জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা ম্যার্কেল ক্ষমতাসীন ক্রিস্চিয়ান ডেমোক্র্যাট (সিডিইউ) পার্টির দলীয় প্রধানের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। শুক্রবার হ্যামবার্গে বিদায়ী ভাষণের মধ্যদিয়ে তিনি পদত্যাগ করেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এখবর জানিয়েছে।
আবেগঘন বিদায়ী ভাষণে ম্যার্কেল বলেন, আমাদের উদার মূল্যবোধ অবশ্যই অভ্যন্তরীণ ও বহির্গতভাবে রক্ষা করতে হবে।
ভাষণ শেষে উপস্থিতদের করতালির পরও ছয় মিনিট মঞ্চে দাঁড়িয়ে থাকেন ম্যার্কেল। অনুষ্ঠানে ম্যার্কেলের ১৮ বছরের নেতৃত্বের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয় একটি ভিডিও প্রদর্শনের মাধ্যমে। এতে ম্যার্কেলের নেতৃত্বে দলটির গুরুত্বপূর্ণ কর্মকাণ্ড তুলে ধরা হয়েছে।
ভাষণে তিনি আনারগ্রেট ক্রাম্প-কারেনবাউয়েরকে তার উত্তরসূরী হিসেবে সমর্থনের ইঙ্গিত দেন। শুক্রবরাই দলটি ম্যার্কেলের জায়গা নতুন দলীয় প্রধান নির্বাচন করবে। প্রার্থী হিসেবে ক্রাম্পসহ তিনজন আলোচনায় রয়েছেন। অপর দুই প্রার্থী হলেন ফ্রিডরিশ ম্যার্ৎস এবং ইয়েন্স স্পান।
জার্মানির সরকারি প্রচারমাধ্যম এআরডি'র সবশেষ জরিপ অনুসারে, ৪৫ শতাংশ ভোটার সিডিইউর প্রধান হিসেবে কারেনবাউয়ারকে চান। তিনি বর্তমানে দলের সাধারণ সম্পাদক। ম্যার্কেল তার উত্তরসূরি বিবেচনা করে কারেনবাউয়ারকে ফেব্রুয়ারিতে দলের এই গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়ে আসেন বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন। ফলে কারেনবাউয়ার নির্বাচিত হলে দলে ম্যার্কেলের নীতিই বহাল থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে। তাই মাঝেমধ্যে কারেনবাউয়ারকে ‘মিনি-ম্যার্কেল' হিসেবেও উল্লেখ করা হয়েছে।
এআরডির জরিপে দ্বিতীয় স্থানে আছেন ফ্রিডরিশ ম্যার্ৎস। প্রায় ৩০ শতাংশ ভোটার তাকে ম্যার্কেলের উত্তরসূরি হিসেবে পছন্দ করেছেন। তবে ম্যার্কেলের শরণার্থী নীতির সমর্থক নন তিনি। বরং ম্যার্ৎসের অভিবাসনবিরোধী বক্তব্যের কারণে জার্মানির জোট সরকারের অংশ এসপিডি তাকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে মেলাতে গিয়ে ‘ট্রাম্প লাইট' হিসেবে উল্লেখ করেছে। এমনকি জার্মানির অভিবাসনরোধী দল এএফডি ম্যার্ৎসের বিরুদ্ধে তাদের নীতি চুরি করার অভিযোগ এনেছে।