X
বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪
৫ বৈশাখ ১৪৩১

ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে গাজায় দুই ফিলিস্তিনি নিহত

বিদেশ ডেস্ক
১৭ আগস্ট ২০১৮, ২৩:৪৬আপডেট : ১৭ আগস্ট ২০১৮, ২৩:৪৮

চলতি বছর চার মাসেরও বেশি সময় ধরে গাজা উপত্যকায় দখলবিরোধী সাপ্তাহিক বিক্ষোভে ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে নিহত হয়েছে দুই ফিলিস্তিনি নাগরিক। ৭০ বছর আগে উচ্ছেদ হওয়া নিজেদের ভূমিতে ফিরতে চাওয়া এসব বিক্ষোভকারীকের ওপর চালানো গুলিতে এদিন আহত হয়েছে আরও তিন শতাধিক মানুষ। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এই খবর জানিয়েছে। ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে গাজায় দুই ফিলিস্তিনি নিহত
১৯৪৮ সালে ফিলিস্তিনি ভূমি দখল করে প্রতিষ্ঠিত হয় ইসরায়েল রাষ্ট্র। নিজেদের মাতৃভূমির দখল ঠেকাতে বিক্ষোভে নামলে ১৯৭৬ সালের ৩০ মার্চ ছয় ফিলিস্তিনিকে গুলি করে হত্যা করে ইসরায়েলি সেনারা। তারপর থেকে প্রতিবছর ৩০ মার্চ ‘ভূমি দিবস’ পালন করে আসছে ফিলিস্তিনিরা। এই বছর গ্রেট রিটার্ন অব মার্চ নামে ৩০ মার্চ থেকে ছয় সপ্তাহের বিক্ষোভ শুরু করলে ইসরায়েলি সেনারা নির্বিচার গুলি চালায়। এবারের বিক্ষোভে দেড়শতাধিক মানুষ নিহত হলে প্রতি শুক্রবার বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছে ফিলিস্তিনিরা। ১৭ আগস্ট ২১তম শুক্রবারে বিক্ষোভ দেখায় ফিলিস্তিনি মুক্তিকামীরা।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল-কিদরা জানান, শুক্রবার গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফা এলাকার পূর্ব দিকে ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে সাদি আকরাম মুয়াম্মার (২৬) নামে এক ফিলিস্তিনি নিহত হন। এর আগে দূর থেকে নিশানাবেদে পারদর্শী ইসরায়েলি সেনার গুলিতে মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন করিম আবু ফাতায়ার (৩০) নামে আরেক ফিলিস্তিনি।

এছাড়া ইসরায়েলি সেনাদের ছোঁড়া গুলি ও টিয়ারগ্যাসে আক্রান্ত হয়ে এদিন আহত হয়েছে তিন শতাধিক ফিলিস্তিনি নাগরিক।

এ বছর মার্চ মাসে গ্রেট মার্চ অব  রিটার্ন আন্দোলন শুরু হওয়ার পর এ পর্যন্ত ১৬৬ জন ফিলিস্তিনি ইসরায়েলি গুলিতে নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও কয়েক হাজার। গাজা উপত্যকায় ১১ বছর ধরে ইসরায়েলের আরোপিত অবরোধ প্রত্যাহার এবং জেরুজালেমে দখলকৃত ভূমিতে ফিরে যাওয়ার দাবিতে ফিলিস্তিনিরা বিক্ষোভ করছেন।

/জেজে/
সম্পর্কিত
আত্মরক্ষার সিদ্ধান্ত আমরা নিজেরাই নেব: নেতানিয়াহু
যেকোনও ইসরায়েলি হামলা মোকাবিলায় প্রস্তুত সেনাবাহিনী: ইরান
ইরানের ওপর আসতে পারে আরও নিষেধাজ্ঞা
সর্বশেষ খবর
‘সামরিক বাহিনীতে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় আইন কর্মকর্তাদের পেশাগত মানোন্নয়ন জরুরি’
সামরিক বিচার ব্যবস্থা নিয়ে সেমিনারে বিমান বাহিনী প্রধান‘সামরিক বাহিনীতে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় আইন কর্মকর্তাদের পেশাগত মানোন্নয়ন জরুরি’
ইসরায়েলের সঙ্গে চুক্তির বিরোধিতা, ২৮ কর্মীকে বহিষ্কার করলো গুগল
ইসরায়েলের সঙ্গে চুক্তির বিরোধিতা, ২৮ কর্মীকে বহিষ্কার করলো গুগল
বরেন্দ্র অঞ্চলে পানির জন্য বাড়ছে হাহাকার
বরেন্দ্র অঞ্চলে পানির জন্য বাড়ছে হাহাকার
চট্টগ্রামে তিন ভাইবোনকে হত্যা: ২ জনের মৃত্যুদণ্ড
চট্টগ্রামে তিন ভাইবোনকে হত্যা: ২ জনের মৃত্যুদণ্ড
সর্বাধিক পঠিত
এএসপি বললেন ‌‘মদ নয়, রাতের খাবার খেতে গিয়েছিলাম’
রেস্তোরাঁয় ‘মদ না পেয়ে’ হামলার অভিযোগএএসপি বললেন ‌‘মদ নয়, রাতের খাবার খেতে গিয়েছিলাম’
মেট্রোরেল চলাচলে আসতে পারে নতুন সূচি
মেট্রোরেল চলাচলে আসতে পারে নতুন সূচি
‘আমি এএসপির বউ, মদ না দিলে রেস্তোরাঁ বন্ধ করে দেবো’ বলে হামলা, আহত ৫
‘আমি এএসপির বউ, মদ না দিলে রেস্তোরাঁ বন্ধ করে দেবো’ বলে হামলা, আহত ৫
রাজধানীকে ঝুঁকিমুক্ত করতে নতুন উদ্যোগ রাজউকের
রাজধানীকে ঝুঁকিমুক্ত করতে নতুন উদ্যোগ রাজউকের
ফিলিস্তিনের পূর্ণ সদস্যপদ নিয়ে জাতিসংঘে ভোট
ফিলিস্তিনের পূর্ণ সদস্যপদ নিয়ে জাতিসংঘে ভোট