X
বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪
১১ বৈশাখ ১৪৩১

ইদলিবে হামলা জোরদার করছে সরকারি বাহিনী

বিদেশ ডেস্ক
১৮ নভেম্বর ২০১৮, ০৪:৫১আপডেট : ১৮ নভেম্বর ২০১৮, ০৫:১১

সিরিয়ার ইদলিবে সরকারি বাহিনী সামরিক অভিযান জোরদার করছে বলে জানিয়েছে বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠী। তাদের অভিযোগ সেনামুক্ত অঞ্চলে সরকারি বাহিনী ও তাদের মিত্ররা হামলা শুরু করেছে। রাশিয়া ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় সেই অঞ্চলে অস্ত্রবিরতি চলছিলো বলে দাবি বিদ্রোহীদের।

ইদলিবে হামলা জোরদার করছে সরকারি বাহিনী

সিরিয়ার ইদলিব টিকে থাকা বিদ্রোহীদের সর্বশেষ শক্তিশালী অবস্থান সেখানে অস্ত্রবিরতির উদ্দেশ্যে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন, ইরানের প্রেসিডেন্ট রুহানি ও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান বৈঠকে বসলেও পুতিন ও রুহানি এর বিরুদ্ধে যান। পুতিনের ভাষ্য, ইসলামিক স্টেট ও জাভাত আল নুসরার মতো জঙ্গি সংগঠনগুলো তো আর এই অস্ত্র বিরতির চুক্তি মেনে চলবে না। তরাপরও সেপ্টম্বরে সেখানে সেনামুক্ত অঞ্চল তৈরির ব্যাপারে একমত হয় রাশিয়া ও তুরস্ক।

বিদ্রোহীরা জানায়, বিদ্রোহী অধ্যুষিত গ্রামগুলোতে সেনাবাহিনী মর্টার ও রকেট হামলণা শুরু করেছে। হামার উত্তরাঞ্চলীয় ও ইদলিবের দক্ষিণাঞ্চলীয় ওই শহরগুলো সেনামুক্ত অঞ্চলের আওতায় পড়েছে।

তুর্কি সমর্থিত বিদ্রোহী গোষ্ঠী ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্টের মুখপাত্র ক্যাপ্টেন আবু হুথাইফা বলেন, সিরিয়া সরকার সেনামুক্ত অঞ্চলে থাকা গোষ্ঠীর ওপর হামলা চালিয়েছে। আমরাও তাদের ঘাঁটিতে হামলার মাধ্যমে জবাব দিয়েছি।

সিরিয়ায় ২০১১ সালে শুরু হওয়া গৃহযুদ্ধে আড়াই লাখ মানুষ নিহত হয়েছেন। বাস্তুচ্যুত হয়েছেন ১০ লাখের বেশি মানুষ। সিরিয়ার চলমান সংকট নিয়ে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান বিপরীতধর্মী। বর্তমান প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। এ জন্য তারা আসাদ সরকারের বিদ্রোহ ঘোষণাকারী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে অস্ত্র দিয়ে সহযোগিতা করছে এবং ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধে বিমান হামলা চালাচ্ছে। তবে আসাদ সরকারের দাবি, আইএসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের নামে যুক্তরাষ্ট্র মূলত বিদ্রোহীদের সহযোগিতা করতে সরকারি বাহিনীর ওপর হামলা চালায়। আর রাশিয়া বাশার আল আসাদকে ক্ষমতায় দেখতে চায়। আসাদ সরকারের সমর্থনে রাশিয়া-ইরানও আইএস এবং বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে বিমান হামলা চালাচ্ছে। সিরিয়া সংকটকে কেন্দ্র করে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র ছায়াযুদ্ধে মেতে উঠেছে বলে অনেকেই মনে করেন।

 

/এমএইচ/
সম্পর্কিত
ইসরায়েলের আকরে শহরে হামলার দাবি করলো হিজবুল্লাহ
গাজার হাসপাতালে গণকবর, আতঙ্কিত জাতিসংঘ মানবাধিকার প্রধান
ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিতে গিয়ে অন্তত ৫ অভিবাসী নিহত
সর্বশেষ খবর
ডিইউজে নির্বাচনে সভাপতি পদের মীমাংসা মামলার শুনানি ২৫ এপ্রিল
ডিইউজে নির্বাচনে সভাপতি পদের মীমাংসা মামলার শুনানি ২৫ এপ্রিল
জুড়ী উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে মারধরের অভিযোগ
জুড়ী উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে মারধরের অভিযোগ
দক্ষিণখানে ভবনের চার তলা থেকে পড়ে নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু
দক্ষিণখানে ভবনের চার তলা থেকে পড়ে নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু
ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল গ্র্যাজুয়েট হলেন ১৯ জ্যেষ্ঠ রাজনীতিক
ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল গ্র্যাজুয়েট হলেন ১৯ জ্যেষ্ঠ রাজনীতিক
সর্বাধিক পঠিত
সিয়াম-মেহজাবীনের পাল্টাপাল্টি পোস্টের নেপথ্যে…
সিয়াম-মেহজাবীনের পাল্টাপাল্টি পোস্টের নেপথ্যে…
‘মারামারি’র ঘটনায় মিশা-ডিপজলের দুঃখপ্রকাশ
‘মারামারি’র ঘটনায় মিশা-ডিপজলের দুঃখপ্রকাশ
মিয়াবতী থেকে পিছু হটলো মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা?
মিয়াবতী থেকে পিছু হটলো মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা?
আজকের আবহাওয়া: কোথায় কেমন গরম পড়বে
আজকের আবহাওয়া: কোথায় কেমন গরম পড়বে
ছয় দিনের সফরে ব্যাংকক গেলেন প্রধানমন্ত্রী
ছয় দিনের সফরে ব্যাংকক গেলেন প্রধানমন্ত্রী