X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

কেন প্রধানমন্ত্রিত্বের দৌড়ে এগিয়ে ইমরান খান?

মাহাদী হাসান
২৫ জুলাই ২০১৮, ১৭:৫৯আপডেট : ২৬ জুলাই ২০১৮, ০১:৪৫

সেনা পাহারায় অনুষ্ঠিত পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচন নিয়ে দেওয়া আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোর পর্যবেক্ষণে সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এগিয়ে রাখা হয়েছে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের প্রধান ইমরান খানকে। বেশিরভাগ বিশ্লেষক ধারণা করছেন, তিনিই হতে যাচ্ছেন পাকিস্তানের পরবর্তী নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী। দৌঁড়ে এগিয়ে থাকার নেপথ্যে রয়েছে ক্রিকেটার হিসেবে ইমরানের জনপ্রিয়তা আর স্বচ্ছ ভাবমূর্তি। সরাসরি দুর্নীতির অভিযোগ না থাকায় রাজনৈতিক দুর্নীতিতে জর্জরিত পাকিস্তানে তিনি জনগণের কাছে প্রিয় মানুষ। পাকিস্তানের নির্বাচনে ধর্ম আর যুক্তরাষ্ট্র-বিরোধিতা গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করে। ইমরান অব্যাহতভাবে যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করেছেন, বিরোধিতা করেছেন মার্কিন নীতির। এসবের সঙ্গে রয়েছে, সেনাবাহিনীর সঙ্গে সখ্যের বিষয়টি। গত কিছুদিনে বেশকিছু সংবাদমাধ্যম তাদের প্রতিবেদন ও বিশ্লেষণে দেখিয়েছে, আসলে ইমরান খানকেই ক্ষমতায় আনার চেষ্টা করছে সেখানকার প্রভাবশালী সামরিক বাহিনী।

কেন প্রধানমন্ত্রিত্বের দৌড়ে এগিয়ে ইমরান খান?

বিভিন্ন ধরনের উৎকণ্ঠার মধ্যেই বুধবার অনুষ্ঠিত হয় পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের নির্বাচন। নির্বাচনে ৩ হাজার ৪৫৯জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। পাকিস্তানে এখন মোট ভোটার সংখ্যা ১০ কোটি ৬০ লাখ। নির্বাচনের আগে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের কারাদণ্ড, সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ, নির্বাচনি প্রচারণায় হামলায় শতাধিক মানুষের মৃত্যু ও সশস্ত্রগোষ্ঠীর রাজনীতিতে প্রবেশসহ বিভিন্ন আলোচিত বিষয় রয়েছে। আর এ কারণেই মানুষের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে বেশ উৎকণ্ঠা কাজ করছে। বেশিরভাগ আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম প্রধানমন্ত্রিত্বের দৌড়ে ইমরান খানকে এগিয়ে রেখেছে।
১৯৯৬ সালে জাস্টিস মুভমেন্ট নামে একটি দল গঠন করেন ইমরান। অনেকদিন চেষ্টা করলেও রাজনৈতিকভাবে শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করতে পারেননি তিনি। পার্লামেন্টে কোনও আসন পায়নি দলটি। এমনকি একটা সময় ইমরান উপহাসের পাত্রে পরিণত হন। নওয়াজ শরীফের দল ও ভুট্টো পরিবারের পাকিস্তান পিপলস পার্টি তখন সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী। সারাদেশজুড়ে তখন তাদের নেটওয়ার্ক বিস্তৃত। এখন পরিস্থিতি অনেকটাই পাল্টেছে। ইমরান খান ও তার দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ এখন সবচেয়ে সম্ভাবনাময় দল। যেকোনও জনসমাবেশে ইমরান বলে উঠেন, ‘পাকিস্তানকে কে বাঁচাবে?’ উচ্ছসিত জনতা তখন চিৎকার করে ওঠে ‘ইমরান খান! ইমরান খান!’ পাকিস্তানের অনেক এলাকাতে এখনও স্থানীয় নেতা ও গোত্রপ্রধানরা প্রভাব বিস্তার করে। তাদের কাছ থেকে অনেক ভালো সমর্থন পেতে পারেন ইমরান। অনেক কট্টরপন্থী মুসলিমরাও এখন ইমরানের অতীতকে ভুলে তাকে সমর্থন দিতে শুরু করেছে। মধ্যপ্রাচ্যে ক্রেন অপারেটর হিসেবে কাজ করা পাকিস্তানি তানভীর হায়দার বলেন, ‘আগে সে কেমন ছিলো সেটা তার ব্যাপার। কিন্তু সে দেশের জন্য কি করবে আমি সেটাই দেখবো। বাকিসব রাজনীতিবিদদের চেয়ে তিনিই দেশের জন্য সবচেয়ে বেশি কিছু করবে।

