মিসরে ২০১৩ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে কায়রোর রাবা স্কয়ারে বিক্ষোভের ঘটনায় মুসলিম ব্রাদারহুডের সিনিয়র নেতাসহ ৭৫ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে দেশটির একটি আদালত। তাদের বিরুদ্ধে ‘অবৈধ বিক্ষোভ’ ও হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ এনেছে কর্তৃপক্ষ। তবে মিসরের আইন অনুযায়ী, বড় ধরনের যে কোনও দণ্ড আরোপের ক্ষেত্রে বিষয়টি গ্র্যান্ড মুফতির কাছে পাঠাতে হয়। সে অনুযায়ী শনিবার মামলাটি গ্র্যান্ড মুফতির কাছে হস্তান্তরের কথা জানিয়েছে আদালত।
শনিবার আদালত জানিয়েছেন, তারা মামলাটি সর্বোচ্চ ধর্মীয় কর্তৃপক্ষ বা মুফতির কাছে স্থানান্তর করবেন। সেখানেই তাদের মৃত্যুদণ্ডের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
২০১২ সালের ৩০ জুন মিসরের নির্বাচিত প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণের এক বছরের মাথায় ২০১৩ সালের ৩ জুলাই সেনা অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হন মোহাম্মদ মুরসি। ক্ষমতায় আসেন সেনাপ্রধান জেনারেল সিসি। সেনাবাহিনীর ওই অভ্যুত্থানে সমর্থন দেয় ইসরায়েল, সৌদি আরব ও আরব আমিরাত। সামরিক অভ্যুত্থানকে স্বীকৃতি দিতে অস্বীকৃতি জানানোয় বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয় অন্তত ৪৭ জন বিচারককে।
জেনারেল সিসি ক্ষমতা দখলের পর মুরসির সমর্থনে রাজপথে জড়ো হওয়া ব্রাদারহুড সমর্থকদের ওপর চড়াও হয় সরকারি বাহিনী। হতাহত হন অনেকে। সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখলের পর ব্রাদারহুডকে নিষিদ্ধ করা হয়। কারাগারে পাঠানো হয় মোহাম্মদ মুরসিকে। মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় দলটির প্রায় হাজারখানেক নেতাকর্মীকে। গ্রেফতার করা হয় কয়েক হাজার মুরসি সমর্থককে।
সেনা অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভের ঘটনায় ব্রাদারহুড নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ‘অবৈধ বিক্ষোভ’ ও হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ আনে কর্তৃপক্ষ। ওই ঘটনায় শুধু চলতি জুলাই মাসেই এ পর্যন্ত অন্তত ১৮ জনকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সূত্র: আল জাজিরা।