X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

সীমান্তে শিশু মৃত্যুর জন্য ডেমোক্র্যাটদের ওপর দায় চাপালেন ট্রাম্প

বিদেশ ডেস্ক
৩০ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৮:৪৬আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০১৮, ১০:৩৭
image

মেক্সিকো সীমান্তে মার্কিন হেফাজতে থাকা অবস্থায় শিশু মৃত্যুর ঘটনায় ডেমোক্র্যাটদের দায়ী করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার দাবি, ডেমোক্র্যাটরা অভিবাসন প্রত্যাশীদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ শিথিল রাখার নীতি অবলম্বন করায় তারায় অবৈধভাবে প্রবেশ করার চেষ্টা করে। মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নির্মিত হলে অভিবাসন প্রত্যাশীরা এ চেষ্টা চালাবে না বলে দাবি করেন তিনি।  

ডোনাল্ড ট্রাম্প
বিগত কয়েক মাসে অভিবাসনের প্রত্যাশায় গুয়াতেমালা, হন্ডুরাস ও এল সালভাদর থেকে যুক্তরাষ্ট্র সীমান্তে ভীড় জমিয়েছে লাখো মানুষ। নিজ দেশে নিপীড়ন, দারিদ্র্য ও সহিংসতা থেকে বাঁচতে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের চেষ্টা করছে তারা। তবে অবৈধভাবে প্রবেশকারীদের গ্রেফতার, বিচার ও বিতাড়নের হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতির প্রবর্তক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। মামলা নিষ্পত্তির আগ পর্যন্ত প্রত্যেককে সীমান্তে আটক রাখার ব্যাপারে অনড় ট্রাম্প। আটক অভিভাবকদের সঙ্গে শিশুদেরকেও মার্কিন সরকারের আটককেন্দ্রে হেফাজতে রাখা হচ্ছে। হেফাজতে থাকা অবস্থায় এ মাসে দুই গুয়াতেমালান শিশুর মৃত্যু হয়। এসব ঘটনায় আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো ট্রাম্পের অমানবিক অভিবাসন নীতিকে দায়ী করছে। তাছাড়া মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নির্মাণ নিয়ে ডেমোক্র্যাটদের সঙ্গে সমঝোতা না হওয়ায় পাস হয়নি বাজেটও। আংশিক অচলাবস্থায় আছে যুক্তরাষ্ট্র।  

শনিবার (২৯ ডিসেম্বর) শিশু মৃত্যুর জন্য উল্টো ডেমোক্র্যাটদের দায়ী করেছেন ট্রাম্প। শনিবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে টুইটার বার্তায় ট্রাম্প লিখেছেন, ‘ডেমোক্র্যাট এবং তাদের হতাশাপূর্ণ অভিবাসন নীতিমালাই সীমান্তে শিশু কিংবা অন্য যে কারও মৃত্যুর জন্য দায়ী। এ নীতিমালার কারণেই অভিবাসন প্রত্যাশীরা ভাবছে তারা অবৈধভাবে আমাদের দেশে প্রবেশ করতে পারবে। কিন্তু তারা তা করতে পারে না। আমরা যদি সীমান্ত দেয়া্ল নির্মাণ করি তবে তারা প্রবেশের চেষ্টাও করবে না।!’

টুইটার বার্তায় ট্রাম্প লিখেছেন, ‘ডেমোক্র্যাটরা যেন হোয়াইট হাউসে আসে এবং একটি সীমান্ত চুক্তিতে রাজি হয় তার জন্য অপেক্ষা করছি আমি।’

উল্লেখ্য, গরিব-শ্বেতাঙ্গ আমেরিকানদের কাছে টানতে উগ্র ডানপন্থী জনতোষণবাদী অবস্থান নিয়ে ভোট জিতেছিলেন ট্রাম্প।কৃষ্ণাঙ্গ ও অভিবাসীদের প্রতি বিদ্বেষ ছড়িয়েছিলেন ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতি গ্রহণের মধ্য দিয়ে। মেক্সিকো সীমান্তে বিভেদের দেওয়াল তুলে শ্বেতাঙ্গদের সামনে হাজির করেছিলেন আমেরিকান ড্রিম। সম্প্রতি সেই বিভেদের দেয়ালকে কেন্দ্র করে সরকারি কার্যক্রমকে অচলাবস্থায় ঠেলে দিতেও পিছপা হননি তিনি। নির্বাচনি প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে মেক্সিকো সীমান্তেও অমানবিক অভিবাসন নীতি বাস্তবায়ন করছেন তিনি। তার ঘৃণ্য নীতি ছাড়ছে না শিশুদেরও। মার্কিন অর্থবছর শুরু হয় ১ অক্টোবর। তার আগেই বাজেট অনুমোদন করিয়ে নেওয়ার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা থাকলেও সমঝোতার অভাবে কখনও কখনও মার্কিন কংগ্রেস তা পাস করাতে ব্যর্থ হয়। এমন অবস্থায় অস্থায়ী বাজেট বরাদ্দের মধ্য দিয়ে সরকার পরিচালনার তহবিল জোগান দেওয়া হয়। অস্থায়ী এই বাজেট বরাদ্দের ক্ষেত্রে দুই কক্ষের অনুমোদনসহ প্রেসিডেন্টের স্বাক্ষরের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকারের তিন চতুর্থাংশ কার্যক্রম পরিচালনার অর্থ বরাদ্দ করা আছে। বাকি এক চতুর্থাংশের বাজেট ফুরিয়ে যাওয়ায় অচলাবস্থা ঠেকাতে শুক্রবার (২১ ডিসেম্বর) নতুন অস্থায়ী বাজেট বরাদ্দ ছিল অপরিহার্য। তবে মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নির্মাণের বরাদ্দ প্রশ্নে এদিন দুই পক্ষের আইনপ্রণেতারা আলোচনায় বসলেও শেষ পর্যন্ত সমঝোতা না হওয়ায় শুক্রবার মধ্যরাত থেকে সৃষ্টি হয় ‘অচলাবস্থা’। বরাদ্দ কম পড়ে যাওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র সরকারের ১৫টি কেন্দ্রীয় দফতরের মধ্যে ৯টিতে আংশিক শাটডাউন শুরু হয়।

/এফইউ/
সম্পর্কিত
ইউক্রেনে মার্কিন সামরিক সহায়তা আইনে বাইডেনের সই
মার্কিন কংগ্রেসে ইউক্রেনের বহুল প্রতীক্ষিত সহায়তা প্যাকেজ পাস
যুক্তরাষ্ট্র বড় শক্তি, তাদের পরোয়া করতে হয়: শ্রম প্রতিমন্ত্রী
সর্বশেষ খবর
মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হলো সেনাসহ ২৮৫ বিজিপি সদস্যকে
মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হলো সেনাসহ ২৮৫ বিজিপি সদস্যকে
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে করারোপ: আইনের বিশ্লেষণ
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে করারোপ: আইনের বিশ্লেষণ
ইউক্রেনে মার্কিন সামরিক সহায়তা আইনে বাইডেনের সই
ইউক্রেনে মার্কিন সামরিক সহায়তা আইনে বাইডেনের সই
নামাজ শেষে মোনাজাতে বৃষ্টির জন্য মুসল্লিদের অঝোরে কান্না
নামাজ শেষে মোনাজাতে বৃষ্টির জন্য মুসল্লিদের অঝোরে কান্না
সর্বাধিক পঠিত
সিয়াম-মেহজাবীনের পাল্টাপাল্টি পোস্টের নেপথ্যে…
সিয়াম-মেহজাবীনের পাল্টাপাল্টি পোস্টের নেপথ্যে…
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
মিয়াবতী থেকে পিছু হটলো মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা?
মিয়াবতী থেকে পিছু হটলো মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা?
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
‘বয়কট’ করা তরমুজের কেজি ফের ৬০ থেকে ১২০ টাকা
‘বয়কট’ করা তরমুজের কেজি ফের ৬০ থেকে ১২০ টাকা