরিপের প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। আর জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ৬৭ শতাংশই মনে করেন, আগামী দুই বছরের মধ্যে চীন থেকে পোশাক আমদানি কমে যাবে। ফলে বাংলাদেশ থেকে পোশাক আমদানি রেকর্ড মাত্রায় বাড়বে।

বাংলাদেশ থেকে পোশাক আমদানি রেকর্ড মাত্রায় বাড়তে পারে

‘ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রি বেঞ্চমার্কিং স্টাডি-২০১৮’ নামে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন শিল্পগুলোতে পোশাক সরবরাহকারী দেশের তালিকায় গত বছর বাংলাদেশের অবস্থান ছিল সপ্তম, যা এ বছর হয়েছে পঞ্চম।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, জরিপের উত্তরদাতারা চীনের বিকল্প হিসেবে আগামী দুই বছরে বাংলাদেশ থেকে পোশাক আমদানি করতে বেশি আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এখনই পোশাক আমদানিতে শীর্ষ স্থান থেকে চীনকে সরানো সম্ভব নয়। কিন্তু এশিয়ার অন্য অনেক সরবরাহকারীর চেয়ে ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ পণ্য অনেক বেশি গুরুত্ব পাবে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জরিপের প্রায় অর্ধেক উত্তরদাতা মনে করেন, ২০২০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে পোশাক আমদানি আরও বাড়বে। যা ২০১৭ সালে কাপড় আমদানির তুলনায় ৩২ শতাংশ বেশি হতে পারে। তবে বাংলাদেশের ‘কমপ্লায়েন্স ঝুঁকি’ উদ্বেগের কারণ হিসেবে এখনও রয়ে গেছে এবং এটাকে বড় ধরনের দুর্বলতা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

জরিপ প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্পের সামাজিক দায়িত্ব সংক্রান্ত সমস্যাগুলো শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যম ও জনগণের মনযোগের কেন্দ্রে রয়েছে। এসব গার্মেন্টস কারখানার নিরাপত্তাহীনতার পাশাপাশি শ্রমিকদের চিকিৎসা, পুনর্বাসন সংক্রান্ত স্পর্শকাতর বিষয়ে উদাসীনতা রয়েছে।

ইউএসএফআইএ’র প্রেসিডেন্ট জুলিয়া হজেস বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও তার অন্যতম বাণিজ্য অংশীদার চীনের মধ্যকার ক্রমবর্ধমাণ বাণিজ্য যুদ্ধ এই মুহুর্তে জনপ্রিয় ব্র্যান্ড ও বিক্রেতাদের জন্য ‌‘‌অনিশ্চয়তা’ তৈরি করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের সংরক্ষণবাদী বাণিজ্য নীতি ২০১৮ সালেও যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন কোম্পানিগুলোর জন্য প্রধান চ্যালেঞ্জ হিসেবেই থাকবে।

জরিপের উত্তরদাতাদের ৬০ ভাগই বিষয়টিকে এ বছর ব্যবসায়ের শীর্ষ ৫ চ্যালেঞ্জের মধ্যেই রেখেছেন। তবে জুলিয়া বলেন, ‘সবকিছুই নেতিবাচক নয়। আমাদের উত্তরদাতারা পাঁচ বছরের শিল্পের অবস্থা নিয়ে আরও বেশি আশাবাদী। প্রথমবারের মতো শতভাগ মানুষ জানিয়েছেন, তারা আগামী পাঁচ বছরের জন্য আরও বেশি কর্মচারী নিয়োগ দেওয়ার পরিকল্পনা করেছেন।’

 

/আরএ/এএ/
সম্পর্কিত
ইউরোপ ধ্বংস হয়ে যেতে পারে: ম্যাক্রোঁ
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিমার্কিন মানবাধিকার প্রতিবেদনে ভিত্তিহীন তথ্য রয়েছে
মহাকাশে অস্ত্র প্রতিযোগিতা বন্ধে জাতিসংঘের ভোটে রাশিয়ার ভেটো
সর্বশেষ খবর
জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ককে দল থেকে বহিষ্কার
জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ককে দল থেকে বহিষ্কার
সড়কে প্রাণ গেলো মোটরসাইকেল আরোহী বাবা-ছেলের
সড়কে প্রাণ গেলো মোটরসাইকেল আরোহী বাবা-ছেলের
দেশের তথ্যপ্রযুক্তি বিশ্ব দরবারে উপস্থাপন করতে চান রাশেদুল মাজিদ
দেশের তথ্যপ্রযুক্তি বিশ্ব দরবারে উপস্থাপন করতে চান রাশেদুল মাজিদ
আগুন নেভাতে ‘দেরি করে আসায়’ ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে হামলা, দুই কর্মী আহত
আগুন নেভাতে ‘দেরি করে আসায়’ ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে হামলা, দুই কর্মী আহত
সর্বাধিক পঠিত
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা