ভারতের উত্তরাঞ্চলের একটি গ্রামের বাসিন্দারা মানুষখেকো এক বাঘিনীকে পিটিয়ে ও ট্রাক্টর চাপায় হত্যা করেছে। বাঘিনীর হামলায় এক ব্যক্তির মৃত্যু হলে উত্তেজিত জনতা এই কাণ্ড ঘটায় বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বন কর্মকর্তারা। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এখবর জানিয়েছে।
অভনি নামের মানুষখেকো এক বাঘিনীকে বন কর্মকর্তারা গুলি করে হত্যার পরই এই ঘটনা ঘটলো। ধারণা করা হয়, গত দুই বছরে ভারতের পশ্চিমাঞ্চলে অভনি অন্তত ১৩ জনকে হত্যা করেছে।
বন কর্মকর্তা মহাবীর কউজলাগি জানান, উত্তর প্রদেশের দুধওয়া বাঘ সংরক্ষণ এলাকায় রবিবার প্রায় ৩০০ গ্রামবাসী মিছিল করে প্রবেশ করে। তারা বনরক্ষীদের মারধর করে এবং লোহার রড ও কুড়াল দিয়ে বাঘিনীর ওপর হামলা চালায়।
এই কর্মকর্তা জানান, ওই দিন সন্ধ্যায় পার্কে বেড়াতে আসা এক ব্যক্তি বাঘিনীর হামলায় নিহত হলে গ্রামবাসী প্রতিশোধ নিতে এই সহিংসতা চালায়। গ্রামবাসীর দাবি, কয়েক দিন আগে আরেক ব্যক্তিও এই বাঘিনীর হামলার শিকার হয়েছিল।
কউজলাগি বলেন, উত্তেজিত গ্রামবাসীরা নির্দয়ভাবে বাঘিনীকে পিটিয়ে আহত করে পরে একটি ট্রাক্টর দিয়ে পিষে ফেলা হয়। বণ্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে একটি মামরা দায়ের করা হয়েছে। শিগগিরই গ্রেফতার করা হবে আসামিদের।
চালতুয়া নামের এই গ্রামটি সংরক্ষণ অঞ্চলের কাছেই অবস্থিত। গ্রামবাসীরা অন্যত্র চলে যেতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।
বাঘিনী হত্যার এই ঘটনার পর সামাজিক মাধ্যমে ভারতীয় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। শুক্রবার অভনি হত্যার পর শুরু হওয়া বিক্ষোভ আরও জোরদার হয়েছে।
ভারতের বনে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বাঘ রয়েছে। ২০১৪ সালের সর্বশেষ বাঘ শুমারি অনুযায়ী দেশটিতে বাঘের সংখ্যা ২ হাজার ২২৬।