অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসার দায়ে পশ্চিমবঙ্গের চন্দননগর থেকে এক বাংলাদেশিসহ বেশ কয়েকজনকে আটক করেছে সে দেশের সিআইডি। গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে ভুয়া পাসপোর্ট, সিমকার্ড ও সিমবক্স উদ্ধার করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গভিত্তিক সংবাদপত্র আনন্দবাজার জানিয়েছে, বেআইনি ফোনকল ব্যবসার পাশাপাশি তাদের জঙ্গি সংশ্লিষ্টতাও আছে কিনা তা তদন্ত করে দেখা হবে।
সোমবার পিন্টু, দাদপুরের আশিস পাল, চুঁচুড়ার শুভেন্দু ঘোষ ও বাংলাদেশি নাগরিক মোহাম্মদ সরোবর জাহানকে গ্রেফতার করে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সিআইডি। মঙ্গলবার চন্দননগর আদালত অভিযুক্তদের ১৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। লোকাল ফোন কলের খরচে বিশ্বের যে কোনও প্রান্তে কথা বলার সুযোগ দিয়ে চন্দননগরের জনবহুল এলাকায় ব্যবসা চালাচ্ছিল অভিযুক্তরা। এ কাজে বেনেপুকুর চাঁদনি এলাকায় একটি ফ্ল্যাট ভাড়া করেছিল পিন্টু দাস। ফ্ল্যাটের মালিক নীলাঞ্জন ভট্টাচার্যের দাবি, সাত মাস আগে তিন বছরের জন্য মাসিক ৭৫০০ টাকার চুক্তিতে ফ্ল্যাটটি ভা়ড়া দিয়েছিলেন তিনি। কিছুদিন পর সেখানে কল সেন্টার খোলা হয়। গত বৃহস্পতিবারও সেখানে কিছু যন্ত্রপাতি নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে পশ্চিম বাংলার রাজ্য গোয়েন্দা বিভাগের সাইবার ক্রাইম শাখার কাছে অভিযোগ এসেছিল আগেই। রবিবার রাতে বাংলাদেশ থেকে ব্যবসা দেখতে সেখানে গিয়েছিল সরোবর জাহান। গোপন সূত্রে সে খবর পেয়েই সিআইডি অভিযান চালায়।
সোমবার রাতে ওই ফ্ল্যাটে হানা দিয়ে এক বাংলাদেশি-সহ চার জনকে গ্রেফতার করে সিআইডি। ডিএসপি (সিআইডি) অনিমেষ ঘটক বলেছেন, ‘বেআইনিভাবে আন্তর্জাতিক কলকে লোকাল কলে পরিণত করে রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া হতো। জঙ্গি সংগঠনের যোগসাজসের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ফ্ল্যাটটি সিল করা হয়েছে।’ পুলিশের সূত্রে জানা গেছে, সংশ্লিষ্ট অবৈধ কল সেন্টারটি থেকে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, যুক্তরাজ্য, মালয়েশিয়াসহ পৃথিবীর নানা প্রান্তে ফোন করা যেত কম খরচে। কল সেন্টারের রোজগার হতো প্রতি মিনিটে ৫৬ পয়সা।