সৌদি আরবের একটি দাতব্য সংস্থায় প্রায় সব ধরনের সহায়তা বন্ধ করতে যাচ্ছে বিল ও মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন। মিসক নামের ওিই সংস্থাটি পরিচালনা করতেন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।
২ অক্টোবর ইস্তানবুলে সৌদি কনস্যুলেট ভবনে প্রবেশের পর নিখোঁজ হন সৌদি অনুসন্ধানী সাংবাদিক জামাল খাশোগি। ১৯ অক্টোবর মধ্যরাতে প্রথমবারের মতো সাংবাদিক জামাল খাশোগি নিহত হওয়ার কথা স্বীকার করে সৌদি আরব। তবে তারা দাবি করে, সৌদি কর্মকর্তারা খাশোগিকে দেশে ফিরিয়ে আনতে গিয়েছিলেন। তাকে হত্যার কোনও উদ্দেশ্য ছিল না। আর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সৌদি যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমানের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছে দেশটি। তবে সৌদি আরবের এমন দাবি মানছে না তুরস্কসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। তদন্ত অব্যাহত রেখেছেন ইস্তানবুলের চিফ প্রসিকিউটর।
গেটস ফাউন্ডেশনের মুখপাত্র জানিয়েছে, তাদের এই সিদ্ধান্ত নিতে বর্তমান পরিস্থিতি প্রভাবিত করেছে। এক বিবৃতিতে সংস্থাটি জানায়, জামাল খাশোগির অপহরণ ও হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি খুবই বিব্রতকর। আমরা বর্তমান পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি।
যুবরাজের ওই দাতব্য সংস্থায় ৫০ লাখ ডলার সহায়তার কথা ছিলো বিল ও মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের।
যুক্তরাষ্ট্রে স্বেচ্ছানির্বাসিত জামাল খাশোগি সৌদি সরকারের কঠোর সমালোচক ছিলেন। বিশেষ করে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সংস্কার পরিকল্পনার বিরোধী ছিলেন তিনি। হত্যাকাণ্ডের পর জনসমক্ষে কোনও বক্তৃতা দেননি যুবরাজ। বুধবার বিকালে এক সম্মেলনে প্রথম কথা বললেন তিনি। খাশোগির হত্যাকাণ্ডকে অত্যন্ত ঘৃণ্য অপরাধ উল্লেখ করে তিনি বলেন, অপরাধীর সাজা হবেই। তিনি বলেন, ‘এর সঙ্গে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনা হবে। সৌদি আরব ও তুরস্ক একযোগে কাজ করবে।’