উত্তর ইরাকে শনিবার ডেমোক্রেটিক পার্টি অব ইরানিয়ান কুর্দিস্তানের একটি ক্যাম্পে হামলা চালিয়েছে ইরান। ড্রোন ও রকেট ব্যবহার করে বিদ্রোহীদের ওপর এ হামলা চালানো হয়। এতে ৯ জন নিহত এবং ৩০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে দলটির মহাসচিব মুস্তাফা মাওলুদি’ও রয়েছেন। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে তুরস্কভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সি।
উত্তর ইরাকের কয় সানজাক শহরে ইরানের সরকারবিরোধী গোষ্ঠী ডেমোক্রেটিক পার্টি অব ইরানিয়ান কুর্দিস্তানের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের একটি বৈঠক আহ্বান করেছিল দলটি। ওই বৈঠককে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করে এ হামলা চালানো হয়। এতে আহতদের চিকিৎসার জন্য ইরবিলের হাসপাতালগুলোতে পাঠানো হয়েছে।
ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের খবরে বলা হয়েছে, দেশটির সেনাবাহিনী ডেমোক্রেটিক পার্টি অব ইরানিয়ান কুর্দিস্তানের দলীয় ভবনে হামলা চালিয়েছে। এ সংক্রান্ত ফুটেজও প্রচার করেছে তারা।
১৯৯৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া দলটির কার্যক্রম পরিচালনা করা হয় ইরাকের ইরবিল থেকে। শনিবার দলটির ওপর এ হামলার একদিন আগে শুক্রবার ইরাকের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর বসরায় ইরানের দূতাবাসে অগ্নিসংযোগ করেন একদল বিক্ষোভকারী। নাগরিক সেবা ও কাজের দাবিতে ওই বিক্ষোভে অংশ নেওয়া ইরাকিরা দেশটির রাজনীতিতে তেহরানের প্রভাব নিয়ে ক্ষুব্ধ।
ইরানের দূতাবাসে হামলার সময়ে সেটি প্রায় খালি ছিল বলে জানিয়েছে আল জাজিরা। সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ক্ষুব্ধ বিক্ষোভকারীরা বসরায় ইরানের দূতাবাস ভবনে ঢুকে পড়ে। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বাহরাম কাসেমি রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ফার্সকে বলেছেন, ওই হামলার ঘটনায় তার দেশের নাগরিকদের বসরা ছেড়ে যেতে বলা হয়নি।
প্রায় ২০ লাখ মানুষের বাস ইরাকের বসরা শহরে। গত সোমবার থেকে চাকুরি ও নাগরিক সেবার দাবিতে সেখানে বিক্ষোভ করছেন বাসিন্দারা। বিক্ষোভ শুরুর পর নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে সেখানে বেশ কয়েকজন প্রাণ হারিয়েছেন। শুক্রবার বিভিন্ন সরকারি ভবন ও ইরানের দূতাবাসে হামলার ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনার পর শহরে কারফিউ জারি করা হয়েছে। ইরাকের নিরাপত্তা বাহিনী বাসিন্দাদের সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, রাস্তায় কাউকে দেখা মাত্রই গ্রেফতার করা হবে। এরমধ্যেই শনিবার উত্তর ইরাকে কুর্দি বিদ্রোহীদের ওপর ড্রোন ও রকেট হামলা চালালো ইরান।