বুধবার পদত্যাগ করেছেন ভারতের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম জে আকবর। বিশ্বজুড়ে চলা মি টু হ্যাশট্যাগ ক্যাম্পেইনের আওতায় বহু নারী সাংবাদিক এক সময়ের সম্পাদক আকবরের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ তোলার পর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। এর আগে গত সোমবার অভিযোগ তোলা এক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছেন তিনি। বুধবার পদত্যাগের ঘোষণা দিয়ে দেওয়া বিবৃতিতে আকবর বলেছেন, অফিস থেকে পদত্যাগ করে মিথ্যা অভিযোগকে চ্যালেঞ্জ করাকেই যথাযথ বলে মনে করছি।
বিশ্বজুড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মি টু হ্যাশট্যাগে যৌন নিপীড়নের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন নারীরা। সেখানে অনেকেই নিজের সঙ্গে হওয়া যৌন নিপীড়নের ঘটনা নিয়ে সেখানে মুখ খুলেছেন। ভারতীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এমজে আকবরের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ প্রথমে তোলেন প্রিয়া রামানি নামের এক সাংবাদিক। ২০১৭ সালের ভোগ ম্যাগাজিনেও এই অভিজ্ঞতার কথা লিখেছিলেন তিনি। দীর্ঘদিন পর আবার সেটা নিয়ে আবারও টুইট করেন প্রিয়া। এরপর আরও পাঁচ নারী সাংবাদিক কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন।
সোমবার প্রিয়া রামানির বিরুদ্ধে মানহানি মামলা দায়ের করেন এক সময়ে সম্পাদক হিসেবে কাজ করা ৬৭ বছর বয়সী এম জে আকবর। বুধবার পদত্যাগের ঘোষণা দিয়ে এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, ‘যখন থেকে আমি নিজের সামর্থে আদালতের দারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি তখনই অফিস থেকে পদত্যাগ করে আমার বিরুদ্ধে তোলা ভুয়া অভিযোগ চ্যালেঞ্জ করাকেই সঠিক মনে করেছি’।
এম জে আকবর বর্তমানে বিজেপির রাজ্যসভা সাংসদ ও পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী। রাজনীতিতে প্রবেশের আগে সাংবাদিক হিসেবে সুপরিচিত ছিলেন আকবর। দ্য টেলিগ্রাফ, দ্য এশিয়ান এজ, দ্য সানডে গার্ডিয়ানের মতো প্রথম সারির সংবাদপত্রের সম্পাদনাও করেছেন কর্মজীবনে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, চাকরি দেওয়ার অজুহাতে নারী সাংবাদিকদের যৌন নিপীড়ন করতেন তিনি।
ভারতের সম্প্রচারমাধ্যম এনডিটিভির ওয়েবসাইটের খবরে বলা হয়েছে, প্রিয়া রামানির পর অন্তত ১৯ জন নারী সাংবাদিকও আকবরের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ তুলেছেন। নিজের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলা মোকাবিলার ঘোষণা দিয়েছেন প্রিয়া রামানি।