ইন্দোনেশিয়ার সাগরে বিধ্বস্ত হওয়া লায়ন এয়ারের এক যাত্রীর পরিবার বোয়িং কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। বোয়িং বিমানের নকশায় ত্রুটির অভিযোগে এই মামলা দায়ের করা হয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এখবর জানিয়েছে।
২৯ অক্টোবর লায়ন এয়ারের বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স বিমানটি বিধ্বস্ত হলে ১৮৯ জন নিহত হন। পাইলট জাকার্তা বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের কিছুক্ষণের মধ্যেই ফিরে আসার অনুমতি চাইলেও কিছুক্ষণের মধ্যেই তা জাভা সাগরে ডুবে যায়।
বৃহস্পতিবার নিহত রিও নান্দা প্রাতামার বাবা-মায়ের পক্ষ ফ্লোরিডাভিত্তিক একটি আইনি প্রতিষ্ঠান মামলাটি দায়ের করেছে। মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, মার্কিন এই বিমান নির্মাতা কোম্পানি তাদের নতুন ৭৩৭ ম্যাক্স বিমানের স্বয়ংক্রিয় ও অপ্রত্যাশিতভাবে নিচে নেমে যাওয়ার বিষয়ে পাইলটদের অবহিত করতে ব্যর্থ হয়েছে।
ইন্দোনেশিয়ায় বিধ্বস্ত হওয়া লায়ন এয়ারের একটি বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স এইট বিমান সাগরে বিধ্বস্ত হয়। সেই বিমানটির ব্ল্যাকবক্স থেকেও সেন্সরের ত্রুটিপূর্ণ তথ্য দেওয়ার আভাস পাওয়া গিয়েছিল। আমেরিকান এয়ারলাইন্সের মুখপাত্র জানিয়েছেন, বোয়িং কোম্পানির তৈরি ৭৩৭ ম্যাক্স এইট বিমানের একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্যের বিষয়ে তারা গত সপ্তাহ পর্যন্ত অন্ধকারে ছিলেন। অটোপাইলট চালু না থাকলেও বিমানের সেন্সর থেকে পাওয়া ত্রুটিপূর্ণ তথ্যের কারণে বিমানটির সম্মুখভাগ স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিচে নেমে যেতে থাকে। এই বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জানা না থাকায় বৈমানিকদের পক্ষে বিমান নিয়ন্ত্রণ করাটা দুরূহ হয়ে দাঁড়ানো স্বাভাবিক।
গত সোমবার ইন্দোনেশিয়ার বিমান দুর্ঘটনার তদন্তকারীরাও একই কথা বলেছিলেন। তাদের ভাষ্য, দুর্ঘটনা যে পরিস্থিতিতে ঘটেছে সে বিষয়ে ফ্লাইট ম্যানুয়ালে কোনও কিছু উল্লেখ করা নেই। যুক্তরাষ্ট্রের বৈমানিকদের সংগঠনের দাবিও একই রকম। তারাও জানতেন না বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স এইট বিমানে এমন কোনও বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
বোয়িং জানিয়েছে, তদন্ত চলমান এমন কোনও বিষয়ে তারা মন্তব্য করতে পারে না।