X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

ট্রাম্পের 'ফিলিস্তিন নীতি'র বিরুদ্ধে সোচ্চার মার্কিন জনতা

বিদেশ ডেস্ক
০৭ অক্টোবর ২০১৮, ১৫:০৬আপডেট : ০৭ অক্টোবর ২০১৮, ১৬:৩৮
image

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ফিলিস্তিননীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সাধারণ মানুষ। সম্প্রতি ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য তহবিল সংগ্রহকারী ‘ইউনাইটেড নেশনস রিলিফ অ্যান্ড ওয়ার্ক এজেন্সি ফর প্যালেস্টাইন রিফিউজিস’ (ইউএনআরডব্লিউএ) নামের সংস্থায় মার্কিন বরাদ্দ কমিয়ে দিয়েছেন ট্রাম্প। তবে মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক সংবাদের যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট আই খবর দিয়েছে, ট্রাম্পের অবস্থানের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে মার্কিন জনগণ সংস্থাটিকে অর্থ সহায়তা দেওয়া শুরু করেছে। রাষ্ট্রীয় বাজেট বরাদ্দের তুলনায় নাগরিকদের আর্থিক সহায়তা পরিমাণে কম হলেও সংস্থার সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তারা বলছেন, এর মাধ্যমে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সাধারণ মার্কিনিদের সমর্থনের বিষয়টিই ফুটে উঠছে।

ট্রাম্পের 'ফিলিস্তিন নীতি'র বিরুদ্ধে সোচ্চার মার্কিন জনতা ইসরায়েল কর্তৃক দখলকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে নিজ বাড়িঘর থেকে বিতাড়িত হয়ে প্রতিবেশী দেশগুলোতে শরণার্থী হওয়া ৫০ লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনিকে মানবিক সহায়তা দিয়ে আসছে ইউএনআরডব্লিউএ। তবে গত সেপ্টেম্বরের শুরুর সপ্তাহে সংস্থাটিতে তহবিল বাতিলের ঘোষণা দেয় ট্রাম্প প্রশাসন। শরণার্থী সংস্থাটিকে অবিশ্বাস্য রকমের ত্রুটিপূর্ণ উল্লেখ করে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে জানায়, এই বোঝা যুক্তরাষ্ট্র আর বহন করতে চায় না। ফিলিস্তিনিদের জন্য গঠিত জাতিসংঘের এই সংস্থার ৩০ ভাগ ব্যয় বহন করতো যুক্তরাষ্ট্র। গত বছর যুক্তরাষ্ট্র ২৬৪ মিলিয়ন ডলার তহবিল দিয়েছিল। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হেদার নোয়ার্ট জানান, এ বছর জানুয়ারিতে যে ৬০ মিলিয়ন ডলার দেওয়া হয়েছে এরপর আর কোনও তহবিল দেওয়া হবে না।

মধ্যপ্রাচ্যের সংবাদ পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা মিডিল ইস্ট আই লিখেছে, ইউএনআরডব্লিউএর সবচেয়ে বড় অর্থ যোগানদাতা দেশ ছিল যুক্তরাষ্ট্র। তবে সংস্থাটির জন্য মার্কিন বরাদ্দের অভাবে বাস্তচ্যুত ফিলিস্তিনিদের সহায়তা প্রদানকারী সংস্থাটি এখন পরিস্থিতি সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে। ইসরায়েলের সমর্থনে কাজ করা ও ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের সংজ্ঞা পাল্টে দেওয়া ট্রাম্প প্রশাসনের সিদ্ধান্ত ফিলিস্তিনিদের বিষয়ে আমেরিকানদের চোখ খুলে দিয়েছে।‘ইউএনআরডব্লিউএ ইউএসএ’ ইউএনআরডব্লিউএর চেয়ে পৃথকভাবে কাজ করা সংগঠন। সংস্থাটির যোগাযোগ বিষয়ক পরিচালক লায়লা মোখিবার জানিয়েছেন, সম্প্রতি মার্কিন নাগরিকদের তরফ থেকে সেখানে তহবিল প্রদানের প্রবল আগ্রহ দেখা যাচ্ছে। তার ভাষ্য, ‘ফিলিস্তিনি শরণার্থীরা এখন মানুষের আলাপ আলোচনার আরও কেন্দ্রে চলে এসেছে। আগের তুলনায় অনেক বেশি আমেরিকান এখন জানে ইউএনআরডব্লিউএ কী। আমরা সংস্থারকে কর্মকাণ্ডকে যত বেশি সামনে আনতে পারব, সংস্থাটি তত বেশি মানুষের সমর্থন পাবে।’

ওবামা প্রশাসনের শাসনামলে ২০১৬ সালের ২৩ ডিসেম্বর (শুক্রবার) দীর্ঘদিনের রীতি ভেঙ্গে জাতিসংঘের ইসরায়েলি বসতিবিরোধী প্রস্তাবে ভেটো না দিয়ে নীরব ভূমিকা পালন করে যুক্তরাষ্ট্র। নিরাপত্তা পরিষদে অবৈধ বসতি স্থাপনের বিরুদ্ধে এই প্রস্তাব পাসের পর ফিলিস্তিন প্রশ্নে ট্রাম্প-ওবামা দ্বন্দ্ব প্রকট হয়। ট্রাম্প ওই সময়ই ইঙ্গিত দেন, তার দায়িত্ব গ্রহণের পর পরিস্থিতি পাল্টে যাবে। টুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘২০ জানুয়ারির পর পরিস্থিতি ভিন্ন হবে।’ কথা অনুযায়ীই ক্ষমতা গ্রহণের এক বছর না যেতেই ২০১৭ সালের ৬ ডিসেম্বর জেরুজালেমকে ইসরায়েলি রাজধানীর স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দেন ট্রাম্প। ঘোষণা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে চলতি বছরের মে মাসে জেরুজালেমে মার্কিন দূতাবাস তেল আবিব থেকে জেরুজালেমে সরিয়ে নেন তিনি। নির্বাচনি প্রচারণার সময় থেকেই দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধান নীতির সমালোচনা করে আসা ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পরপরই নতুন শান্তি প্রস্তাব তৈরির কথা জানান। ইসরায়েলঘেষা সেই শান্তিনীতির পক্ষে আনতে না পেরেই তিনি ফিলিস্তিনিদের জন্য গঠিত তহবিলে অর্থ বরাদ্দ দেওয়া স্থগিত করেন বলে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের খবরে উঠে আসে। এমন বাস্তবতায় ইউএনআরডব্লিউএ ইউএসএ ব্যক্তিগত অনুদান ও অন্যান্য সূত্র থেকে এ বছর নাগাদ ৪০ লাখ ডলারের তহবিল সংগ্রহ করতে চায়। ‘এই অর্থ দিয়ে ঘাটতি হয়তো পুরণ হবে না, কিন্তু মার্কিন নাগরিকরা যে এ বিষয়ে আসলেই উদ্বিগ্ন সেটি সামনে আনার জন্য এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’বলেন লায়লা মোখিবার।

১৯৪৮ সালে  ইহুদিদের দ্বারা ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিষয়টিকে ফিলিস্তিনিরা ‘নাকবা’ বলে যার অর্থ দুর্যোগ। বর্তমানে সেই দুর্যোগের ভুক্তভোগী এবং তাদের উত্তরসূরীদের প্রায় ৫০ লাখ গাজা, পশ্চিম তীর ও প্রতিবেশী আরব দেশগুলোতে তাঁবু বানিয়ে,  বসবাস করছে। মিডিল ইস্ট আই লিখেছে, এখন যেখানে ইসরায়েলের অবস্থান, ৯০ দশকে শুরুর দিকে সেখান থেকে প্রায় সাত লাখ ফিলিস্তিনি বাস্তচ্যুত হয়েছিল। ইউএনআরডব্লিউএ বলেছে, সংস্থাটি এসব শরণার্থীদের বেঁচে থাকার জন্য অত্যন্ত জরুরি। সংস্থাটির দেওয়া সেবার মধ্যে রয়েছে শিক্ষা, চিকিৎসা এবং খাদ্য সহায়তা। সংস্থাটি একই সঙ্গে বাস্তচ্যুত শরণার্থীদের সবচেয়ে বড় চাকরিদাতা। বরাদ্দকৃত মার্কিন বার্ষিক সহায়তার ৩৫ কোটি ডলার স্থগিত করে দেওয়ার সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে সংস্থাটিকে তহবিল সংগ্রহের জন্য হিমশিম খেতে হচ্ছে। অন্য দেশগুলো মার্কিন বরাদ্দ বাতিলের কারণে তৈরি হওয়া ঘাঁটি পূরণে সহায়তা করার আশ্বাস দিয়েছে। তবে ইতোমধ্যেই তহবিলের অভাবে ইউএনআরডব্লিউএর শত শত কর্মীরা চাকরি হারিয়েছেন।

এ বছর সংবাদমাধ্যমগুলোতে ফিলিস্তিনিদের বিষয়ে যে পরিমাণ লেখালেখি হয়েছে তার কথা উল্লেখ করে মোখিবার বলেছেন, বরাদ্দ বাতিলে ট্রাম্প সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগ পর্যন্ত ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের বিপর্যস্ত হওয়ার বিষয়টি ‘ছায়ায় ঢাকা ছিল।’ এখন আর বিষয়টি সেরকম নেই। চেলসিয়া হ্যান্ডলার ও সারাহ সিলভারস্টোনের মতো সেলিব্রেটিরা ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে বিবৃতি দিয়েছেন।

ইউএনআরডব্লিউএ ইউএসএ তবিল সংগ্রহের জন্য আরও বেশি চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। অধিকৃত ফিলিস্তিনের বাসিন্দাদের মাসিক স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় তহবিল সংগ্রহের উদ্দেশে সংস্থাটি আমেরিকার বিভিন্ন শহরে ‘গাজা ফাইভ কে’ শীর্ষক বার্ষিক পদযাত্রা কর্মসূচির আয়োজন করে। তাহবিল সংকটের মুখে মানসিক স্বাস্থ্য সেবা সংক্রান্ত কর্মসূচীই অনেক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ইউএনআরডব্লিউএতে তিন বছর ধরে কাজ করা মানসিক স্বাস্থ্য সেবা কর্মী জাবির তাবিথ জানিয়েছেন, তহবিল সংকটের জন্য এখন তাকে পার্ট টাইমার হিসেবে চাকরি করতে বলা হচ্ছে। এ সিদ্ধান্ত ‘তার অধিকারকে ক্ষুণ্ণ করেছে’ উল্লেখ করে তাবিথ গত সেপ্টেম্বরে মিডিল ইস্ট আইকে বলেছেন, ‘আগে আমি আরেকটি আন্তর্জাতিক সংস্থায় কাজ করতাম। কিন্তু ইউএনআরডব্লিউএর চাকরি পাওয়ার পর আমি সেখান থেকে চলে আসি। আমি ভেবেছিলাম, যে চাকরিগত নিরাপত্তার অভাব বোধ করছিলাম আমি তা পেয়ে গেছি।’ কম কর্মঘন্টা নির্ধারণ করে নির্ধারণ করে দিয়ে যে নতুন চুক্তিপত্র তাকে দেওয়া হয়েছে তাতে তিনি রাজি হননি। কারণ তাতে যে বেতন আসবে তা দিয়ে তিনি সংসার চালাতে পারবেন না। ‘গাজা ফাইভ কে’ থেকে যে তহবিল সংগ্রহ করা হয় তা অধিকৃত ফিলিস্তিনে কাজ করা তাবিথের মতো মানসিক স্বাস্থ সেবায় নিয়োজিত কর্মীদের বেতন দেওয়ার কাজে ব্যয় হয়।

এ বছর নিউ ইয়র্কে ‘গাজা ফাইভ কে’ পদযাত্রার মাধ্যমে তিন লাখ ৬০ হাজার ডলারের তহবিল সংগৃহীত হয়েছে। মোখিবার জানিয়েছেন, সেপ্টেম্বরে ওয়াশিংটনে আয়োজিত গাজা ‘ফাইভ কে’ পদযাত্রায় ৬০০ মানুষ অংশ নিয়েছিলেন। আগামী ১৭ নভেম্বর হিউস্টনে প্রথমবারের মতো আয়োজিত হবে এ পদযাত্রা কর্মসূচির। পদযাত্রা শুরু আগে অংশগ্রহণকারীরা তাদের পরিচিতজনদের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহের জন্য ইন্টারনেটে অর্থ সহায়তার আহ্বান জানান।

একদিকে ইউএনআরডব্লিউএ যেমন তহবিল সংগ্রহের জন্য নতুন উৎস খোঁজার চেষ্টা করে যাচ্ছে অন্যদিকে তেমন এর কর্মকর্তারা সাধারাণ মানুষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছেন, তার যেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদেরকে মার্কিন বরাদ্দ আবার চালু করার অনুরোধ জানান। গত মাসে ওয়াশিংটনে আয়োজিত ‘গাজা ফাইভ কে’ পদযাত্রায় মেয়েদের মধ্যে প্রথম হওয়া চেরি বেনেট বলেছেন, এ আয়োজনের মাধ্যমে তার দুটি ইচ্ছাকে এক করা সম্ভব হয়েছে। তিনি ‘একই সঙ্গে দৌড়েছেন এবং ফিলিস্তিনিদের মানবাধিকারের পক্ষে যুদ্ধে অংশ নিয়েছেন।’বলেছেন,‘ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য দান করতে পদযাত্রা শুরুর আগে চাঁদা সংগ্রহ করতে হয়, তা যত ছোট অংকেরই হোক না কেন।’ ট্রাম্পের তহবিল বাতিলের সিদ্ধান্তকে তিনি ‘খুবই হৃদয়বিদারক’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। বেনেট জানিয়েছে, যদিও তিনি খুব ছোট অঙ্কের তাহবিল সংগ্রহ করতে পেরেছেন, তারপরও  তহবিল সংগ্রহে জড়িত থাকার এই বিষয়টির খুব বড় প্রতীকী তাৎপর্য রয়েছে।  তার ভাষ্য, ‘যদিও আমাদের দেশের সরকার এ বিষয়ে ভয়ঙ্কর আচরণ করছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে কাণ্ডজ্ঞানহীন সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে, তারপরও হাজার হাজার মানুষ আছে যারা বিষয়টি নিয়ে ভাবে এবং ফিলিস্তনিদের মানবাধিকারের পক্ষে দাঁড়াবে।’

 

/এএমএ/বিএ/
সম্পর্কিত
ইউরোপ ধ্বংস হয়ে যেতে পারে: ম্যাক্রোঁ
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিমার্কিন মানবাধিকার প্রতিবেদনে ভিত্তিহীন তথ্য রয়েছে
মহাকাশে অস্ত্র প্রতিযোগিতা বন্ধে জাতিসংঘের ভোটে রাশিয়ার ভেটো
সর্বশেষ খবর
ট্রাকের চাপায় অটোরিকশার ২ যাত্রী নিহত
ট্রাকের চাপায় অটোরিকশার ২ যাত্রী নিহত
বাংলাদেশের উন্নয়ন দেখলে আমাদের লজ্জা হয়: শাহবাজ
বাংলাদেশের উন্নয়ন দেখলে আমাদের লজ্জা হয়: শাহবাজ
৬ ম্যাচ পর জয় দেখলো বেঙ্গালুরু 
৬ ম্যাচ পর জয় দেখলো বেঙ্গালুরু 
সাদি মহম্মদ স্মরণে ‘রবিরাগ’র বিশেষ আয়োজন
সাদি মহম্মদ স্মরণে ‘রবিরাগ’র বিশেষ আয়োজন
সর্বাধিক পঠিত
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা