রবিবার (২৩ ডিসেম্বর) যুক্তরাজ্যের গ্যাটউইক বিমানবন্দরে সন্দেহজনক ড্রোন ওড়ানোর ঘটনায় আটক দুই ব্যক্তিকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ আনা হয়নি। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, সন্দেহজনক ড্রোনের উপস্থিতির কারণে গ্যাটউইক বিমানবন্দরের কার্যক্রম বন্ধ ছিল প্রায় তিন দিন।
গ্যাটউইক বিমানবন্দরে সন্দেহজনক ড্রোন ওড়ার ঘটনা ঘটে গত বুধ, বৃহস্পতি ও শুক্রবার (১৯-২১ ডিসেম্বর)। একাধিক ড্রোনের ওড়াউড়ির ঘটনায় বন্ধ রাখা হয় প্রায় এক হাজার ফ্লাইট। এতে আটকা পড়েন প্রায় এক লাখ ১৪ হাজার যাত্রী। বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিতে শেষ পর্যন্ত সামরিক প্রযুক্তি কার্যকর করা হয়েছে। প্রযুক্তিটি কি তা প্রকাশ করা না হলেও, সেনাবাহিনীর নিরাপত্তা ব্যবস্থা কার্যকর করায় স্বস্তি ফেরে; শুরু হয় স্বাভাবিক বিমান চলাচল।
তদন্তের স্বার্থে গত শুক্রবার (২১ ডিসেম্বর) সাসেক্স পুলিশ গ্রেফতার করে দুই সন্দেহভাজনকে। এদের একজন ৪৭ বছর বয়সী পুরুষ, আরেকজন ৫৪ বছর বয়সী নারী। সাধারণ নাগরিকদের সরবরাহ করা তথ্যের ভিত্তিতে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছিল। পুলিশের পক্ষে জেসন টিংলি বলেছেন, গ্রেফতারকৃতরা জিজ্ঞাসাবাদে সর্বোতভাবে সহায়তা করেছেন। তারা যে ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়, সে বিষয়ে পুলিশ নিশ্চিত।
তদন্তকারীরা একটি ক্ষতিগ্রস্ত ড্রোন উদ্ধার করেছেন। এখন সেটা পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। তদন্তকারীরা বুঝতে চান, ড্রোনগুলো বিমানবন্দরের কাছ থেকেই নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছিল, না কি বহুদূরের কোনও স্থান থেকে। এখন পর্যন্ত ঘটনার দায় স্বীকার করেনি কেউ।
পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে এমন ঘটনার পেছনে কী কারণ থাকতে পারে সে বিষয়ে তার নিশ্চিত নন। তবে সব সম্ভাবনাকেই বিবেচনায় রাখা হচ্ছে। দায়ীদের তথ্য পেতে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ৫০ হাজার পাউন্ড পুরষ্কার ঘোষণা করেছে।