ক্রমেই ঘনীভুত হতে থাকা অভিবাসন সংকটকে সামাল দিতে জাতিসংঘের নতুন প্রস্তাবিত চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ব্রাজিল। দেশটির পরবর্তী বৈদেশিক সম্পর্ক বিষয়ক মন্ত্রী জানায়, তারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একমত হয়ে এই সমঝোতায় থাকছে না।
গত জুলাই মাসে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া জাতিসংঘের অন্যান্য সকল সদস্যের মতৈক্যের ভিত্তিতে চুক্তিটির খসড়া গৃহীত হয়। ট্রাম্প প্রশাসনের কঠোর অভিবাসন নীতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ না হওয়ার কথা উল্লেখ করে যুক্তরাষ্ট্র গতবছর এই প্রক্রিয়া থেকে বের হয়ে যায়।
সোমবার মরক্কোর মারাকাশে দুই দিনব্যাপী জাতিসংঘের ‘বৈশ্বিক অভিবাসন সমঝোতাবিষয়ক আন্ত সরকার সম্মেলনের’ শুরুতেই চুক্তিটি অনুমোদনের ঘোষণা দেওয়া হয়। চুক্তিতে ২৩টি লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে, যাতে বৈধ অভিবাসনকে সহযোগিতা করা, অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম নিরুৎসাহ ও বিদেশভীতি (জিনোফোবিয়া) দূর করার কথা বলা হয়েছে।
নিরাপদ, সুশৃঙ্খল ও বৈধ অভিবাসনের জন্য বৈশ্বিক চুক্তি’ (গ্লোবাল কমপ্যাক্ট ফর সেফ, অর্ডারলি অ্যান্ড লিগ্যাল মাইগ্রেশন শীর্ষ এই চুক্তিতে আগে থেকেই সম্মত ছিলো না যুক্তরাষ্ট্র। এবার ব্রাজিলের পরবর্তী পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন,এই চুক্তিতে অনুপোযুক্ত বিষয় ব্যবহার করা হয়েছে। আগামী জানুয়ারিতে দায়িত্ব নেবেন তিনি।
এখন পর্যন্ত ১০টি দেশ এই চুক্তি থেকে বেরিয়ে গেছে যাদের বেশিরভাগই পূর্ব ইউরোপের। জতিসংঘের হিসাব মতে, বিশ্বে এখন ২৫ কোটি ৮০ লাখ অভিবাসী রয়েছে, যা বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৩.৪ শতাংশ। আর বিশ্বে মোট অভিবাসীদের মধ্যে ৪৯ শতাংশই বৃদ্ধি পেয়েছে ২০০০ সালের পর।