শরণার্থী ইস্যুতে গ্রিসের সঙ্গে একটি চুক্তিতে উপনীত হয়েছে জার্মান। শুক্রবার স্বাক্ষরিত এ চুক্তি অনুযায়ী, গ্রিসে যারা প্রথম আশ্রয় চেয়েছিলেন কিন্তু বর্তমানে জার্মানিতে রয়েছেন তাদের গ্রিসেই ফেরত পাঠানো হবে। জার্মান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে।
এর আগে স্পেনের সঙ্গেও জার্মানির একই ধরনের সমঝোতা হয়েছে। শুক্রবার গ্রিসের সঙ্গে স্বাক্ষরিত চুক্তির ফলে এখন অনেক শরণার্থীকে গ্রিসে ফেরত পাঠাতে পারবে জার্মানি।
দক্ষিণ ইউরোপীয় দেশগুলোর সঙ্গে বেশ কিছুদিন ধরেই এ ধরনের চুক্তিতে আসার চেষ্টা করছে বার্লিন। যারা এরইমধ্যে অন্য কোনও ইউরোপীয় দেশে আশ্রয়ের আবেদন করেছেন, তাদের সেসব দেশে এমন চুক্তি অনুযায়ী ফেরত পাঠাতে পারবে জার্মানি। চুক্তি অনুযায়ী এখন এথেন্সকে তাদের দেশে আশ্রয়ের আবেদন করেও অস্ট্রিয়া সীমান্ত পার হয়ে জার্মানিতে ঢুকে পড়া শরণার্থীদের ফেরত নিতে হবে। তবে বিনিময়ে এথেন্স কী পাবে, তা এখনও নিশ্চিত নয়।
এর আগে স্পেনের সঙ্গে করা চুক্তিতেও এমন বিষয় ছিল। মরক্কো থেকে ভূ-মধ্য সাগর পাড়ি দিয়ে এসব শরণার্থীরা স্পেনে আসেন। সেখানে আশ্রয়ের আবেদনও করেন। কিন্তু পরে জার্মানিতে চলে আসেন। তবে এসব শরণার্থীর সংখ্যা খুব বেশি নয়।
জার্মান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হিসাবে, গত জুন থেকে অস্ট্রিয়া সীমান্ত দিয়ে গ্রিস থেকে জার্মানি আসা শরণার্থীর সংখ্যা ১৫০-এর বেশি হবে না।
জার্মানির এমন দ্বিপাক্ষিক চুক্তির বিষয়ে আগ্রহের নেপথ্যে রয়েছেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হর্স্ট সেহোফার। তিনি জোট সরকার ভেঙ্গে দেওয়ার হুমকি দেওয়ার পর শরণার্থী সংক্রান্ত কিছু বিষয়ে আপোস করতে বাধ্য হন চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল। সেহোফার দক্ষিণের সীমান্ত একেবারে বন্ধই করে দিতে চাইছিলেন।
এদিকে, ইতালির সঙ্গেও একই ধরনের সমঝোতায় আসতে চাইছে জার্মানি। এ সংক্রান্ত কথাবার্তাও অনেকটাই এগিয়েছে বলে জানা গেছে। তবে ইতালির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাত্তেও সালভিনি এর বিরোধীতা করতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। তিনি অভিবাসনবিরোধী লিগ পার্টির নেতা। গত সপ্তাহেই ম্যার্কেল ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, সমঝোতা করতে প্রয়োজনে তিনি ইতালি সফর করবেন।