যুদ্ধ কবলিত ইয়েমেনের জন্য জাতিসংঘের বিশেষ দূত মার্টিন গ্রিফিত ইরান সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রিত দেশটির রাজধানী সানায় পৌঁছেছেন। রবিবার তিনি সেখানে পৌঁছান। এমন সময় তিনি সানায় পৌঁছালেন যখন দেশটির পশ্চিমের গুরুত্বপূর্ণ বন্দর নগরী হোদাইদা দখলের জন্য নির্বাসিত সরকারের সেনারা অভিযান জোরদার করছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এখবর জানিয়েছে।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সমর্থিত ইয়েমেনের নির্বাসিত সরকার ও বিদ্রোহীদের মধ্যে গত সপ্তাহের শান্তি আলোচনা ভেঙে পড়ার পরই জাতিসংঘ দূত সানায় আসলেন। বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হলে গত দুই বছরের মধ্যে এটাই হতো প্রথম শান্তি আলোচনা। ৬ সেপ্টেম্বর সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় এই আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। বৈঠকে হুথি বিদ্রোহীদের কোনও প্রতিনিধি হাজির হননি। তারা অভিযোগ তুলে, জাতিসংঘ তাদের প্রতিনিধিদের সানায় নিরাপদে ফেরত আসা ও আহত বিদ্রোহীদের ওমানে চিকিৎসার জন্য সরিয়ে নেওয়ার কোনও নিশ্চয়তা দেয়নি।
আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরেই সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের নেতৃত্বাধীন সামরিক হুথিদের দখলকৃত হোদেইদা শহর ও বন্দর পুনরুদ্ধারে অভিযান জোরদার করে। এই শহর ও বন্দরকে ইয়েমেনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। জুনে প্রথম অভিযান শুরু হলেও জেনেভা আলোচনা উদ্যোগের পর তা স্থগিত করা হয়।
রবিবার মেডিক্যাল ও হাসপাতাল সূত্র বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানায়, হোদেইদাতে বিমান হামলা ও ভয়াবহ সংঘর্ষে অন্তত ৩২ জন হুথি বিদ্রোহী নিহত হয়েছে। হুথিরাও জানিয়েছে, সৌদি-আমিরাতি বিমান হামলায় আল-মারাওয়া জেলার একটি রেডিও স্টেশন বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে তিন নিরাপত্তারক্ষী ও একজন কর্মী নিহত হয়েছে।
জাতিসংঘ হুঁশিয়ারি জানিয়ে বলেছে, হোদেইদার সংঘাত চলতে থাকলে ইয়েমেনের বাণিজ্যিক আমদানির মূল প্রবেশ পথ ও ত্রাণ সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হবে। এতে দুর্ভিক্ষ দেখা দিতে পারে। সংস্থাটির তথ্য অনুযায়ী, ইয়েমেনে খাদ্যাভাবের ঝুঁকির মুখে রয়েছে অন্তত ৮৪ লাখ মানুষ।