X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

সামরিকতার ছায়াতলে কেমন আছেন সু চি?

বিদেশ ডেস্ক
২০ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৭:৩৮আপডেট : ২১ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৯:০৪
image

গৃহবন্দিত্ব থেকে দ্বিতীয় দফায় মুক্ত হওয়ার পর যেন এক পৌরাণিক চরিত্র হয়ে উঠেছিলেন অং সান সু চি। ২০১৫ সালের নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পায় তার দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসি (এনএলডি)। এই বিজয় মিয়ানমারের নিপীড়িত শতাধিক জনগোষ্ঠীকে নয় কেবল, আশাবাদী করে তোলে আন্তর্জাতিক অঙ্গনকেও। সবাই মনে করেছিল, এবার মিয়ানমার বদলাবে। শান্তি-স্থিতিশীলতা আর স্বাধীনতার দিন আসতে শুরু করবে সেখানে। অথচ ৩ বছরের ব্যবধানে সু চি এখন সমালোচকদের লক্ষ্যবস্তু। এককালে যাকে গণতান্ত্রিক সংগ্রামের এশীয় অগ্রদূত বলে মনে করা হতো, সেই সু চি আজ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মানুষের ওপর সামরিক ‘নিধনযজ্ঞ’ আর ‘গণহত্যা’র নীরব সমর্থক কিংবা অনুমোদনকারী। এককালে যিনি ‘নৈতিকতার প্রতীক’ ছিলেন, স্বীকৃতি পেয়েছিলেন এশীয় ম্যান্ডেলার, সেই তিনিই আজ মানবাধিকার হরণে অভিযুক্ত। সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে আপোষহীন সংগ্রামের স্বীকৃতি হিসেবেই নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছিলেন সু চি। আজ সেই সেনাবাহিনীর সঙ্গেই ডি-ফ্যাক্টো সরকারের প্রতিনিধি তিনি। সামরিকতার ছায়াতলে কেমন আছেন সু চি? ঘনিষ্ঠ বন্ধু, জাতিসংঘের সাবেক কর্মকর্তা, মিয়ানমারে নিযুক্ত সাবেক মার্কিন কূটনীতিক, অস্ট্রেলিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট আরও অনেকের সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে সু চির বর্তমান অবস্থান ও অবস্থার খবর তুলে এনেছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
সামরিকতার ছায়াতলে কেমন আছেন সু চি?

কেউ কেউ মনে করছেন, সু চি নিঃসঙ্গ। দীর্ঘ সময়ের গৃহবন্দিত্ব আর যথার্থ রাজনৈতিক সহযোগীর অনুপস্থিতিতে সু চি নিজে যা বোঝেন তাতেই অটল থাকেন। তবে তিনি যা বোঝেন, তা যথাযথ তথ্যভিত্তিক নয়। অন্যদিকে সমালোচকরা মনে করেন, সু চির মূল লক্ষ্য মিয়ানমারের সামরিক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো রাখা। রোহিঙ্গাসহ অন্যান্য ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর ওপর চালানো নিপীড়ন প্রশ্নে নীরব থেকে সংখ্যাগরিষ্ঠ বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীর সমর্থন নিশ্চিত করতে চান তিনি। তবে সহযোগীদের কাছে এখনও তিনি ‘আশার শেষ প্রদীপ।’

সু চির বন্ধু, উপদেষ্টা, কূটনীতিক এবং দীর্ঘকালীন পর্যবেক্ষকদের ভাষ্যমতে, সু চি ‘নীতিবান এবং একনিষ্ঠ নেতা’ হলেও তার ত্রুটি রয়েছে, রয়েছে নিঃসঙ্গতাও। একদিকে তার সক্ষমতা যেমন সীমিত, তেমনি  সীমাহীন প্রত্যাশার চাপ রয়েছে তার ওপর। কেউ কেউ বলেন, অং সান সু চি নৃতাত্ত্বিক সংখ্যালঘুদের প্রতি সহানুভূতিশীল নন এবং তাদের ওপর হওয়া নিপীড়নকে দেরিতে অনুধাবন করেছেন। অন্যরা বলেছেন, সেনাবাহিনীর পাপের দায় চাপানো হচ্ছে সু চি র ঘাড়ে। আর যখন তার আন্তর্জাতিক সমর্থন অনেক বেশি দরকার ছিল, তখনই তাকে সে সহায়তা থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। এসব বিষয়ে সু চি র মুখপাত্রের কাছে রয়টার্স কিছু প্রশ্ন পাঠিয়ে জবাব পায়নি। 

