X
শনিবার, ১১ মে ২০২৪
২৮ বৈশাখ ১৪৩১

মানবসম্পদ সূচকে ভারত-পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ

বিদেশ ডেস্ক
১১ অক্টোবর ২০১৮, ১৪:১১আপডেট : ১১ অক্টোবর ২০১৮, ১৭:১৭

বৈশ্বিক মানবসম্পদ সূচক বা হিউম্যান ক্যাপিটাল ইনডেক্সে ভারতের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। বিশ্বব্যাংকের করা নতুন এক সূচক অনুযায়ী, দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে শ্রীলঙ্কা ও নেপালের পরেই সবথেকে ভালো অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ।

মানবসম্পদ সূচকে ভারত-পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ বিশ্বব্যাংকের ১৫৭টি সদস্য রাষ্ট্রের ওপর জরিপ করে এই তালিকাটি করা হয়েছে। এতে কোনও একজন শিশুর শিক্ষার সুযোগ, স্বাস্থ্য সেবা এবং টিকে থাকার সক্ষমতার ভিত্তিতে ভবিষ্যতে তার উৎপাদনশীলতা এবং আয়ের সম্ভাবনা নির্ধারণের চেষ্টা করেছে বিশ্ব ব্যাংক। এর ভিত্তিতেই তৈরি হয়েছে তাদের ‘মানবসম্পদ সূচক’, যাতে একটি দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা বিচার করা হয়েছে। পাঁচ বছরের কময় বয়সী শিশুমৃত্যু হার, শিশুদের স্কুলে যাওয়ার গড় সময়, শিক্ষার মান, প্রাপ্তবয়স্কদের অন্তত ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত টিকে থাকার হার এবং শিশুদের সঠিক আকারে বেড়ে ওঠার হার- এই পাঁচটি মানদণ্ড ব্যবহার করা হয়েছে সূচক তৈরির ক্ষেত্রে।

তালিকার শীর্ষস্থানে রয়েছে সিঙ্গাপুর। এরপর যথাক্রমে দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান ও হংকং। আর তালিকার তলানিতে রয়েছে আফ্রিকার দেশ শাদ ও দক্ষিণ সুদান।

বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশে জন্ম নেওয়া একজন শিশু বড় হয়ে কর্মক্ষেত্রে উৎপাদনশীল হওয়ার সম্ভাবনা ৪৮ শতাংশ। ভারতে এই হার ৪৪ শতাংশ আর পাকিস্তানে ৩৯ শতাংশ। তবে শ্রীলঙ্কা ও নেপালে এই হার যথাক্রমে ৫৮ ও ৪৯ শতাংশ। প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশে ১০০ জনের মধ্যে ৯৭ জন শিশুই ৫ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকে। ভারত ও পাকিস্তান এই হার ৯৬ ও ৯৩ শতাংশ। শ্রীলঙ্কার ক্ষেত্রে ৯৯ জন। বাংলাদেশে চার বছর বয়সী শিশু স্কুল শুরু করলে ১৮ বছর হওয়ার আগে স্কুলজীবনের ১১ বছর শেষ করতে পারে। ভারতে শেষ হয় ১০ দশমিক ২ বছরে। পাকিস্তানে ৮ দশমিক ৮ বছর। শ্রীলঙ্কার ক্ষেত্রে এটি ১৩ বছর।

বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মানবসম্পদ সূচকে বাংলাদেশের নারীরা পুরুষের চেয়ে এগিয়ে। আর প্রাপ্তবয়স্কদের বেঁচে থাকার হার বাংলাদেশে ৮৭ শতাংশ। ১৫ বছর বয়সীদের মধ্যে ৮৭ শতাংশই ৬০ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকেন। আর বেড়ে ওঠার ক্ষেত্রে ৬৪ শতাংশ শিশুই স্বাভাবিকভাবে বেড়ে ওঠে। স্বাভাবিকভাবে বড় হওয়ার প্রক্রিয়া ও বিকাশ ক্ষতিগ্রস্ত হয় ৩৬ শতাংশ শিশুর।

ইন্দোনেশিয়ার বালিতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের সঙ্গে বার্ষিক বৈঠকে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করে বিশ্বব্যাংক। এতে বলা হয়, বর্তমানে জন্ম নেওয়া বিশ্বের ৫৬ শতাংশ শিশু কর্মক্ষেত্রে তাদের পূর্ণ বিকাশ করতে পারবে না। আর এজন্য সংশ্লিষ্ট সরকারই দায়ী। স্বাস্থ্য, শিক্ষাসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে তাদের পর্যাপ্ত বরাদ্দ নেই।

বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম বলেন, এই তালিকার মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের সরকার প্রয়োজনীয় খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর ব্যাপারে উৎসাহী হয়ে উঠবে। তিনি বলেন, এটা নিয়ে বিতর্ক হতে পারে। কিন্তু কোথায় বরাদ্দ বাড়ানো দরকার সেই তথ্য প্রকাশ না করে আমরা থাকতে পারি না। জিম ইয়ং বলেন, মূলত বিশ্বনেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্যই এমনটা করা হয়েছে। কারণ, এর সঙ্গে উৎপাদন হার, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি জড়িত।

/এমএইচ/এমওএফ/বিএ/
সম্পর্কিত
বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন কলকাতায় উদযাপিত হলো ‘জাতীয় সংবিধান দিবস’
২০২৪ সালের দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির তালিকায় বাংলাদেশ ১৬তম
বিএনপির প্রবাসী নেতাদের গ্রেফতারের অপেক্ষায় অ্যাসাইলাম শিকারিরা
সর্বশেষ খবর
পোস্টার লাগানোকে কেন্দ্র করে প্রার্থীর নির্বাচনি ক্যাম্পে ভাঙচুর ও গুলি বর্ষণ
পোস্টার লাগানোকে কেন্দ্র করে প্রার্থীর নির্বাচনি ক্যাম্পে ভাঙচুর ও গুলি বর্ষণ
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘনের অভিযোগ যুক্তরাষ্ট্রের
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘনের অভিযোগ যুক্তরাষ্ট্রের
এক মোটরসাইকেলে ৩ ব্যবসায়ী, কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় প্রাণ গেলো দুজনের
এক মোটরসাইকেলে ৩ ব্যবসায়ী, কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় প্রাণ গেলো দুজনের
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এই বছরই শেষ অ্যান্ডারসনের
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এই বছরই শেষ অ্যান্ডারসনের
সর্বাধিক পঠিত
ফোন ছিনতাইয়ের ঘটনায় জিডি নয়, মামলা নেওয়ার নির্দেশ
ফোন ছিনতাইয়ের ঘটনায় জিডি নয়, মামলা নেওয়ার নির্দেশ
২০ মিনিটে লালখানবাজার থেকে বিমানবন্দর, চলবে না অটোরিকশা-বাইক
২০ মিনিটে লালখানবাজার থেকে বিমানবন্দর, চলবে না অটোরিকশা-বাইক
সরকারি গাড়ির যথেচ্ছ ব্যবহার, তুলছেন ভ্রমণ বিলও
সরকারি গাড়ির যথেচ্ছ ব্যবহার, তুলছেন ভ্রমণ বিলও
একই গ্রাম থেকে নির্বাচিত হলেন তিন চেয়ারম্যান
একই গ্রাম থেকে নির্বাচিত হলেন তিন চেয়ারম্যান
প্রশ্নফাঁস: বিমানের ডিজিএমসহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে সম্পূরক অভিযোগপত্র
প্রশ্নফাঁস: বিমানের ডিজিএমসহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে সম্পূরক অভিযোগপত্র