X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

‘উইঘুর মুসলিমদের আটক চীনের নিকৃষ্টতম মানবাধিকার হরণ’

বিদেশ ডেস্ক
১০ জানুয়ারি ২০১৯, ১৯:৪০আপডেট : ১০ জানুয়ারি ২০১৯, ১৯:৫৭

লাখ লাখ উইঘুর মুসলমানের আটকাবস্থাকে চীনের নিকৃষ্টতম মানবাধিকার হরণের ঘটনা আখ্যা দিয়েছেন একজন ব্রিটিশ রাজনীতি বিশেষজ্ঞ। সে দেশের পার্লামেন্টের পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির সামনে উপস্থাপিত বক্তৃতায় তিনি বলেছেন, মাও সে তুং পরবর্তী যুগে এর থেকে ভয়াবহ কোনও মানবাধিকার হরণের ঘটনা চীনে ঘটেনি। উল্লেখ্য, কথিত সাংস্কৃতিক বিপ্লব পরবর্তী চীনে মাও-এর শাসনামলে কয়েক কোটি মানুষ হত্যাযজ্ঞের শিকার হয়। ‘উইঘুর মুসলিমদের আটক চীনের নিকৃষ্টতম মানবাধিকার হরণ’
চীনে প্রায় দেড় কোটি উইঘুর মুসলমানের বাস। তাদের প্রতি চীনের আচরণ নিয়ে আন্তর্জাতিক সমালোচনার মুখে রয়েছে বেইজিং। গত ডিসেম্বরে জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় শিনজংয়ের বাস্তবতাকে ‘উদ্বেগজনক’ আখ্যা দিয়ে ওই অঞ্চল সফরের প্রচেষ্টার কথা জানিয়েছিল। যুক্তরাজ্য সরকারও এনিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে চীনকে তাদের মনোভাব পরিবর্তনের তাগিদ দিয়েছে।

ব্রিটিশ আইনপ্রণেতাদের উদ্দেশে লন্ডন স্কুল অব ওরিয়েন্টাল স্টাডিজের পরিচালক স্টিভ তিসাং বলেন, চীনের পশ্চিমাঞ্চলীয় শিনজং প্রদেশের সংখ্যালঘুদের ওপর বেইজিংয়ের অভিযানকালীন ‘ব্যাপক’ মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রশ্নে যুক্তরাজ্যর কোনভাবেই নীরব ভূমিকা পালন করা উচিত হয়।

তিসাং বলেছেন, কোনও একটা দেশের নাগরিকদের মধ্যে যদি মূল জনস্রোতের বাইরের ভিন্ন কোনও নৃগোষ্ঠীর মানুষ থাকে আর সেই গোষ্ঠীর প্রতি ১০ জন মানুষের একজন যদি শিবিরে বাস করে, তাহলে বুঝতে হবে সেখানে ভয়াবহ মানবাধিকার হরণ চলছে। তিনি বলেন, ‘আজ আমরা শিনজংয়ে যে পরিমাণ মানবাধিকার লঙ্ঘন দেখছি তা ১৯৭৬ সালে চেয়ারম্যান মাও যুগ শেষ হওয়ার পর থেকে ১৯৮৯ সালে কঠোর সামরিক অভিযানের সময়েও সেই পরিমাণ মানবাধিকার লঙ্ঘন হতে দেখা যায়নি’।

উল্লেখ্য, গত বছরের অক্টোবর পর্যন্ত পুনঃশিক্ষাকেন্দ্র নামে পরিচালিত এইসব ভয়াবহ আটককেন্দ্রের কথা অস্বীকার করে আসছিল চীন। অক্টোবরে প্রথমবারের মতো এসবের অস্তিত্ব স্বীকার করে তারা দাবি করতে থাকে, ছোটখাটো অপরাধের জন্য এসব কেন্দ্রে আটক রেখে তাদের বৃত্তিমূলক শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে।

গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের প্রতিষ্ঠাতা মাও সে তুং এর শাসনামলে কোটি কোটি মানুষ ক্ষুধা ও নির্যাতনজনিত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়। ২০১০ সালে সে দেশের কমিউনিস্ট পার্টির গোপন নথির সূত্রে একজন বিশেষজ্ঞ ধারণা করেন, মাও সে তুং এর শাসনামলে অন্তত চার কোটি মানুষ ক্ষুধা ও নির্যাতনের কারণে প্রাণ হারিয়েছে। 

/জেজে/বিএ/
সম্পর্কিত
চীনে আমেরিকার কোম্পানিগুলোর প্রতি ন্যায্য আচরণের আহ্বান ব্লিঙ্কেনের
ডিএনসিসি ও চীনের আনহুই প্রদেশের মধ্যে সহযোগিতামূলক চুক্তি সই
মিয়াবতী থেকে পিছু হটলো মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা?
সর্বশেষ খবর
আগুন নেভাতে 'দেরি করে আসায়' ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে হামলা, দুই কর্মী আহত
আগুন নেভাতে 'দেরি করে আসায়' ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে হামলা, দুই কর্মী আহত
কুষ্টিয়ায় ৩ হাজার গাছ কাটার সিদ্ধান্ত স্থগিত
কুষ্টিয়ায় ৩ হাজার গাছ কাটার সিদ্ধান্ত স্থগিত
ট্রাকের চাপায় অটোরিকশার ২ যাত্রী নিহত
ট্রাকের চাপায় অটোরিকশার ২ যাত্রী নিহত
শেষ দিকে বৃথা গেলো চেষ্টা, ৪ রানে হেরেছে পাকিস্তান 
শেষ দিকে বৃথা গেলো চেষ্টা, ৪ রানে হেরেছে পাকিস্তান 
সর্বাধিক পঠিত
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা