স্থলসীমান্ত দিয়ে ঘেরা বলিভিয়ার একমাত্র সমুদ্র পথ চিলি দখল করে নেওয়ার প্রায় ১৩৯ বছর পর ইস্যুটি নিয়ে আন্তর্জাতিক কোর্ট অব জাস্টিস (আইসিজে) আজ সোমবার (১ অক্টোবর) রায় ঘোষণা করবে। দীর্ঘ পাঁচ বছর বিচার প্রক্রিয়া চলার পর আইসিজে এই রায় ঘোষণা করবে। আইসিজে’র রায়ে বলা হবে বলিভিয়ার জন্য সার্বভৌম সমুদ্র পথ খুলে দিতে চিলির আলোচনায় বসা উচিত কিনা। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এখবর জানিয়েছে।
প্রশান্ত মহাসাগরে বলিভিয়ার একমাত্র সমুদ্র পথ উনিশ শতকে এক রক্তাক্ত যুদ্ধের মাধ্যমে দখল করে নেয় চিলি। এ সংঘাতের জের ধরে ১৯৬২ সালের পর থেকে উভয় দেশ কূটনীতিক বিনিময় করেনি। আইসিজে’র এই রায় আসবে চূড়ান্ত যুক্তি-তর্ক শেষ হওয়ার ছয় মাসের মাথায়।
চিলির আন্তর্জাতিক আইনবিষয়ক বিশেষজ্ঞ পাজ জারাতে বলেন, শুনানিতে প্রতীয়মান হয়েছে বিষয়টি জটিল কিছু না। রায় বলিভিয়ার পক্ষে যাওয়ার সম্ভাবনা কম। বলিভিয়া ও চিলি হয়ত কোনও একসময় আলোচনায় বসবে। কিন্তু এই রায়ের পর তা চরম কঠিন হয়ে পড়বে।
বলিভিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ও আইসিজেতে দেশটির প্রতিনিধি এদুয়ার্দো রদ্রিগুয়েজ জানান, আদালতের এই রায় স্বাভাবিকের তুলনায় দ্রুত আসছে না। চিলির সঙ্গে বলিভিয়ার সম্পর্কের নতুন অসাধারণ সুযোগ খুলে যাবে সোমবার। আর এতে করে ১৩৯ বছর পুরনো বিরোধ নিষ্পত্তি হবে উভয়ের স্বার্থে।
গত কয়েক দশকের মধ্যে সমুদ্রপথ নিয়ে বলিভিয়ানদের আশাবাদ এই রায়কে ঘিরে সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। অনেকেই বড় পর্দায় রায় ঘোষণাটি দেখবেন। বলিভিয়ার কূটনীতিক রবার্তো সালজাদিলা বলেন, বলিভিয়া এখন একতা ও প্রশান্তির লগ্নে রয়েছে এবং আমরা ইতিবাচক ফল প্রত্যাশা করছি। দেশটির প্রেসিডেন্ট ইভো মোরালেস আগস্টে বলেছেন, প্রশান্ত মহাসাগরে ফিরে খুব কাছাকাছি রয়েছি আমরা।
তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, রায়টি বলিভিয়ার পক্ষে যাওয়ার সম্ভাবনা কম। রায় যদিও বলিভিয়ার পক্ষে যায় তবে তাতে পরিবর্তন খুব বেশি হবে না। চিলির ভূখণ্ডে নেদারল্যান্ডভিত্তিক জাতিসংঘের এই সংস্থাটির কোনও ক্ষমতা নেই।