যুক্তরাষ্ট্রের ক্যারোলিনা উপকূলে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড় ফ্লোরেন্সের তাণ্ডবে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৬ জনে দাঁড়িয়েছে। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে বুধবার উপদ্রুত এলাকা পরিদর্শন করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ সময় সাউথ ক্যারোলিনা ইমার্জেন্সি রেসপন্স সেন্টারে ভাষণ দেন তিনি। ভাষণে ট্রাম্প বলেন, ওয়াশিংটন আপনাদের সঙ্গে রয়েছে। ট্রাম্প আপনাদের সঙ্গে রয়েছে। আপনাদের আমরা প্রচুর পরিমাণ সহায়তা দিচ্ছি। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় ফ্লোরেন্স। এর আঘাতে নর্থ ক্যারোলাইনার বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নর্থ ক্যারোলাইনায় সাত জন ও সাউথ ক্যারোলাইনায় এক জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। কোস্ট গার্ডের কর্মকর্তা মাইকেল হিমস জানিয়েছেন, আটকেপড়া ৫০ জনকে হেলিকপ্টারে করে উদ্ধার করা হয়েছে।
‘ন্যাশনাল ওয়েদার সেন্টারের’ শাখা ‘ওয়েদার প্রেডিকশন সেন্টার’-এর আবহাওয়াবিদ জ্যাক টেইলর মন্তব্য করেছেন, এটা প্রাণসংহারী এক ঘূর্ণিঝড়। এর প্রভাবে কিছু অঞ্চলে ৩০ ইঞ্চি পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হয়েছে।
নর্থ ক্যারোলাইনার গভর্নর রয় কুপার বলেছেন, এই ঘূর্ণিঝড়ের কারণে কোনও কোনও স্থানে বৃষ্টিপাত এত বেশি হয়েছে যে ইঞ্চির বদলে ফুটে তা পরিমাপ করতে হয়েছে।
নর্থ ক্যারোলাইনার ফেইটভিল শহরে দুই লাখের বেশি মানুষের বাস। এদের মধ্যে যারা কেপ ফিয়ার ও লিটল রিভারের কাছে বাস করেন তাদেরকে নিরাপদ আশ্রয়ের দিকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সংবাদ সম্মেলনে মেয়র মিচ কোভিন বলেছেন, যারা নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যাওয়ার নির্দেশ উপেক্ষা করতে চান তাদের উচিত হবে নিকট আত্মীয়দের সঙ্গে এখনই যোগাযোগ করে ফেলা। কারণ এখানে থাকলে মৃত্যুর আশঙ্কা অনেক বেশি।