বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সেতু আগামী মঙ্গলবার চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং উদ্বোধন করবেন। এই সেতুটি হংকংয়ের সঙ্গে ম্যাকাউ ও চীনা শহর জুহাইকে সংযুক্ত করবে। নয় বছরে দুই হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে এই সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার উদ্বোধনের পর বুধবার সেতুটি সাধারণের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এখবর জানিয়েছে।
পরিকল্পনা অনুযায়ী সেতুটি ২০১৬ সালে চালু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বেশ কয়েকবার উদ্বোধনের তারিখ পিছিয়ে মঙ্গলবার উদ্বোধন করা হবে। চীনা নেতার পাশাপাশি এতে উপস্থিত থাকবেন ম্যাকাউ এবং হংকংয়ের নেতারা।
সেতুটির দৈর্ঘ্য ৫৫ কিলোমিটার। চীনের বৃহত্তর সামুদ্রিক এলাকার জন্য সেতুটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এই সেতুটি দক্ষিণ চীনের ৫৬ হাজার ৫০০ বর্গকিলোমিটার এলাকা, হংকং ও ম্যাকাউসহ ১১টি শহরকে যুক্ত করছে। এই এলাকায় প্রায় ৬৮ মিলিয়ন জনসংখ্যা রয়েছে।
চীনা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই সেতুর ফলে শহরগুলোতে যাতায়াতের সময় অনেক কমে যাবে। তিন ঘণ্টার ভ্রমণ করা যাবে মাত্র ৩০ মিনিটে। পর্যটক ও স্থানীয় সেতুটি ব্যবহার করে অনায়াসে অঞ্চলটিতে যাতায়াত করতে পারবেন। অবশ্য হংকংয়ের বাসিন্দারা বিশেষ অনুমতি ছাড়া সেতুটি পার হতে পারবে না। সেতু পার হতে আগ্রহী যানগুলো হংকং বন্দরে যেতে হবে। ইমিগ্রেশন শেষে সেখান থেকে শাটল বাস বা কার ভাড়া করতে হবে। একবার গমনের জন্য ৮-১০ ডলার ব্যয় করতে হবে শাটল বাসে।
সেতুটি হংকংয়ে সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। ম্যাকাউ বা জুহাই শহরের সংযুক্ত হওয়ার কোনও আকাঙ্ক্ষা নেই হংকংবাসীর। তাদের আশঙ্কা এর ফলে চীনের পর্যটকরা হংকংয়ে ভীড় জমাবে।