জ্বালানির ওপর দেওয়া সরকারি ভর্তুকির পরিমাণ কমানোর ঘোষণা দিয়েছে মিসর। মঙ্গলবার দেশটির জ্বালানি মন্ত্রী তারেক আল মোল্লাহ এই ঘোষণা দিয়েছেন। ২০১৫ সালের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল থেকে বিপুল ঋণ নেওয়ার পর থেকেই মিসর জ্বালানি ভর্তুকি কমানো শুরু করে জানিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের খবর পর্যবেক্ষণকারী ব্রিটিশ ওয়েবসাইট মিডল ইস্ট মনিটর।
২০১১ সালের বিপ্লবের পর থেকে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে অর্থনৈতিক সংকটে রয়েছে মিসর। সাবেক সেনা সদস্য প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি ২০১৪ সালের মে মাসে ক্ষমতা নেওয়ার পর দেশজুড়ে বেশ কিছু অর্থনৈতিক সংস্কার কর্মসূচির ঘোষণা দেন। তার প্রশাসনের দাবি বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতির কারণে আমদানি ব্যাহত হচ্ছে হওা ছাড়াও ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে সংকট পুনরুদ্ধারে নেওয়া সংস্কার কার্যক্রম। সরকারি ঋণ কমানো, মুদ্রাস্ফিতি রোধসহ অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সবল করার অজুহাতে ২০১৫ সালের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে ১২ হাজার কোটি মার্কিন ডলার ঋণ নেয় মিসর। তারপর থেকেই দেশটি জ্বালানি ভর্তুকি কমাচ্ছে, কর বাড়াচ্ছে, নিজেদের মুদ্রার দরও বাড়াচ্ছে। এছাড়া ব্যবসা বান্ধব আইনও প্রণয়ন করছে দেশটি।
এক বছরেরও কম সময়ের মধ্যে দুইবার ভর্তুকি কমানোর পর গত সেপ্টেম্বরে জ্বালানিমন্ত্রী তারেক মোল্লাহ জানিয়েছিলেন জ্বালানি ভর্তুকি পুরোপুরি বন্ধ করে দিতে চায় সরকার।
মিসরের অর্থ বছর জুলাইয়ে শুরু হয়ে জুনের শেষে শেষ হয়। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৫০০ কোটি মার্কিন ডলারের জ্বালানি ভর্তুকির ঘোষণা দেয় মিসর সরকার। তা সত্ত্বেও সম্প্রতি পেট্রোলিয়াম পণ্যে ২৬ শতাংশ ভর্তুকি কমানোর ঘোষণা দেয় দেশটি।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে মিসরের জ্বালানিমন্ত্রী তারেক আল মোল্লাহ জানিয়েছেন, চলতি অর্থ বছরের প্রথম অর্ধে মিসরের জ্বালানি ভর্তুকির পরিমাণ দাঁড়াবে ২৪৩ কোটি মার্কিন ডলার। গত বছর একই সময়ে এই পরিমাণ ছিল ২৮৫ কোটি মার্কিন ডলার।