দক্ষিণ চীন সাগরে মার্কিন নৌবাহিনীর জাহাজ পাঠানোর ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের নিন্দা জানিয়ে এমন আচরণকে ‘আক্রমণাত্মক’ বলে অভিহিত করেছে চীন। রবিবার যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত কুই তিয়ানকাই এক মার্কিন সংবাদমাধ্যমকে এসব কথা বলেন। সাক্ষাৎকারে তাইওয়ানের কাছে অস্ত্র বিক্রিরও প্রতিবাদ জানান তিয়ানকাই।
দক্ষিণ চীন সাগরের জলসীমা ও দ্বীপ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বহু বছর ধরে বিরোধ চলে আসছে। এসব দ্বীপের মালিকানা নিয়ে তারা এর আগে পরস্পরকে হুমকিও দিয়েছে। ওই জলসীমায় যুক্তরাষ্ট্রের জাহাজ চলাচলের ঘটনা নিয়ে চীনের সঙ্গে প্রায়ই উত্তেজনা তৈরি হয়।গত ৩০ সেপ্টেম্বর ওই এলাকায় চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের দুইটি যুদ্ধজাহাজ খুব কাছাকাছি চলে আসলেও অল্পের জন্যে সংঘর্ষ এড়িয়ে যায়। খবরে বলা হয়, শেষ পর্যন্ত চীনের যুদ্ধজাহাজটি মার্কিন রণতরীর গতিপথ পরিবর্তন করতে বাধ্য করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনী বলছে, চীনা জাহাজটি তাদের রণতরীর এতোটাই কাছে পৌঁছে গিয়েছিল যা কোনওভাবেই 'নিরাপদ নয় এবং অপেশাদারসুলভ।'বেইজিং বলছে, সাগরের স্প্র্যাটলি আইল্যান্ডস দ্বীপের গ্যাভেন অ্যান্ড জনসন রিফের পাশ দিয়ে যাচ্ছিল যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধজাহাজ ইউএসএস ডেকাটুর। যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, এ সময় ‘চীনের লুয়াং ডেস্ট্রয়ারটি ডেকাটুরের ৪৫ গজের মধ্যে চলে আসে।’
‘ফক্স নিউজ সানডে উইথ ক্রিস ওয়ালেস’ অনুষ্ঠানে ওই ঘটনা সম্পর্কে চীনা রাষ্ট্রদূত কুই তিয়ানকাই বলেন, ‘চীনা যুদ্ধজাহাজ ক্যালিফোর্নিয়ার উপকূল বা মেক্সিকো উপসাগরে যায়নি। তবে মার্কিন জাহাজ চীনা দ্বীপ ও চীনা উপকূলের খুব কাছে গেছে। তাই এখানে কে আক্রমণাত্মক আর কে রক্ষণাত্মক? এটা খুবই পরিষ্কার।’
অনুষ্ঠানে তাইওয়ানের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র বিক্রির সিদ্ধান্তেরও সমালোচনা করেন তিয়ানকাই। তিনি একে চীনের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ হিসেবে বর্ণনা করেন।