২০২১ সালের মধ্যে কোরীয় উপদ্বীপে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের লক্ষ্যে উত্তর কোরিয়া সঙ্গে পুনরায় আলোচনা শুরু করতে যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্মেও। তিনি বলেন, দক্ষিণ কোরিয়াকে দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ প্রতিশ্রুতির আলোকে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে অবিলম্বে আলোচনা শুরু করতে প্রস্তুত তারা।
চলতি বছরের এপ্রিলে উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং উন ও দক্ষিণ কোরীয় প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে ইন পানমুনজামে এক ঐতিহাসিক বৈঠকে মিলিত হন। ওই বৈঠকেই পরবর্তী একটি বৈঠকে মিলিত হওয়ার ব্যাপারে সম্মত হন দুই নেতা। সিদ্ধান্ত হয়, আসন্ন শরতে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে উত্তর কোরিয়ার রাজধানী পিয়ং ইয়ংয়ে। সেই অনুযায়ী মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে সস্ত্রীক উত্তর কোরিয়ার রাজধানী পিয়ং ইয়ং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান মুন। তাকে স্বাগত জানান কিম জং উন এবং তার স্ত্রী।
বৈঠকে নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে দুই নেতা গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেছেন। কিম জং একটি বৃহত্তর ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা অঞ্চল বন্ধ করতেও রাজি হয়েছেন। এছাড়া নিরস্ত্রীকরণের ব্যাপারেও ইতিবাচক মনোভাব ব্যক্ত করেছেন তিনি।
দুই নেতার এই ফলপ্রসূ আলোচনর কারণেই যুক্তরাষ্ট্র আবার আগ্রহী হয়ে উঠেছে বলে জানিয়েছেন পম্পেও। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, আগামী সপ্তাহে উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রি ইয়ং হো তো তার সঙ্গে দেখা করতে নিউ ইয়র্ক যাবেন। এছাড়া দু্ দেশের প্রতিনিধিরা অস্ট্রিয়ার ভিয়েনাতেও বৈঠক করবেন।
পম্পেও বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র-উত্তর কোরিয়ার আলোচনার এটাই শুরু। কোরীয় উপদ্বীপে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ আলোচনায় এটা মাইলফলক। ২০২১ সালের জানুয়ারির মধ্যে আমরা এই লক্ষ্য অর্জন করতে চাই।
জুন মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সিঙ্গাপুরে উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং উনের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে উভয় নেতাই পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরেণ কাজ করতে প্রতিশ্রুতি দেন। এর পরপরই ট্রাম্প জানান উত্তর কোরিয়া এখন আর পারমাণবিক হুমকি নয়। তবে এই বিষয়ে উত্তর কোরিয়ার কোনও সুনির্দিষ্ট সময়সীমা ও প্রতিশ্রুতি আদায় করতে না পারায় দেশের সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন ট্রাম্প।