ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ. এইচ. মাহমুদ আলী। ১৭ আগস্ট শুক্রবার সন্ধ্যায় ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ীর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় অংশগ্রহণের পর দিল্লিতে এ সাক্ষাতে মিলিত হন দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এ সময় ঢাকা থেকে গিয়ে বর্ষীয়ান এই বিজেপি নেতার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় অংশগ্রহণের জন্য বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান সুষমা স্বরাজ। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
বাজপেয়ীর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শোক জ্ঞাপনের বিষয়টি উল্লেখ করে এজন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান সুষমা।
সাক্ষাৎকালে প্রয়াত অটল বিহারি বাজপেয়ীকে নিয়ে স্মৃতিচারণা করেন দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এ সময় তারা দুই দেশের মধ্যে নিয়মিত উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের প্রশংসা করেন।
এর আগে বাজপেয়ীর মৃত্যুতে ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শোকবার্তা পৌঁছে দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ. এইচ. মাহমুদ আলী। এ সময় দিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার সৈয়দ মুয়াজ্জেম আলীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন।
১৬ আগস্ট বৃহস্পতিবার দিল্লির অল ইন্ডিয়া মেডিক্যাল সার্ভিসেস (এআইএমএস) হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী। বিকাল ৫টা ৫ মিনিটে তার মৃত্যু হয়। শুক্রবার দিল্লিতে যমুনা নদীর তীরের স্মৃতিস্থলে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তার শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হয়। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দ ছাড়াও ভুটানের রাজা জিগমে সিংহে ওয়াংচুক, সাবেক আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদর কারজাই প্রমুখ এতে উপস্থিত ছিলেন।
শেষকৃত্য অনুষ্ঠানের আগে বাজপেয়ীর মরদেহ বিজেপির প্রধান কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে শেষকৃত্যের জন্য স্মৃতিস্থলে নিয়ে যাওয়া হয়। মরদেহ বহনকারী গাড়িবহরের সঙ্গে চার কিলোমিটার পথ হেঁটে শেষকৃত্যে যোগ দেন নরেন্দ্র মোদিসহ বিজেপি নেতারা।
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন এই ভারতীয় রাজনীতিবিদ। এর স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ তাকে ‘মুক্তিযুদ্ধ সম্মাননা’য় ভূষিত করেছে।