পাকিস্তানের গত সাধারণ নির্বাচনে ইমরান খানের দল সর্বোচ্চ আসন পেলেও সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক আসন না পাওয়ায় আশাবাদী হয়ে উঠে বিরোধী শিবির। নিজেদের মধ্য থেকে একজনকে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করতে উদ্যোগী হয় পার্লামেন্টে দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে থাকা মুসলিম লীগ এবং পিপিপি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা নিজেরাই গৃহবিবাদে জড়িয়েছে। ফলে দৃশ্যত পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পথে পিটিআই নেতা ইমরান খানের জন্য আর কোনও বাধা থাকছে না। আগামী ১৮ আগস্ট এ পদের জন্য শপথ নিতে পারেন তিনি। বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে পাকিস্তানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডন।
বিরোধী শিবিরের মতপার্থক্যের কেন্দ্রে রয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের ভাই মুসলিম লীগ নেতা শাহবাজ শরিফ। পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাকেই দেখতে চায় পার্লামেন্টে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা মুসলিম লীগ। কিন্তু পিপিপি’র দাবি, এ পদের জন্য যেন শাহবাজ শরিফের বাইরে অন্য কাউকে মনোনয়ন দেওয়া হয়।
পিপিপি’র আপত্তির পক্ষে বলা হচ্ছে, ইতোপূর্বে শাহবাজ শরিফ পিপিপি’র কো-চেয়ারম্যান এবং পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট আলী আসিফ জারদারিকে নিয়ে ‘অবমাননাকর’ মন্তব্য করেছিলেন। মূলত এর জের ধরেই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে একক প্রার্থী বাছাইয়ে হোঁচট খায় বিরোধী শিবির। শেষ পর্যন্ত বিরোধী শিবির এ নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছাতে ব্যর্থ হলে তার ফল যাবে ইমরান খানের ঘরে। সেক্ষেত্রে ১৭ আগস্ট শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী পদে নির্বাচনে ইমরান খান ৩০ থেকে ৩৫ ভোটে এগিয়ে থাকতে পারেন। এমনটা হলে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার সম্ভাবনাই উজ্জ্বল এবং সুনিশ্চিত।