X
সোমবার, ২৭ মে ২০২৪
১২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

ইন্দোনেশিয়ায় ৫.৮ মাত্রার ভূমিকম্পেই সুনামির আতঙ্ক

বিদেশ ডেস্ক
২৮ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৭:৫০আপডেট : ২৮ ডিসেম্বর ২০১৮, ২১:৩১
image

মাত্র ছয় দিন আগে ভয়ংকর সুনামির আঘাতে বিপর্যস্ত ইন্দোনেশিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশে শুক্রবার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। ভূমিকম্পের ফলে সুনামির আতঙ্কে থাকা মানুষেরা বড় ধরনের বিপর্যয়ের আশঙ্কায় ঘর-বাড়ি ছেড়ে রাস্তায় নেমে আসেন। ইন্দোনেশীয় কর্তৃপক্ষ ভূমিকম্পটি ৬.১ মাত্রার ছিল বলে জানিয়েছে। তবে মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা জানিয়েছে, এর মাত্রা ছিল ৫.৮। তাৎক্ষণিকভাবে ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতির তথ্য পাওয়া যায়নি। ভূমিকম্পে সুনামির আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এখবর জানিয়েছে। 

মানোকোয়ারি ম্যাপ

শনিবার (২২ ডিসেম্বর) দেশটির উপকূলীয় শহর সুমাত্রা ও জাভায় কোনও পুর্বাভাস ছাড়াই সুনামি ভয়াবহ আঘাত হানে। আনাক কারাকাতাউ আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের ফলে সাগরতলে ভূমিধসের কারণেই এই সুনামির উৎপত্তি।  সুনামির আঘাতে নিহত হয়েছেন ৪৩০ জন এবং নিখোঁজ রয়েছেন ১৫৯ জন। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও ১৫০০ জন এবং কয়েক হাজার ঘরবাড়ি হারিয়েছেন। নতুন সুনামির আশঙ্কায় আনাক কারাকাতাউ আগ্নেয়গিরির কাছাকাছি উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দাদের সৈকত থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এই সতর্কতা এখনও বহাল রয়েছে। বৃহস্পতিবার দেশটি ওই এলাকার উপর দিয়ে বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করে।

শুক্রবার ওয়েস্ট পাপুয়াতে অনুভূত হওয়া শক্তিশালী ভূমিকম্পটি কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী ছিল। ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল মানোকোয়ারি এলাকার কাছে। তবে এতে ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। ইন্দোনেশিয়ার আবহাওয়া সংস্থা জানিয়েছে, এতে সুনামির আশঙ্কা নেই।

দেশটির জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা সংস্থার মুখপাত্র সোতোপো পুরয়ো নুগরোহো বলেন, ‘মানোকোয়ারি সেলাতানের বাসিন্দারা ছয় সেকেন্ড ধরে কম্পন অনুভব করেছেন। এতে তারা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে এবং ঘর-বাড়ি ও ভবন ছেড়ে বাইরে বের হয়ে আসে।’

ভূমিকম্পপ্রবণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অবস্থিত ইন্দোনেশিয়া। ভূ-তাত্ত্বিকভাবে ‘রিং অব ফায়ার’ নামে পরিচিত অঞ্চলটিতে প্রায়ই প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা যায়।  শনিবারের সুনামিটি ছিল মাত্র ছয় মাসের ব্যবধানের তৃতীয় বড় প্রাকৃতিক দুর্যোগ।

এর আগে ২৮ সেপ্টেম্বর ইন্দোনেশিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় সুলাওয়েসি দ্বীপের পালু এলাকায় ৭.৫ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত হয়। ভূমিকম্পের পর সেখানে আঘাত হানে সুনামি। এতে হাজার খানেক মানুষের মৃত্যু হয়। ২০০৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর ভারত মহাসাগরে ভূমিকম্পের ফলে সৃষ্ট সুনামিতে ১৩ দেশের ২ লাখ ২৬ হাজার মানুষ নিহত হয়। এদের মধ্যে শুধু ইন্দোনেশিয়াতেই প্রাণ হারায় ১ লাখ ২০ হাজারের বেশি মানুষ। 

/এফইউ/এএ/
সম্পর্কিত
আর্মেনিয়া সীমান্তের চারটি গ্রাম নিয়ন্ত্রণে নিলো আজারবাইজান
লোকসভা নির্বাচন: ষষ্ঠ দফায় ৫৮টি আসনে ভোটগ্রহণ চলছে
৪৮ ডিগ্রি ছাড়ালো রাজস্থানের তাপমাত্রা, ৯ জনের মৃত্যু
সর্বশেষ খবর
‘গম্ভীর বলেছিলেন, আমরা ট্রফি উঁচিয়ে ধরলেই সবচেয়ে বেশি খুশি হবো’
‘গম্ভীর বলেছিলেন, আমরা ট্রফি উঁচিয়ে ধরলেই সবচেয়ে বেশি খুশি হবো’
যুক্তরাজ্যের এমপি হতে লেবারের হয়ে লড়বেন আরেক ব্রিটিশ বাংলাদেশি
যুক্তরাজ্যের এমপি হতে লেবারের হয়ে লড়বেন আরেক ব্রিটিশ বাংলাদেশি
ঘরবাড়ি ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে চট্টগ্রামের ১২ হাজার মানুষ
ঘরবাড়ি ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে চট্টগ্রামের ১২ হাজার মানুষ
ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে দুর্নীতির আরও অভিযোগ দুদকে
ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে দুর্নীতির আরও অভিযোগ দুদকে
সর্বাধিক পঠিত
ঘূর্ণিঝড় রিমাল: পায়রা ও মোংলায় ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত
ঘূর্ণিঝড় রিমাল: পায়রা ও মোংলায় ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত
জলোচ্ছ্বাসে তলিয়ে গেলো সুন্দরবন
জলোচ্ছ্বাসে তলিয়ে গেলো সুন্দরবন
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ নিয়ে যা বললেন শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ নিয়ে যা বললেন শিক্ষামন্ত্রী
কখন উপকূল অতিক্রম করতে পারে ‘রিমাল’?
কখন উপকূল অতিক্রম করতে পারে ‘রিমাল’?
ধানমন্ডিতে হকারদের সড়ক অবরোধ
ধানমন্ডিতে হকারদের সড়ক অবরোধ