উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ আলোচনায় অগ্রগতিতে চীন সাহায্য করছে না- যুক্তরাষ্ট্রের এমন অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে চীন। চীনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলায় ‘মারাত্মক উদ্বেগ’ও প্রকাশ করেছে দেশটি। শনিবার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে অভিযোগ অস্বীকার করে এই উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও'র নির্ধারিত উত্তর কোরিয়া সফর শুক্রবার বাতিল করেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার আগে টুইটারে ট্রাম্প বলেন, উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক কর্মসূচি বন্ধে খুব কম অগ্রগতি হয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, এক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য উত্তেজনার কারণে চীন যথেষ্ট চাপ প্রয়োগ করছে না।
আগামী সপ্তাহে উত্তর কোরিয়া বিষয়ক নতুন নিয়োগ প্রাপ্ত দূতকে নিয়ে পিয়ংইয়ং সফরের কথা ছিল মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর। নতুন দূত স্টিফেন বেইজুন ফোর্ডের একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। পম্পেওর এটা চতুর্থ সফর হতো। তবে উত্তর কোরীয় নেতার সঙ্গে তার বৈঠক হওয়ার কথা ছিল না।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের এমন মন্তব্য মার্কিন কর্মকর্তাদের সম্পর্কে ‘কঠোর প্রতিমূর্তি’ হাজির করেছে। বিবৃতিতে আরও দাবি করা হয়, কোরীয় উপদ্বীপে নিরস্ত্রীকরণের জন্য ইতিবাচক ভূমিকা পালন অব্যাহত রাখবে চীন।
গত জুনে উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং উনের সঙ্গে বৈঠকের পর ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, পিয়ংইয়ং আর কোনও পারমাণবিক হুমকি নয়। কিন্তু এরপর বেশ কিছু খবর প্রকাশিত হয় যাতে প্রমাণিত হয়, কিমের দেশ পারমাণবিক স্থাপনা ধ্বংসে ব্যর্থ হয়েছে।
সম্প্রতি অজ্ঞাত একজন মার্কিন কর্মকর্তা হুঁশিয়ারি জানান, উত্তর কোরিয়া নতুন আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নির্মাণ করছে। জাতিসংঘের পারমাণবিক এজেন্সিও জানিয়েছে, দেশটির তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছে।