চলমান কাতার সংকট সমাধানের কোনও রূপরেখা হাজির করা ছাড়াই শেষ হয়েছে উপসাগরীয় দেশগুলোর জোট গাল্ফ কোঅপারেশ কাউন্সিলের (জিসিসি) ৩৯ তম সম্মেলন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানায়, সম্মেলনে কাতার সংকটের বিষয়টি নিয়ে কোনও আলোচনাই হয়নি।
২০১৭ সালের জুনে কাতারের বিরুদ্ধে আকাশ, জল ও স্থল পথে অবরোধ ও কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে সৌদি আরব, বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মিসর। দেশগুলো কাতারের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদকে সমর্থনের অভিযোগ আনে। কাতার এ অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করেছে, দেশটির সার্বভৌমত্বকে হুমকির মুখে ফেলতেই এই অবরোধ জারি করা হয়েছে।
আল জাজিরা জানায়, সম্মেলনে কাতার সংকটের বিষয়টি উত্থাপিত না হলেও শেষে যৌথ ঘোষণায় ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
সম্মেলনে কাতার সংকট নিয়ে আলোচনা না করায় যৌথ ঘোষণার সমালোচনা করেছেন কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র।
এবারের সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য কাতারের আমির তামিম বিন হামাদ আল-থানিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বিন আব্দুলআজিজ। কিন্তু কাতারি আমির সম্মেলনে যোগ দেননি। তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুলতান বিন সাদ আল মুরাইখর নেতৃত্বে কাতারি একটি প্রতিনিধি দলকে সম্মেলনে পাঠান।
সম্মেলনের পর রবিবার এক সংবাদ সম্মেলনে সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আদেল আল-জুবেইর জানান, সামরিক অভিযান ও প্রশিক্ষণ এবং নিরাপত্তা ও মন্ত্রী পর্যায়ে আলোচনার মতো বিষয়ে কাতারের সঙ্গে জিসিসির সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। তিনি বলেন, কাতার সংকটের কারণে কাউন্সিলের গঠন ও কাঠামোতে কোনও নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না বলে সদস্যরা একমত।
জিসিসি গঠিত হয়েছিল ১৯৮১ সালে। আরব অঞ্চলের দেশগুলোর অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংস্থাটির উদ্দেশ্য ছিল সদস্য দেশগুলোর অর্থনৈতিক উন্নতি, নিরাপত্তা বিধান ও সাংস্কৃতিক সহযোগিতা নিশ্চিত করা। এর সদস্য বাহরাইন, কুয়েত, ওমান, কাতার, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত।