সিরিয়ায় অবস্থানরত ইরানি বাহিনীকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি করেছে ইসরায়েল। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী এক বিবৃতিতে জানায়, দামেস্কে ইরানিয়ান রেভ্যুলশনারি গার্ড সেনাদের লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে তারা। এতে চারজন নিহতও হয়েছেন।
গত কয়েক বছর ধরে ইরান-ইসরায়েলের ছায়াযুদ্ধ চলছিল। সর্বশেষ তা সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে প্রকাশ্য রূপ নেয়। ইসরায়েলে দায়িত্ব পালন করা সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্টিন এস. ইন্ডিক বলেন, এটা কোনও ছায়াযুদ্ধ নয়, এটা একেবারে সরাসরি যুদ্ধ, যা এটাকে বিপজ্জনক করে তুলেছে। হয়তো প্রায় ২০ বছর ধরে ইরান-ইসরায়েল শীতল যুদ্ধ করছে। কিন্তু এখন তারা প্রকাশ্যে ও সরাসরি এবং সেনাদের নিয়ে লড়ছে। ইসরায়েলি হামলায় ইরানিদের নিহতের সংখ্যা বাড়ছে। অন্য যে কোনও সময়ের তুলনায় যুদ্ধের আশঙ্কা বাড়ছে।
তবে সিরীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর দাবি, ইসরায়েলের সবগুলো ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করা হয়েছে। ইসরায়েলের দাবি, ইরানি বাহিনী গোলান হাইটসে রকেট হামলার পরই তারা ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। তবে রকেটটি প্রতিহত করেছেন তারা।
সিরিয়ায় হামলার চালানোর বিষয়টি খুব বেশি স্বীকার করে ইসরায়েল। তবে সোমবার দেশটির প্রতিরক্ষা বাহিনী এক টুইটে এই সামরিক অভিযানের কথা জানায়। তারা জানায়, দামেস্ক বিমানবন্দরের কাছে ইরানি বিপ্লবী বাহিনীর এক অস্ত্রাগারেও হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।
আইডিএফ আরও জানায়, হামলা এড়ানোর স্পষ্ট সতর্কবার্তা সত্ত্বেও অনেক সিরিয়ান ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে। জবাবে আমরাও সিরিয়ায় সশস্ত্র বাহিনীকে লক্ষ্য করে হামলা চালাই।
সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানা জানায়, বেশিরভাগ ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করা হয়েছে। রুশ সংবাদমাধ্যম জানায়, ৩০টিরও বেশি ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করা হয়েছে। তবে প্রাণ হারিয়েছে চার সিরীয় সেনা।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার পর্যবেক্ষণ সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানায়, ইরান ও ইরান সমর্থিত হিজবুল্লাহ বাহিনীর অস্ত্রাগার ও সামরিক ঘাঁটি ধ্বংস করেছে ইসরায়েলি বাহিনী।