মার্কিন নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও ইরানের কাছ থেকেই ভারত তেল আমদানি করবে বলে জানালেন দেশটির জ্বালানি ও প্রাকৃতিক গ্যাস বিষয়ক মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। তিনি বলেন, আমাদের অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতেই হবে। নভেম্বরের মধ্যে আমাদের কিছু প্রতিষ্ঠান তাদের কোটা মনোনিত করেছে।
পরমাণু কর্মসূচি ইস্যুতে ইরানকে কোণঠাসা করতে তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে যুক্তরাষ্ট্র। ইরানের তেলের প্রধান দুই ক্রেতা চীন ও ভারত। নিষেধাজ্ঞা পরোয়া না করে ইরান থেকে তেল কেনা চালিয়ে যাচ্ছে চীন। তবে ভারতের সামরিক ও রাজনৈতিক বন্ধু যুক্তরাষ্ট্র। তারা চাইছে, ভারত ইরান থেকে তেল আমদানি বন্ধ করুক। ভারতপ্রাথমিকভাবে রাজি হলেও পরে ইরান থেকে তেল আমদানি শুরু করার কথা জানায়।
দিল্লিতে জ্বালানি সম্মেলনের সাইডলাইনে ধর্মেন্দ্র প্রধান বলেন, আমরা আশা করি বিশ্বনেতারা আমাদের চাহিদার ব্যাপারটি বুঝবে।
৪ নভেম্বর থেকে ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করছে যুক্তরাষ্ট্র। বর্তমানে ভারত ইরানের তেলের ওপর অনেকাংশে নির্ভরশীল। গত সপ্তাহে জ্বালানির দাম কমেছে দেশটিতে। জ্বালানি মন্ত্রী জানান, দামে আর কোনও পরিবর্তন আসবে না।
৪ অক্টোবর ভারতের অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি ঘোষণা দেন প্রতি লিটারে দেড় রুপি কমানো হবে দাম। পেট্রোল ও ডিজেলে কমবে এক রুপি।