মিয়ানমারে সেনাবাহিনী প্রণীত সংবিধান সংশোধনে দেশটির ক্ষমতাসীন দলের উদ্যোগে পার্লামেন্টারি কমিটি গঠনকে স্বাগত জানিয়েছেন দেশটির মানবাধিকারবিষয়ক জাতিসংঘের স্পেশাল র্যাপোর্টিয়ার ইয়াংহি লি। বৃহস্পতিবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভা থেকে এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, এই কমিটি গঠন একটি ইতিবাচক অগ্রগতি। আমি আশাকরি এটা মিয়ানমারকে গণতন্ত্রে উত্তোরণে সহযোগিতা করবে।
বুধবার সেনাবাহিনীর আপত্তি উপেক্ষা করে মিয়ানমারে সংবিধান সংশোধনে এই পার্লামেন্টারি কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেনা প্রধান মনোনীত আইনপ্রণেতারা এ সংক্রান্ত বিতর্ক প্রত্যাখ্যান করলেও পার্লামেন্টের সংখ্যাগরিষ্ঠ এমপি কমিটি গঠনের পক্ষে ভোট দিয়েছেন।
কথিত গণতান্ত্রিক উত্তোরণের নামে মিয়ানমারে আদতে জারি রয়েছে সেনাশাসন। ২০০৮ সালে প্রণীত সংবিধান অনুযায়ী সংবিধান সংশোধনের যে কোনও প্রস্তাব পার্লামেন্টে পাস হতে হলে ৭৫ শতাংশের বেশি সমর্থন প্রয়োজন। অথচ দেশটির পার্লামেন্টের এক-চতুর্থাংশ আসন সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে। জাতীয় প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা পরিষদের ১১টি আসনের মধ্যে ছয়টি আসনেও রয়েছেন সেনাবাহিনী মনোনীত ব্যক্তিরা। গণতান্ত্রিক সরকার বাতিলের ক্ষমতা রয়েছে তাদের। সংবিধানে নাগরিকত্ব বিবেচনায় সু চির প্রেসিডেন্ট হওয়ার অধিকারও ক্ষুণ্ন করে রাখা হয়েছে।
ইয়াংহি লি বিবৃতিতে বলেছেন, জনগণ চায় এই সংবিধান সংশোধন হোক। নতুন গঠিত যৌথ কমিটি যেন জনগণের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন করে সেজন্য আমি তাদের উৎসাহিত করছি।
জাতিসংঘ দূত আরও বলেন, বর্তমান সংবিধান গণতান্ত্রিক নয়। এই সংবিধান সংশোধনী ছাড়া মিয়ানমারকে গণতান্ত্রিক বলা যায় না।