সিরিয়ার ইদলিবে অভিযান চালানো নিয়ে গত সপ্তাহেই যুক্তরাষ্ট্রকে দুইবার হুঁশিয়ারি দিয়েছে রাশিয়া। তারা জানিয়েছে, সিরীয় সরকারি বাহিনীর সঙ্গে সেখানে সামরিক অভিযান চালাতে প্রস্তুত রাশিয়া। মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এই কথা জানায় দেশটির সংবাদমাধ্যম সিএনএন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইদলিবে বেশ কয়েকটি মার্কিন ঘাঁটি রয়েছে এবং সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের সেনারাও অবস্থান করছে। রাশিয়ার দাবি, মার্কিন সেনারা বিদ্রোহীদের সমর্থন করছে।
প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সরকার সিরিয়াজুড়ে বিদ্রোহীদের দমন করতে পারলেও ইদলিবে এখনও বিদ্রোহীদের শক্ত ঘাঁটি রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, দেশটির দীর্ঘদিনের গৃহযুদ্ধের শেষ বড় ধরনের লড়াই হবে এখানেই। জাতিসংঘের তথ্য অনুসারে, ইদলিবে এখনও ১০ হাজার আল-নসুরা ও আল-কায়েদা সদস্য অবস্থান করছে। সিরিয়ার সরকারি বাহিনী জানিয়েছে, তারা বিদ্রোহীদের শেষ শক্তিশালী ঘাঁটি ইদলিবে অভিযান চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। এই প্রেক্ষিতে ট্রাম্প টুইটারে হুঁশিয়ারি জানিয়ে বলেন, এই বেপরোয়া অভিযান হবে বড় ধরনের মানবিক ভুল এবং এই অভিযানে কয়েক হাজার মানুষ প্রাণ হারাতে পারে। সতর্ক করেছে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও। জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন দূত নিকি হ্যালি বলেছেন, ইদলিবে আসাদ, রাশিয়া ও ইরানের পদক্ষেপের দিকে তাকিয়ে আছে সবাই। জাতিসংঘ সতর্ক করে বলেছে, ইদলিবে হামলা চালালে সেখানে ‘রক্তবন্যা’ হয়ে যেতে পারে
মস্কোর এই ঘষণায় মার্কিন কমান্ডাররা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন যে তাদের সেনারা না হামলার শিকার হন। সিএনএন জানায়, যুক্তরাষ্ট্র হুঁশিয়ারি দিয়েছে যে রাশিয়া যেন তাদের চ্যালেঞ্জ না জানায়।
বেশ কয়েকজন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে সিএনএন জানায়,আত তান্ফ এ মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের ঘাটিতে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। সিরিয়া, জর্ডান ও ইরাক সীমান্তবর্তী হওয়ায় এই অঞ্চল থেকেই কৌশলগত প্রভাব বিস্তার করা সহজ। তাই ইরান, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র এই এলাকার দখল নিতে চাইবে।
সিএনএন জানায়, রুশ বিমান কিংবা জাহাজ থেকে ‘ভুল’ জায়গায় আক্রমণ করলে মার্কিন সেনারাও জবাব দিতে পারে। রাশিয়া কিভাবে ওয়াশিংটনকে সতর্কবার্তা দিয়েছে তা জানাতে চাননি মার্কিন কর্মকর্তারা।