সেনা কর্তৃপক্ষ দ্বিতীয় দফায় ২০০০ সালে গ্রেফতার করে। ১৯ মাসের জন্য তাকে আটক অবস্থায় থাকতে হয়। তার মুক্তিলাভের পর ২০০৩ সালে সামরিক জান্তার সমর্থক গুণ্ডারা হামলা চালিয়ে তার সমর্থকদের  বেশ কয়েকজনকে হত্যা করে। এরপর সু চিকে আবারও দীর্ঘ সময়ের জন্য গৃহবন্দি করে রাখা হয়। সেসময় মিয়ানমারে কর্মরত জাতিসংঘের কর্মকর্তাদের মধ্যে জ্যেষ্ঠতম ছিলেন চার্লস পেট্রি। ২০০৩ সালে তিনি সু চির সঙ্গে তিনি দেখা করেছিলেন। পেতরই সেই সময়ের কথা বলতে গিয়ে মন্তব্য করেছেন, বছরের পর বছর ধরে কঠোর বিচ্ছিন্নতার কারণে ‘আত্মত্যাগ ও নিষ্ঠার ধারণা তার মধ্যে স্থিতি লাভ করে। কিন্তু একই সঙ্গে তাকে অতি আত্মবিশ্বাসীও করে তোলে, যেন তার সব সিদ্ধান্তই অভ্রান্ত।’

২০০৮ সালে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা একটি ‘ভুয়া’ গণভোটের আয়োজন করে, নিজেদের ক্ষমতা সংহত করে। ২০১০ সালে জান্তা একটি জাতীয় নির্বাচন দেয়। সু চির রাজনৈতিক দল ‘ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি’ (এনএলডি) সেই নির্বাচন বর্জন করে। তাদের অভিযোগ ছিল, নির্বাচনি আইন ‘অন্যায্য।‘ ওই নির্বাচনে সামরিক জান্তার তৈরি দলটি ভূমিধস বিজয় লাভ করে। সেনা কর্তৃপক্ষ তখন সামরিক ও বেসামরিক ব্যক্তিদের সমন্বয়ে একটি সরকার গঠন করে। এর নেতৃত্বে ছিলেন সাবেক সেনাপ্রধান থেইন সেইন। এর কয়েকদিন পরেই সু চিকে গৃহবন্দিত্ব থেকে মুক্তি দেওয়া হয়। সে সময় বিশ্বজুড়ে তার মুক্তি পাওয়ার বিষয়টিকে আনন্দের সঙ্গে গ্রহণ করা হয়।  ২০১১ সালের আগস্ট মাসে সু চি প্রেসিডেন্ট থেইন সেইনের সঙ্গে প্রথমবারের মতো দেখা করেন। এর মাধ্যমে শুরু হয় সাবেক সেনা কর্মকর্তাদের নিয়ে গঠিত সরকারের সঙ্গে গণতান্ত্রিক মিয়ানমার গড়তে ইচ্ছুক অং সান সু চির এক কৌশলী মিথস্ক্রিয়া। সামরিকতন্ত্রকে রাজনৈতিক বৈধতা দেওয়া হয় কিনা, সেই প্রশ্ন উপেক্ষা করে সু চি ২০১২ সালের উপনির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। প্রচার চালানোর সময় জনগণের কাছ থেকে বিপুল সমাদর পেয়েছিলেন সু চি। উপনির্বাচনে তার দল এনএলডি ৪৪ আসনের মধ্যে ৪৩টি আসনে জয়লাভ করে। সু চি ইয়াঙ্গুনের ছোট গ্রাম কামুর আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এসময় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল সু চিকে ‘মানবাধিকারের সুপারস্টার’ আখ্যা দেয়।

২০১২ সালের মে মাসে অনির্বাচিত সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে সংসদে যোগ দেন সু চি। মিয়ানমারের সংবিধান অনুযায়ী দেশটির মোট আসনের এক চতুর্থাংশ বরাদ্দ সেনা কর্মকর্তাদের জন্য। অস্ট্রেলিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী কেভিন রুড মনে করেন, সু চি রাজনৈতিক প্রক্রিয়াটির ভেতরে ঢুকে তার পরিবর্তন ঘটাতে চেয়েছিলেন। ‘তার পরিকল্পনা ছিল সর্বস্ব দিয়ে চেষ্টা করা এবং দেখা, বদলে কতটা প্রত্যাশা পূরণ হয়।’

