উত্তর কোরিয়া সফর করছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জে-ইন। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে সস্ত্রীক উত্তর কোরিয়ার রাজধানী পিয়ংইয়ং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি। এ সময় তাকে স্বাগত জানান উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন এবং তার স্ত্রী। এ সময় পরস্পরকে জড়িয়ে ধরেন দুই কোরিয়ার নেতারা। মূলত কিমের সঙ্গে বৈঠকের উদ্দেশ্যেই তার এ সফর। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্স।
আশা করা হচ্ছে, তিন দিনের এ সফরে আনুষ্ঠানিকভাবে কোরীয় যুদ্ধে সমাপ্তি ঘোষণা করা হবে। ১৯৫০ থেকে ১৯৫৩ সাল পর্যন্ত কোরীয় যুদ্ধ হয়। সে সময় যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হলেও আজ পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধের সমাপ্তি ঘোষণা করেনি কোনও পক্ষ।
চলতি বছর এ নিয়ে দুই নেতার মধ্যে তৃতীয় শীর্ষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সফরে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অচল হয়ে পড়া পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ আলোচনা ফের শুরুর প্রক্রিয়া নিয়েও আলোচনা করবেন দুই দেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
মুন জে-ইন-এর এ সফরে মূলত তিনটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। এগুলো হচ্ছে দুই কোরিয়ার মধ্যে সম্পর্কের উন্নয়ন, উত্তর কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ বিষয়ক আলোচনা এবং দুই কোরিয়ার মধ্যে সামরিক উত্তেজনার অবসান ঘটানো।
মুন জে-ইনের সফরকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার স্যুট ও ঐতিহ্যবাহী কোরীয় পোশাক পরে কয়েকশ উত্তর কোরীয় নাগরিক কোরীয় উপদ্বীপ ও উত্তর কোরিয়ার পতাকা নিয়ে পিয়ংইয়ংয়ে সমবেত হন। জাতীয় পতাকা নেড়ে, ফুল হাতে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টকে অভ্যর্থনা জানান তারা। বিমানবন্দরে শোভা পায় ‘পিয়ংইয়ংয়ে স্বাগত প্রেসিডেন্ট মুন জে-ইন’ লেখা সুবিশাল ব্যানার।
দক্ষিণ কোরিয়ার কয়েকজন খ্যাতনামা ব্যবসায়ীকে নিয়ে এ সফরে গেছেন মুন। এরমধ্যে স্যামসাং ইলেকট্রনিক্সের ভাইস চেয়ারম্যান জে ওয়াই লি’ র নাম উল্লেখযোগ্য। এছাড়া এসকে এবং এলজি গ্রুপের প্রধানরাও রয়েছেন তার সফরসঙ্গীর তালিকায়। শীর্ষ বৈঠককেন্দ্রিক সফরসূচিতে কর্পোরেট প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণ আলোচনায় দক্ষিণ কোরিয়ার সদিচ্ছার উদাহরণ হিসেবে প্রতীয়মান হচ্ছে। সূত্র: রয়টার্স, পার্স টুডে।