ইয়েমেন যুদ্ধে ভূমিকার কারণে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবু ধাবি’র যুবরাজ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল-নাহিয়ানের বিরুদ্ধে ফ্রান্সে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ফরাসি একটি মানবাধিকার সংস্থার পক্ষ থেকে এই মামলা দায়ের করা হয়। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এখবর জানিয়েছে।
দ্য অ্যালায়েন্স ফর দ্য ডিফেন্স অব রাইটস অ্যান্ড ফ্রিডমস (এআইডিএল) নামের ওই মানবাধিকার সংস্থাটি আমিরাতি যুবরাজের বিরুদ্ধে ইয়েমেনে যুদ্ধাপরাধ, নির্যাতন ও অমানবিক আচরণে সহযোগিতার অভিযোগ এনেছে। যুবরাজের ফ্রান্স সফরের সময়েই এই মামলা দায়ের করা হলো।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, বুধবার ফরাসি আইনজীবী জোসেফ ব্রেহাম মামলাটি দায়ের করেন।
এর আগে ফ্রান্স সফরের সময়ে সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের বিরুদ্ধেও একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল।
২০১৪ সালে ইরান সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীরা সাবেক প্রেসিডেন্ট আলী আব্দুল্লাহ সালেহর প্রতি অনুগত সেনা সদস্যদের সঙ্গে একজোট হয়ে সানাসহ দেশের বড় একটি অংশ নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন সংঘাতে বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে ইয়েমেন। ২৬ মার্চ ২০১৫ থেকে ইয়েমেনে ‘অপারেশন ডিসাইসিভ স্টর্ম’ নামে সামরিক অভিযান পরিচালনা শুরু করে সৌদি আরবের নেতৃত্বে আরব জোট। এই জোটে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। ইয়েমেনের ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট আব্দ-রাব্বু মানসুর হাদির কর্তৃত্ব পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে এ বিমান অভিযান পরিচালনা করা হয়। এর আগে দেশজুড়ে ইরান সমর্থিত শিয়াপন্থী হুথি বিদ্রোহীদের উত্থানের মুখে দেশ ছাড়েন মানসুর হাদি। ইয়েমেনে সৌদি বিমান হামলা শুরুর পর ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। ঘরহারা হয়েছে কয়েক লাখ মানুষ।
সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সৌদি আরবের ঘনিষ্ট মিত্র ফ্রান্স। আবু ধাবিতে ২০০৯ সাল থেকে ফ্রান্সের একটি সামরিক ঘাঁটি রয়েছে। সম্প্রতি এই দুই আরব দেশের কাছে অস্ত্র বিক্রি করতে ফরাসি প্রেসিডেন্টের ওপর চাপ বাড়ছে।