২০১২ সালের জুন মাসে প্রথমবারের মতো প্রশ্নবিদ্ধ হয় সু চির ভাবমূর্তি। ১৩ জুনে রাখাইনে সহিংসতার আগুন তখনও জ্বলছিল। এমন অবস্থায় সু চি ইউরোপের পাঁচ দেশ সফরে বের হন। লন্ডনে তিনি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের সঙ্গে দেখা করেন।  নরওয়েতে সাংবাদিকরা তাকে প্রশ্ন করেন, রোহিঙ্গারা কি আপনার দেশের নাগরিক নয়?’ সু চি উত্তর দেন, ‘আমি জানি না।’ ২০১২ সালের অক্টোবরেই আবার রাখাইনের রোহিঙ্গাদের ওপর হামলা চালানো হয়। এবার হামলার মাত্রা হয় আগেরবারের চেয়েও অনেক বেশি তীব্র। তারপরও সু চি রোহিঙ্গাদের পক্ষে কোনও কথা বলতে রাজি হলেন না। ২০১৩ সালে বিবিসিকে তিনি বিবিসিকে বলেছেন, ‘এমন পরিস্থিতিতে যদি আমি কোনও পক্ষে কথা বলতাম তাহলে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে আরও বেশি সহিংসতার জন্ম নিত। দুই পক্ষই সহিংসতায় জড়িয়েছে।’ বিশ্বজুড়ে এতদিন ধরে সু চির সমর্থনে যারা কাজ করেছেন এমন কথা শুনে  তারা বিস্মিত হয়ে পড়েন। তাদের মনে প্রশ্ন ঘুরপাক খেতে থাকে:  ‘কেন নৈতিকতার এমন বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর ম্রিয়মাণ হয়ে পড়েছে?’

২০১৫ সালের নভেম্বরে এনএলডি মিয়ানমারের জাতীয় নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পায়। রুড মনে করেন এর মূল কারণ সু চির জনপ্রিয়তা। নির্বাচনে জয়লাভের পর সু চি নিয়োগ পান মিয়ানমারের ‘সেট কাউন্সিলর’ হিসেবে। তার নেতৃত্বে মিয়ানমারে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রবর্তনের বিষয়ে সংশ্লিষ্টরা আবার আশাবাদী হয়ে ওঠেন। কিন্তু ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট সশস্ত্র রোহিঙ্গাদেরদমনের নামে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী শুরু করে সহিংস সামরিক অভিযান, যাতে হত্যা, ধর্ষণ ও অগ্নিসংযোগের বহু ঘটনা ঘটে। প্রাণ বাঁচাতে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গা। মিন অং হ্লাইং মিয়ানমারের বর্তমান সেনাপ্রধান। রোহিঙ্গাদের ওপর চালানো সামরিক বাহিনীর অত্যাচারের ক্ষেত্রে তার নামই সমালোচকরা প্রথমে আনেন। তার দৃষ্টিতে রোহিঙ্গারা ‘বাঙালি।’ রাখাইনে অভিযান চলাকালে তিনি পয়লা সেপ্টেম্বরে বলেছিলেন, ‘বাঙ্গালিদের নিয়ে সমস্যাটা দীর্ঘদিনের আর তা এখন পর্যন্ত একটি অমীমাংসিত বিষয়।’ একাধিক তদন্তে অভিযোগ করা হয়েছে, রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর চালানো সহিংসতার জন্য মিয়ানমারের সেনাবাহিনীই দায়ী। তারা একই সঙ্গে ধর্ষণ ও পরিকল্পিতভাবে শত হাজার হাজার গ্রামাবাসিকে নির্যাতন করেছে।

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর দাবি, যা করা হয়েছে তা অবৈধ কিছু নয়, বরং সশস্ত্র ব্যক্তিদের দমন করতেই তারা অভিযান চালিয়েছে।  সু চি র সরকারের জ্যেষ্ঠ সদস্যদের একজন থাং তুনের ভাষ্য সেনাবাহিনীরই অনুরূপ।  মিয়ানমারের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার দায়িত্বে থাকা তুনের নিয়োগ সু চিই দিয়েছেন। তিনি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে বলেছেন, রাখাইনে চলা সহিংসতার বিষয়ে যেসব খবর ছড়ানো হয়েছে সেগুলো, ‘বিদ্বেষপ্রসূত এবং ভিত্তিহীন।’ ২০১৭ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর, নেপিদোতে দেওয়া এক ভাষণে সু চি রোহিঙ্গাদের বিষয়ে কথা বলেন। সেখানে তিনি বাস্তবতা বিবর্জিতভাবে দাবি করেছিলেন, সামরিক অভিযান না কি তখন শেষ। অথচ তখনও রোহিঙ্গারা দলে দলে মিয়ানমার ছেড়ে বাংলাদেশে পালাচ্ছিল।  রাখাইন জুড়ে পুড়ছিল তাদের ঘরবাড়ি।

