ভূমধ্যসাগর থেকে উদ্ধারকৃত ব্যক্তিদের প্রতি সদয় হতে ইউরোপীয় নেতাদের সদয় হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন খ্রিস্টানদের প্রধান ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস। তিনি চান দুই উদ্ধারকারী জাহাজে আটকে থাকা সংশ্লিষ্ট ৪৯ জন ব্যক্তিকে অবতরণের জন্য একটি নিরাপদ বন্দর ব্যবহার করতে দেওয়া হোক। সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, ভ্যাটিকান সিটিতে প্রকাশ্য জনসভায় এপিফানির উৎসব উপলক্ষে দেওয়া ভাষণে পোপ এই আবেদন করেছেন।
অভিবাসী হতে ইচ্ছুক ব্যক্তিরা ভূমধ্যসাগরের বিপদজনক রুট ব্যবহার করে ইউরোপে প্রবেশের চেষ্টা চালায়। প্রায়ই তাদের পলকা নৌযান সাগরে ডুবে যায়। এদের উদ্ধার করে বিভিন্ন জাহাজ। এমনও হয়েছে, ইতালির কোস্টগার্ডের জাহাজ তাদের দেশে বিনা অনুমতিতে ঢুকতে চাওয়া ব্যক্তিদের সাগর থেকে উদ্ধার করেছে। কিন্তু বেশ কিছুদিন ধরেই অভিবাসী হতে মরিয়া এমন ব্যক্তিদের উদ্ধারকারী জাহাজ থেকে বন্দরে নামতে না দেওয়ার বিষয়ে কঠোর হচ্ছে সংশ্লিষ্ট এলাকার দেশগুলো।
৪৯ জন ব্যক্তিকে উদ্ধার করা দুটি জাহাজকে ইতালি ও মাল্টা, কোনও দেশই বন্দর ব্যবহারের অনুমতি দিচ্ছে না। মাল্টার প্রধানমন্ত্রী মনে করেন, একবার বিনা অনুমতিতে ইউরোপে ঢুকতে চাওয়া ব্যক্তিদের উদ্ধার করা জাহাজকে বন্দর ব্যবহারের অনুমতি দিলে তা একটি উদাহরণ তৈরি করবে ভবিষ্যতের জন্য। অন্যদিকে ইতালির ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী লুইগি ডি মাইও মন্তব্য করেছে, মাল্টার উচিত কিছু দায়িত্বের ভার বহন করা।
খ্রিস্টানদের এপিফানি উৎসব উপলক্ষে দেওয়া ভাষণে পোপ বলেছেন, ‘ওই মানুষগুলোর জন্য ইউরোপীয় নেতাদের কাছে আমি একাত্মতাবধের আবেদন করছি।’ পোপের ভাষণের সময় ভ্যাটিকানে উপস্থিত ছিলেন প্রায় ছয় হাজার মানুষ।
নেদারল্যান্ডে নিবন্ধিত সি ওয়াচ থ্রি নামের একটি জাহাজ পরিচালনা করে জার্মানি ভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা। তারা গত ২২ ডিসেম্বর লিবীয় উপকূল থেকে ৩২ জন অভিবাসী হতে ইচ্ছুক ব্যক্তিকে সাগরে থেকে উদ্ধার করেছে। অপর একটি জার্মান সংস্থার ব্যবহৃত ‘সি আই’ নামের একটি জাহাজ গত ২৯ ডিসেম্বর উদ্ধার করেছে ১৭ জনকে। মাল্টা এই দুই জাহজাকে খারাপ আবহাওয়া এবং খাদ্য- পানীয়ের জন্য তার জলসীমায় ঢোকার অনুমতি দিয়েছে। কিন্তু অভিবাসী হতে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের অবতরণের অনুমতি দিতে রাজি নয় দেশটি।
যার মাল্টাকে অবতরণের অনুমতি দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছেন, পোপের ভাষণের আগেই তদের সমালোচনা করে মালটার প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তরা যেন ক্রিসমাসের সেইন্ট।’ ইতালির ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী মন্তব্য করেছেন, ইতালি বছরের পর বছর ধরে অভিবাসীদের গ্রহণ করছে। এখন সময় এসেছে মাল্টার ভূমিকা রাখার।