কেন প্রধানমন্ত্রিত্বের দৌড়ে এগিয়ে ইমরান খান?

ইমরান খানের জীবনযাপন সবসময়ই জাকজমকপূর্ণ ছিল। অবস্থাসম্পন্ন এক পরিবারে জন্ম তার। পড়াশোনা করেছেন অক্সফোর্ডে। অনেক বিখ্যাত নারী ও তারকার সঙ্গে ছিল প্রেমের সম্পর্ক। ছিলেন অত্যন্ত জনপ্রিয় একজন ক্রিকেটার, সর্বকালের সেরাদের অন্যতম। তাই সাধারণ পাকিস্তানিদের তুলনায় তার অভিজ্ঞতা অন্যরকম। ১৯৯২ সালে পাকিস্তানকে ক্রিকেট বিশ্বকাপ জেতানোর পরই তারকা বনে যান ইমরান। ফাইনালে তারা সেবার হারিয়েছিলো ইংল্যান্ডকে, যারা একসময় এই অঞ্চল শাসন করে গেছে। তাই জাতীয়ভাবে নায়কোচিত আসনে বসে যান এই তারকা। বিশ্বজয়ের উৎসবের মধ্যমণিই ছিলেন তখন ইমরান। সেসময় ৩৯ বছর বয়সী ইমরান কাঁধের ইনজুরিতেও ভুগছিলেন। কয়েকবছর পরই পাল্টে যান ইমরান। তার মা ক্যান্সারে মারা যাওয়ার পর একটি ক্যান্সার হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার জন্য লাখ লাখ ডলার সংগ্রহ করেন। এরপর ইসলামিমনাও হতে থাকেন ধীরে ধীরে। কমতে থাকে ক্যামেরার সামনে আসা, পাদপ্রদীপের আলো থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে নিতে থাকেন। তার দাবি ছিলো, এমন জীবন কখনোই শান্তি এনে দেয়নি তাকে।
নিউ ইয়র্ক টাইমস-এর এক বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, ক্রিকেটের পিচেই আন্তর্জাতিক খ্যাতি শুরু হয় ইমরান খানের। এছাড়া লন্ডনের নাইটক্লাবেও রয়েছে বিতর্কিত ঘটনা। তবে গত ২০ বছরে পাকিস্তানের ক্ষমতা নেওয়াই তার প্রধান লক্ষ্য। আর এজন্য অনেকটাই নিজেকে পাল্টে ফেলেছেন তিনি। এখন বেশ ধার্মিক জীবনযাপন করেন এই সাবেক ক্রিকেটার। পার্টিতেও যান না। বরাবরই যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধিতা করে এসেছেন। তবে তার রাজনৈতিক দলের প্রতীক অবশ্য ক্রিকেট ব্যাটই রয়ে গেছে। পাকিস্তানের নির্বাচনে এই ব্যাটের শট দিয়েই প্রতিপক্ষকে হারিয়ে দায়িত্ব নেবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। পাকিস্তানজুড়েই ইমরান খানের জনপ্রিয়তা অনেক। নিজের তারকাখ্যতি ও টাকা ব্যবহার করে দুর্নীতিবিরোধী প্রচারণা চালিয়েছেন সাবেক এই ক্রিকেট তারকা। দারিদ্রের শিকার এই দেশটিতে দুর্নীতি আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে আছে। অনেকদিন ধরেই একের পর এক রাজনৈতিক পালাবদল দেখেছে পাকিস্তানিরা। কিন্তু পরিস্থিতির পরিবর্তন দেখেনি। সরকারি হাসপাতালগুলোর বেহাল দশা অনেকদিন ধরেই। এশিয়াতে সবচেয়ে বেশি শিশুমৃত্যুহার এই দেশটিতে। প্রতিবছর নির্মাণ শ্রমিক কিংবা গাড়িচালক হওয়ার জন্য হলেও দেশত্যাগ করে লাখ লাখ তরুণ। কারণ দেশে কর্মসংস্থানের অভাব প্রকট। আর এই সব সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়ে নিজেকে জনপ্রিয়তার শিখরে তুলেছেন ইমরান খান। পাকিস্তানের বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কর্নেল ইনস্টিটিউট অব পাবলিক অ্যাফেয়ার্সের রাজনীতি বিশ্লেষক রাজা রুমি বলেন, ‘তার বিরুদ্ধে সরাসরি কোনও দুর্নীতির অভিযোগ নেই। পাকিস্তানের রাজনীতিবিদদের মধ্যে যা খুবই বিরল।’