গৃহবন্দি থাকালে সু চির সঙ্গে সাক্ষাৎ করা অধিকারকর্মী ডেবি স্টোথার্ড বলেছেন, ‘বেশিরভাগ বিশ্বনেতাদেরই একদল উপদেষ্টা এবং বিশ্বস্ত সহচর থাকেন যারা নেতার কাছে তথ্যভিত্তিক মূল্যায়ন তুলে ধরেন। কিন্তু সু চির এমন কোনও কিছু ছিল না দীর্ঘদিন ধরে। দুঃখের বিষয়, সামরিকতন্ত্রের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে যারা গেছে, তাদের বাদ দিয়ে যা পড়েছিল, তা-ই জুটেছে সু চির ভাগ্যে। এরা সেই সামরিকতন্ত্রেরই খুচরো অংশ যে সামরিকতন্ত্র তাকে ভিন্নমতাবলম্বী হওয়ায় আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছে।’

২০১৭ সালের নভেম্বর মাসে  সু চির সঙ্গে কথা হচ্ছিল পাস্তারনাকের। রোহিঙ্গা প্রসঙ্গে কেন সবাই তাকে ঘৃণা করছে, তা জানতে চেয়ে পাস্তারনাকের কাছে প্রশ্ন করেছিলেন সু চি। পাস্তারনাক সে বিষয়ে বলেছেন: তার নিজের সম্পর্কে তার নিজের এই মূল্যায়নের বিষয়ে আমি অনেক পরে বুঝতে পেরেছি। তিনি আসলে তখন থেকেই ভাবতে শুরু করেছিলেন, ‘কেন সবাই আমার বিপক্ষে চলে গেল?’ কিন্তু তিনি নিজে বুঝতে পারছিলেন না, রোহিঙ্গাদের ওপর কি মাত্রায় নিপীড়ন হয়েছে।  রাখাইনে ঘটা সহিংসতার মাত্রা তার কাছে বিশ্বাসযোগ্য হয়ে ওঠেনি। জাতিসংঘের সাবেক কর্মকর্তা চার্লস পেট্রিও অভিযোগের তীর ছুঁড়েছেন সু চির প্রতি। তাকে দোষারোপ করেছেন, তার দেশকে ‘নৈতিক দিকনির্দেশনা’ না দেওয়ার অভিযোগে। অবশ্য তিনি এটাও মনে করেন, আন্তর্জাতিক মহলের উচিত সু চিকে আরও সহায়তা করা। তার যুক্তি: আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় নিজের স্বার্থেই সু চির ভাবমূর্তি নিয়ে রূপকথার গল্প প্রচার করেছে এবং নিজেই সেই গল্প বিশ্বাস করে বসে আছে।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এককালে মানবাধিকার নিশ্চিতের লড়াইয়ে থাকা সু চির ভাবমূর্তি পশ্চিমা দুনিয়ায় টুকরো টুকরো হয়ে গেছে। তবে অর্থনৈতিক উপদেষ্টা সিন টার্নেল মন্তব্য করেছেন, মিয়ানমারে সু চি এখনও এক ‘রহস্যময় শক্তি।’ সাবেক আরেক উপদেষ্টা উইন হেইনের মতে, এখনও মিয়ানমারে আশার শেষ প্রদীপ সু চি। উইন জানিয়েছেন, সু চি এখনও নিঃসঙ্গ। উপহার হিসেবে বিদেশ থেকে ছেলের পাঠানো একটা কুকুরই তার সঙ্গী। তাকে পাশে রেখেই কাজ করেন। অস্ট্রেলিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী রুড মনে করেন, এই বিচ্ছিন্নতাই ৭৩ বছর বয়সী সু চির ক্ষমতা থেকে বিচ্যুত হওয়ার সূচনা পর্বের প্রথম ভাগ। তার ভাষ্য, ‘আমরা এমন একজনকে দেখছি, যিনি নিজেই নিজেকে গুটিয়ে নিচ্ছেন। আমি জানি না, কতদিন তিনি সরকার প্রধান হিসেবে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবেন।’

/এএমএ/বিএ/
সম্পর্কিত
চীনে আমেরিকার কোম্পানিগুলোর প্রতি ন্যায্য আচরণের আহ্বান ব্লিঙ্কেনের
মিয়াবতী থেকে পিছু হটলো মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা?
ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিতে গিয়ে অন্তত ৫ অভিবাসী নিহত
সর্বশেষ খবর
এক কোরাল ৩৩ হাজার টাকায় বিক্রি
এক কোরাল ৩৩ হাজার টাকায় বিক্রি
মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ ডিসি ও এসপিদের
উপজেলা নির্বাচনমন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ ডিসি ও এসপিদের
জিম্মিদের মুক্তির জন্য হামাসকে ১৮ দেশের আহ্বান
জিম্মিদের মুক্তির জন্য হামাসকে ১৮ দেশের আহ্বান
অডিও ফাঁস, নারীর কাছে ডিবি পুলিশ সদস্যের ‘হেরোইন বিক্রি’
অডিও ফাঁস, নারীর কাছে ডিবি পুলিশ সদস্যের ‘হেরোইন বিক্রি’
সর্বাধিক পঠিত
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা