X
বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪
১১ বৈশাখ ১৪৩১

কোনও সরকারের সুরক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব নয়: রাদ হোসেন

বিদেশ ডেস্ক
১২ আগস্ট ২০১৮, ১৭:৫৪আপডেট : ১২ আগস্ট ২০১৮, ১৮:০১
image

বিভিন্ন দেশের সরকারপক্ষকে সুরক্ষা দেওয়া নয়, বরং ব্যক্তি মানুষের সুরক্ষা নিশ্চিত করাকেই নিজের দায়িত্ব মনে করেন জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাই কমিশনার জেইদ রাদ আল হুসেন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে মানবাধিকার প্রশ্নে তার কাজ নিয়ে বিভিন্ন দেশের সরকারের সমালোচনার প্রসঙ্গ উঠলে তিনি এ মন্তব্য করেন। সাক্ষাৎকারে তিনি জাতিসংঘের অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে মানবাধিকার কমিশনের পার্থক্যও তুলে ধরেছেন। অতীতের ধারাবাহিকতায় তীব্র সমালোচনা করেছেন নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী ৫ সদস্য রাষ্ট্রের ভেটো ক্ষমতার।

রাদ আল হুসেন
চার বছর ধরে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাই কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন জেইদ রাদ আল হুসেন। আগস্টের শেষে মেয়াদ শেষ হচ্ছে তার। এরপর রাদ আল হুসেনের স্থলাভিষিক্ত হবেন চিলির সাবেক প্রেসিডেন্ট মিশেল বাচেলেট। চার বছরের দায়িত্ব পালনকালে বিশ্বজুড়ে মানুষের নিরাপত্তা ও মর্যাদার ওপর আক্রমণ হতে দেখেছেন রাদ আল হুসেন। মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর দেশটির সেনাবাহিনীর জাতিগত নিধনযজ্ঞ থেকে শুরু করে ইয়েমেন ও সিরিয়ায় ভয়াবহ যুদ্ধ প্রত্যক্ষ করেছেন তিনি। দেখেছেন মানবাধিকার লঙ্ঘিত হতে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ফিলিপাইনি প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুয়ার্তের মতো বিশ্বনেতাদের স্পষ্টবাদী সমালোচক রাদ আল হুসেন। বিদায়ী এ জাতিসংঘ কর্মকর্তা সম্প্রতি আল জাজিরাকে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। কোন কোন এলাকায় মানবাধিকারের প্রশ্নটি চরম চাপে আছে এবং সেখানকার স্বাধীনতার সুরক্ষায় কী করা উচিত তা নিজের অভিজ্ঞতার আলোকে বর্ণনা করেছেন তিনি।

মানবাধিকার হাই কমিশনার হিসেবে ভূমিকা নিয়ে বিভিন্ন দেশের সরকার রাদ আল হুসেনের সমালোচনা করে থাকে। এ ব্যাপারে আল জাজিরার পক্ষ থেকে জানতে চাওয়া হলে রাদ বলেন, ‘হাই কমিশনারের কাজ হলো কার্যকরীভাবে মানবাধিকারের দূত হওয়া। এর মানে হলো, আপনার মানবাধিকার আইন থাকবে এবং সে আইন মেনে চলতে দেশগুলোকে চাপ দেবেন। আর তারা যদি তা মেনে না চলে তখন আপনাকে অধিকার বঞ্চিত ও বৈষম্যের শিকার হয়ে আতঙ্কে বসবাস করা মানুষদের পাশে দাঁড়াতে হবে ও তাদের সুরক্ষা দিতে হবে। আমার কাজ সরকারগুলোকে রক্ষা করা নয়, সেটা তারা নিজেরাই করতে পারে। আমার কাজ হলো অন্য সব ব্যক্তির অধিকারের সুরক্ষা দেওয়া।’

বিদায়ী হাই কমিশনার আরও বলেন, ‘সেদিক থেকে আমি আগে থেকেই জানতাম যে, নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যদের সমর্থন পাচ্ছি না। প্রকৃতপক্ষে আমি তখনই বরং বিস্মিত হতাম, যখন আমি বাইরে থেকে দেখতাম যে হাই কমিশনার পাঁচ স্থায়ী দেশের সমর্থন পেয়েছেন। কারণ, তখন আমার সন্দেহ হতো যে তিনি (হাই কমিশনার) সঠিকভাবে কাজটি করবেন না। এটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না যে নিরাপত্তা পরিষদে ভেটো প্রদানের ক্ষমতা প্রয়োগের মধ্য দিয়ে স্থায়ী পাঁচ সদস্য নিউ ইয়র্কে সুবিধা ভোগ করছে। কিন্তু জেনেভায় তা হয় না। এখানে মানবাধিকার পরিষদের ৪৭ সদস্যের মধ্যে কাউকে আলাদা করে বিবেচনা করা হয় না। সেকারণে আমরা যারা মানবাধিকারের সুরক্ষায় কাজ করি তারা সবাই প্রত্যেকের মানবাধিকারের রেকর্ডকে আলাদা করে বিবেচনা করি। আর তারা (স্থায়ী সদস্য) তা পছন্দ করে না।’

/এফইউ/বিএ/
সম্পর্কিত
ট্রাম্পের বিচার চলাকালে আদালতের বাইরে গায়ে আগুন দেওয়া ব্যক্তির মৃত্যু
ট্রাম্পের বিচার চলাকালে আদালতের বাইরে গায়ে আগুন দিলেন এক ব্যক্তি
কানাডার ইতিহাসে বৃহত্তম স্বর্ণ ডাকাতির ঘটনায় গ্রেফতার ৬
সর্বশেষ খবর
বাংলাদেশ সফরে জিম্বাবুয়ে দলে কিংবদন্তির ছেলে
বাংলাদেশ সফরে জিম্বাবুয়ে দলে কিংবদন্তির ছেলে
রাফাহ শহরে আবারও অভিযান চালাবে  ইসরায়েল?
রাফাহ শহরে আবারও অভিযান চালাবে ইসরায়েল?
রাজনীতিক পঙ্কজ ভট্টাচার্যকে স্মরণ
রাজনীতিক পঙ্কজ ভট্টাচার্যকে স্মরণ
কক্সবাজার জেলার রোহিঙ্গা ভোটারদের তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট
কক্সবাজার জেলার রোহিঙ্গা ভোটারদের তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট
সর্বাধিক পঠিত
মিশা-ডিপজলদের শপথ শেষে রচিত হলো ‘কলঙ্কিত’ অধ্যায়!
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিমিশা-ডিপজলদের শপথ শেষে রচিত হলো ‘কলঙ্কিত’ অধ্যায়!
জরিপ চলাকালীন জমির মালিকদের জানাতে হবে: ভূমিমন্ত্রী
জরিপ চলাকালীন জমির মালিকদের জানাতে হবে: ভূমিমন্ত্রী
ব্যাংক একীভূতকরণ নিয়ে নতুন যা জানালো বাংলাদেশ ব্যাংক
ব্যাংক একীভূতকরণ নিয়ে নতুন যা জানালো বাংলাদেশ ব্যাংক
ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে যা জানালেন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান
ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে যা জানালেন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান
হংকং ও সিঙ্গাপুরে নিষিদ্ধ হলো ভারতের কয়েকটি মসলা
হংকং ও সিঙ্গাপুরে নিষিদ্ধ হলো ভারতের কয়েকটি মসলা