ক্রিকেট বিশ্বকাপ হাতে ইমরান খান

শুধু ধার্মিক জীবন আর ‘ক্লিন ইমেজ’ ইমরানের সাফল্যের একমাত্র রহস্য না। মানবাধিকার কর্মী ও ইমরান খানের প্রতিদ্বন্দ্বিদের দাবি পাকিস্তানের রাজনীতিতে সেনা হস্তক্ষেপ রয়েছে। প্রভাব রয়েছে সংবাদমাধ্যমের ওপরও। কিছুদিন আগেই তিনবারের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। একবছর আগেই তাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছিলো। ধারণা করা হয় এসবকিছুই আসলে সামরিক চাপেই হয়েছে। পানামা পেপারস দুর্নীতিকে কারণ দেখিয়ে ২০১৭ সালের জুলাইয়ে নওয়াজকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অযোগ্য ঘোষণা করে পাকিস্তানের সর্বোচ্চ আদালত। লন্ডনে বিলাসবহুল ফ্ল্যাট ক্রয়সংক্রান্ত দুর্নীতির কারণে তাকে দেওয়া হয় কারাদণ্ড। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, এসব দুর্নীতি নয়, নওয়াজের পরিণতির কারণ সেনা বিরোধিতা। ১৯৯৯ সালে তৎকালীন সেনাপ্রধান পারভেজ মোশাররফকে বরখাস্ত করার মাধ্যমে যার সূচনা করেছিলেন নওয়াজ। সেনাবাহিনীর নওয়াজবিরোধী ভূমিকাও কারও অজানা নয়।
প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ডন জানিয়েছিল, নওয়াজবিরোধী অবস্থান থেকেই গত মার্চে নির্দিষ্ট কিছু সাংবাদিককে ডেকে নিয়ে ব্রিফিং করেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া। রাওয়ালপিন্ডির সেনা সদর দফতরে ওই ব্রিফিংয়ে অন্তত ৩০ জন সম্পাদক ও জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক, টিভি উপস্থাপক ও সংবাদমাধ্যমের মালিক উপস্থিত ছিলেন। সেখানে উপস্থিত থাকা একজন জ্যেষ্ঠ বিশ্লেষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে এশিয়া টাইমস’কে সে সময় জানিয়েছিলেন, সেনাপ্রধান সোজাসুজি দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেছেন। এছাড়া দ্য ওয়্যার-এ প্রকাশিত বিশ্লেষণে কলামিস্ট মোহাম্মদ তাকি এই দুর্নীতির প্রসঙ্গে লিখেছেন, নিজের ভাগ্য গড়াটাই নওয়াজের মূল অপরাধ নয়, তার অপরাধ হলো সেনাবাহিনীর রাজনৈতিক ভাগ্যকে চ্যালেঞ্জ করা। নওয়াজ শরীফের দলের অনেক নেতাই এই রোষানলে পড়েছেন। অভিযোগ রয়েছে, নিরাপত্তা বাহিনীর এই তার দলকে নেতৃত্বহীন করে ফেলতে চায়। ক্ষমতায় আনতে চায় ইমরানকে।

কেন প্রধানমন্ত্রিত্বের দৌড়ে এগিয়ে ইমরান খান?
নিউইয়র্ক টাইমসের বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, ইমরান খানের দলের এবার বেশ কিছু সুযোগ আছে। এত সুযোগ থাকারও পরও ইমরানের হেরে যাওয়া কঠিন। ইমরান খান নিজেও বেশ আত্মবিশ্বাসী। খুব নির্ভার হয়েই কথা বলছেন সবসময়ই। আর একটা বিষয় হয়তো তার অনুকূলেই। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন সেনা সমর্থন এবার ইমরানেরই দিকে। বরাবরই সেনাবাহিনীর পক্ষ নিয়ে কথা বললেও ইমরানের দাবি তিনি সেনাবাহিনীর হয়ে কাজ করছেন না। নিউ ইয়র্ক টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, আমার মনে হয় গণতান্ত্রিক সরকার একটি নীতি মেনে চলে। আপনার যদি নৈতিক অবস্থান না থাকে তখনই যাদের ক্ষমতা আছে তার জোর খাটানোর চেষ্টা করে। আমার মতে পাকিস্তান সেনাবাহিনী আমাদের শত্রু নয়। তাদের নিয়েই আমি কাজ করতে চাই।’
পাকিস্তানে প্রত্যক্ষভাবে অনেকদিন ধরেই শাসন করেছে সেনাবাহিনী। ছিল রাজনৈতিক হস্তক্ষেপও। অনেক বিশ্লেষকরা সন্দিহান যে ইমরান খান জয়লাভ করলেও কতটা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবে। জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ক্রিস্টিন ফেয়ার বলেন, ‘ইমরান তাদের পুতুল। শুধুমাত্র সেনাবাহিনী ও আইএসআইয়ের কারণেই ইমরান আজ এই অবস্থানে। তারা নির্বাচনের আগ পর্যন্ত ইমরানের নেতৃত্বাধীন জোটের সমর্থন দিয়ে যাবে।’
আরও পড়তে পারেন:
সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ইমরান খানকে এগিয়ে রাখছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম

/বিএ/
সম্পর্কিত
চীনে আমেরিকার কোম্পানিগুলোর প্রতি ন্যায্য আচরণের আহ্বান ব্লিঙ্কেনের
মিয়াবতী থেকে পিছু হটলো মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা?
ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিতে গিয়ে অন্তত ৫ অভিবাসী নিহত
সর্বশেষ খবর
‘উন্নয়ন পক্রিয়ায় বাস্তুচ্যুত জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হবে’
‘উন্নয়ন পক্রিয়ায় বাস্তুচ্যুত জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হবে’
২৬ বছরের বন্ধুত্বের স্মৃতিচারণ করলেন মামুনুল
২৬ বছরের বন্ধুত্বের স্মৃতিচারণ করলেন মামুনুল
ভ্যাটেই মিলবে রাজস্ব, অথচ ভ্যাট বাড়াতে অনীহা
ভ্যাটেই মিলবে রাজস্ব, অথচ ভ্যাট বাড়াতে অনীহা
বাংলাদেশে দক্ষতা উন্নয়নে বিনিয়োগের ফল দৃশ্যমান হচ্ছে
গ্লোবাল স্কিলস ফোরামে বক্তারাবাংলাদেশে দক্ষতা উন্নয়নে বিনিয়োগের ফল দৃশ্যমান হচ্ছে
সর্বাধিক পঠিত
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা