রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যকার সামুদ্রিক সংঘর্ষের পর রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে একটি বৈঠক বাতিল করার হুমকি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টকে তিনি জানিয়েছেন, তিনি রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের নতুন বিরোধ সম্পর্কে ‘পুরো প্রতিবেদনে’র অপেক্ষা করছেন।
রবিবার রাশিয়া ইউক্রেনের বারডিযানস্ক এবং নিকোপল যুদ্ধজাহাজ এবং দি ইয়ানা কাপা জাহাজ জব্দ করেছে। ইউক্রেনের দাবি, রাশিয়া জাহাজের পথ আটকাতে চেষ্টা করে, যদিও এরপর নৌযানগুলো কের্চ স্ট্রেইটের উদ্দেশ্যে চলছিল কিন্তু ট্যাংকার দ্বারা বাধাপ্রাপ্ত হয়। এছাড়া রুশ বাহিনীর গুলিতে জাহাজে থাকা ৬ সেনা আহত হয়েছে বলেও জানিয়েছে ইউক্রেন। আর রাশিয়ার অভিযোগ, নৌযানগুলা অবৈধভাবে তাদের জলসীমায় প্রবেশ করেছিল এবং নিরাপত্তার কারণে ওই পথে চলাচল সাময়িকভাবে স্থগিত থাকবে। এ ঘটনার পর রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের পাশাপাশি ইউরোপেরও উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। আর রাশিয়ার এমন আচরণের পর দেশের সশস্ত্র বাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রেখেছে ইউক্রেন। ২৮ নভেম্বর থেকে ৩০ দিনের জন্য সামরিক শাসনও জারি করা হয়েছে দেশটিতে।
এই সপ্তাহে আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েনস আইরেসে হতে যাওয়া জি-টুয়েন্টি সম্মেলনের পার্শ্ব বৈঠকে মিলিত হওয়ার কথা রয়েছে ট্রাম্প ও পুতিনের। তবে ট্রাম্পের বক্তব্যের পর তা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। ট্রাম্প ওয়াশিংটন পোস্টকে বলেছেন, তার জাতীয় নিরাপত্তা দলের কাছ থেকে আসতে যাওয়া প্রতিবেদন ‘খুবই সুনির্দিষ্ট’। তিনি বলেন, ‘হতে পারে আমি (পুতিনের সঙ্গে) বৈঠকই করবো না। হতে পারে আমি কখনই বৈঠক করবো না। আমি আগ্রাসন পছন্দ করি না। আমি ওই আগ্রাসন একেবারেই চাই না।’
এর আগে ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন সাংবাদিকদের বলেছিলেন, আগামী শুক্র ও শনিবার হতে যাওয়া বৈঠকে ট্রাম্প ও পুতিন নিরাপত্তা, অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ এবং ইউক্রেন ও মধ্যপ্রাচ্যের বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করবেন।
বর্তমান ইস্যুতে ইউক্রেনকে আরও সহায়তা করতে ইউরোপীয় দেশগুলোকে আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হেইদার নুয়ের্ট বলেন, যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার আরও কঠিন প্রয়োগ দেখতে চায়। সূত্র: বিবিসি।