X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

বায়ুমণ্ডলে রেকর্ড মাত্রার গ্রিনহাউস গ্যাস, ধ্বংসাত্মক প্রভাবের আশঙ্কা ডব্লিউএমও'র

বিদেশ ডেস্ক
২২ নভেম্বর ২০১৮, ১৮:২১আপডেট : ২২ নভেম্বর ২০১৮, ২২:৩০
image

বায়ুমণ্ডলে গ্রিনহাউস গ্যাসের উপস্থিতি কমার কোনও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। বরং, ২০১৭ সালে বায়ুমণ্ডলে গ্রিনহাউস গ্যাসের পরিমাণ আরও বেড়ে নতুন রেকর্ড মাত্রায় পৌঁছেছে। এ পরিস্থিতি চলতে থাকলে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় পদক্ষেপ নেওয়ার সুযোগও প্রায় বন্ধ যাবে। বায়ুমণ্ডলে গ্রিনহাউস গ্যাসের উপস্থিতি নিয়ে বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (ডব্লিউএমও) প্রকাশিত সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদনে এ সতর্কতা দেওয়া হয়েছে।

কার্বন নিঃসরণ (প্রতীকী ছবি)
ডব্লিউএমও’র প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ২০১৭ সালে বাতাসে কার্বন ডাই অক্সাইডের গড় ঘনত্বের পরিমাণ বেড়ে নতুন করে রেকর্ড মাত্রায় পৌঁছেছে। ২০১৭ সালে কার্বন ডাই অক্সাইডের গড় ঘনত্ব ছিল ৪০৫.৫ পিপিএম (পার্টস পার মিলিয়ন)। ২০১৬ সালে এর মাত্রা ছিল ৪০৩.৩ পিপিএম ও ২০১৫ সালে এর মাত্রা ছিল ৪০০.১ পিপিএম। কয়েক লাখ বছরের মধ্যে বায়ুমণ্ডলে এতো বেশি মাত্রায় কার্বন ডাই অক্সাইডের গড় ঘনত্ব দেখা যায়নি।

বায়ুমণ্ডলে মিথেন ও নাইট্রাস অক্সাইডের মতো গুরুত্বপূর্ণ গ্রিনহাউস গ্যাসের উপস্থিতিও বেড়েছে বলে সতর্ক করেছে ডব্লিউএমও। তাছাড়া সিএফসি-১১ নামের ‌ওজনস্তর ক্ষয়কারী উপাদানের উপস্থিতিও বেড়েছে বায়ুমণ্ডলে।

ডব্লিউওমও’র প্রতিবেদনে উদ্বেগ জানিয়ে বলা হয়, বায়ুমণ্ডলে গ্রিনহাউস গ্যাসের মাত্রা কমার কোনও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। গ্রিনহাউস গ্যাসগুলো জলবায়ু পরিবর্তনে ভূমিকা পালন করছে, এতে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়ে যাচ্ছে, আবহাওয়ার অবস্থা দিন দিন খারাপ হচ্ছে।  

ডব্লিউএমও-এর মহাসচিব পেট্টেরি তালাস বলেন, ‘বিজ্ঞান এখানে স্পষ্ট। দ্রুত বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই অক্সাইড ও অন্য গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণ না কমালে পৃথিবীতে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব আরও বেশি ধ্বংসাত্মক হবে এবং তা অপরিবর্তনীয় হয়ে পড়বে।

এর আগে গত ৮ অক্টোবর জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক আন্তঃরাষ্ট্রীয় প্যানেল (আইপিসিসি) তাদের এক বিশেষ প্রতিবেদনে সতর্ক করেছে, কার্বন নিঃসরণের বর্তমান ধারা অব্যাহত থাকলে ১২ বছরের মধ্যে পৃথিবীতে খরা, বন্যা আর ভয়াবহ তাপপ্রবাহের মতো মহাবিপর্যয় নেমে আসতে পারে। উষ্ণতা বৃদ্ধির বিপর্যয়পূর্ণ এই মাত্রার লাগাম টেনে ধরতে ‘সমাজের সবক্ষেত্রে দ্রুত,বহুদূরপ্রসারিত ও নজিরবিহীন পরিবর্তন’র অপরিহার্যতা তুলে ধরে জাতিসংঘ প্যানেল। 

বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির কারণে মেরু প্রান্তের বরফগুলো দ্রুত গলছে বলে বারবারই সতর্ক করে আসছেন বিজ্ঞানীরা। যুক্তরাষ্ট্রের আবহাওয়া বিষয়ক দফতর, মার্কিন মহাকাশ সংস্থা এবং যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ওশেনিক ও অ্যাটমোসফেরিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের সাম্প্রতিক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ২০১৭ সাল ছিল এযাবৎকালের উষ্ণতম বছরগুলোর একটি। নাসা ও ন্যাশনাল ওশেনিক অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফেরিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এনওএএ)-এর রেকর্ডকৃত ১৩৫ বছরের তাপমাত্রা বিশ্লেষণ করে মার্কিন বার্তা সংস্থা এপি জানিয়েছে, ১৯৭৬ সালের পরবর্তী কোনও বছরই শীতলতম বলে স্বীকৃতি পায়নি। তাপমাত্রা পর্যবেক্ষণ কর্মসূচি বার্কেলি আর্থ-এর বিশেষজ্ঞ জেকে হাউসফাদার এপিকে বলেন, ‘গত ৫০ বছরে বিশ্ব ধীরে ধীরে উষ্ণ হচ্ছে। ১৮৫০-এর দশকের পর থেকে রাখা রেকর্ড অনুযায়ী, গত ১৮ বছরের মধ্যে ১৭টি বছরই উষ্ণতম আখ্যা পেয়েছে।’ 

/এফইউ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
দেশের তথ্যপ্রযুক্তি বিশ্ব দরবারে উপস্থাপন করতে চান রাশেদুল মাজিদ
দেশের তথ্যপ্রযুক্তি বিশ্ব দরবারে উপস্থাপন করতে চান রাশেদুল মাজিদ
আগুন নেভাতে ‘দেরি করে আসায়’ ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে হামলা, দুই কর্মী আহত
আগুন নেভাতে ‘দেরি করে আসায়’ ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে হামলা, দুই কর্মী আহত
কুষ্টিয়ায় ৩ হাজার গাছ কাটার সিদ্ধান্ত স্থগিত
কুষ্টিয়ায় ৩ হাজার গাছ কাটার সিদ্ধান্ত স্থগিত
ট্রাকের চাপায় অটোরিকশার ২ যাত্রী নিহত
ট্রাকের চাপায় অটোরিকশার ২ যাত্রী নিহত
সর্বাধিক পঠিত
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা