মিসরের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, পর্যটকবাহী বাসে বোমা হামলার প্রেক্ষিতে শনিবার (২৯ ডিসেম্বর) অভিযান পরিচালনা করেছে মিসরের পুলিশ, যাতে ৪০ জন সশস্ত্র ব্যক্তি প্রাণ হারিয়েছে। দেশটির রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত সংবাদ মাধ্যম মিনার বরাতে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, সন্দেহভাজনদের বিরুদ্ধে গিজা ও উত্তর সিনাই এলাকায় অভিযান চালানো হয়।
মিসরের রাজধানী কায়রোর দক্ষিণে অবস্থিত গিজা পিরামিডের কাছে গত শুক্রবার এক বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছিল, যাতে ভিয়েনামের তিনজন নাগরিক ও তাদের মিসরীয় গাইড প্রাণ হারান। এতে আহত হন আরও ১১ জন। আহতদের মধ্যেও যেমন ভিয়েতনামি রয়েছেন, তেমন রয়েছেন বাসটির মিসরীয় চালক। এক বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে এটি মিসরে বিদেশি পর্যটকদের ওপর চালানো সবচেয়ে বড় হামলা। খুব অল্প সংখ্যক মানুষের বসবাস থাকা সিনাই উপত্যকায় সশস্ত্র বিদ্রোহ মোকাবেলা করে আসছে মিসর। ২০১৩ সালের নির্বাচনে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মুরসিকে উৎখাতের মাধ্যমে সেনাপ্রধান সিসি ক্ষমতায় আসলে এই সংঘর্ষ আরও বেড়ে যায়।
গত শুক্রবার একজন গাইডের সঙ্গে বাসে করে পিরামিড সংলগ্ন এলাকায় ‘লাইট অ্যান্ড সাউন্ড শো’ দেখতে যাচ্ছিলেন ভিয়েতনামের ১৪ পর্যটক। পথিমধ্যে গিজার মারিয়ুতিয়া সড়কে দেওয়ালের পাশে লুকানো একটি বোমা বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়। এতে হতাহতের ঘটনা ঘটে। তবে মিসরের প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগ, ভিয়েতনামের ওই পর্যটকরা নিরাপত্তা বাহিনীকে না জানিয়ে অনির্ধারিত পথে গিজা এলাকায় যাচ্ছিল। যাওয়ার পথে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অবিলম্বে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে মিসরের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
তাৎক্ষণিকভাবে কেউ এ হামলার দায় স্বীকার করেনি। তবে মিসরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আহমেদ হাফেজ এ ঘটনাকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড হিসেবে আখ্যঅয়িত করেছেন। তিনি বলেন, ‘এটি একটি নিষ্ঠুর ও ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। আমরা ভিয়েতনাম ও মিসরীয় ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি। সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে আমাদের দৃঢ় সংকল্প নতুন বছরে আরও অগ্রসর হবে।’