X
শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪
১৪ বৈশাখ ১৪৩১

যুক্তরাষ্ট্রে দোষী সাব্যস্ত মেক্সিকোর কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী

বিদেশ ডেস্ক
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০১:৩৭আপডেট : ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০১:৩৯

অপরাধ সাম্রাজ্য নিয়ন্ত্রণের অভিযোগে মেক্সিকোর কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী জোয়াকুইন এল চ্যাপো গুজম্যানকে দোষী সাব্যস্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালত। এগারো সপ্তাহ বিচারের পর মঙ্গলবার তার বিরুদ্ধে আনা ১০টি অপরাধের সবকটিতেই দোষী সাব্যস্ত করে ব্রুকলিনের ফেডারেল আদালত। এখনও  দণ্ড ঘোষণা করা না হলেও কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, ৬১ বছর বয়সী গুজম্যানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হতে পারে। মেক্সিকোর কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী জোয়াকুইন এল চ্যাপো গুজম্যান

২০০৬ সাল থেকে মেক্সিকোতে চলা মাদক বিরোধী যুদ্ধের অন্যতম চরিত্র গুজম্যান। ২০১৯ সালে তাকে আটকের পরের বছর যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যর্পণ করে মেক্সিকো। এর আগেও অনেক মাদক ব্যবসায়ীকে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো হলেও প্রথমবারের মতো আদালতের দণ্ড পেতে যাচ্ছে গুজম্যান। মার্কিন প্রসিকিউটররা জানিয়েছে, মুক্তিপণ, হত্যা ও মাদক পাচারের মাধ্যমে প্রায় ১৪০০ কোটি মার্কিন ডলারের সম্পদ আয় করেছে গুজম্যান।

কয়েক মাস ধরে চলা বিচারে মার্কিন বিচারকেরা গুজম্যানের বিরুদ্ধে প্রায় দুইশো ঘণ্টার স্বাক্ষ্য শুনেছেন। ৫০ জন প্রত্যক্ষদর্শীল স্বাক্ষ্যতে এই মাদক ব্যবসায়ীর সিনালোয়া চক্রের প্রধান হিসেবে উত্থান এবং তার ক্ষমতা সম্পর্কে বর্ণনা করা হয়।  প্রসিকিউটররা জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় দুইশো টন কোকেন পাচারের জন্য দায়ী গুজম্যান। এছাড়া প্রতিদ্বন্দ্বী মাদক চক্রগুলোকে হত্যার ঘটনাতেও জড়িত সে।

মেক্সিকোর এক দরিদ্র পাহাড়ি গ্রামে জন্ম নেওয়া গুজম্যান কিভাবে দেশটির শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীতে পরিণত হয় তার বিস্তারিত বর্ণনা উঠে আসে আদালতে দেওয়া প্রত্যক্ষদর্শীদের স্বাক্ষে। প্রসিকিউটরা বলেছেন, প্রায় দুই দশক ধরে যুক্তরাষ্ট্রে কোকেইন, হেরোইন, ক্যানাবিজ ও মেথামফেতামিন পাচার করেছে গুজম্যান। হত্যা ও প্রতিদ্বন্দ্বি চক্রগুলোর সঙ্গে যুদ্ধের মাধ্যমে মেক্সিকোতে নিজের ক্ষমতাকে সংহত করেছে সে।

গুজম্যানের আইনজীবীরা আদালতে দাবি করেছেন, মেক্সিকোর সিনালোয়া প্রদেশের আরেক শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী ইসমায়েল এল মায়ো জামবাদা গুজম্যানকে বলির পাঁঠা বানিয়েছে। জামবাদা এখনও পলাতক রয়েছে।

/জেজে/
সম্পর্কিত
যুক্তরাষ্ট্রে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভস্নাতক অনুষ্ঠান বাতিল করলো ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়
পশ্চিমাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চীনকে যা করতে হবে
ইউরোপ ধ্বংস হয়ে যেতে পারে: ম্যাক্রোঁ
সর্বশেষ খবর
সাদি মহম্মদ: ভাইয়ের কান্না, বন্ধুর স্মৃতি, সতীর্থদের গানে স্মরণ…
সাদি মহম্মদ: ভাইয়ের কান্না, বন্ধুর স্মৃতি, সতীর্থদের গানে স্মরণ…
খালি বাসায় ফ্যানে ঝুলছিল কিশোরী গৃহকর্মীর লাশ
খালি বাসায় ফ্যানে ঝুলছিল কিশোরী গৃহকর্মীর লাশ
গরমে রেললাইন বেঁকে যাওয়ার শঙ্কায় ধীরে চলছে ট্রেন
গরমে রেললাইন বেঁকে যাওয়ার শঙ্কায় ধীরে চলছে ট্রেন
মন্দিরে সেলফি তুলতে গিয়ে প্রদীপে দগ্ধ নারীর মৃত্যু
মন্দিরে সেলফি তুলতে গিয়ে প্রদীপে দগ্ধ নারীর মৃত্যু
সর্বাধিক পঠিত
পুলিশের সব স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
পুলিশের সব স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
সরকারি না হলেও সলিমুল্লাহ কলেজে অধ্যাপক ১৪ জন
সরকারি না হলেও সলিমুল্লাহ কলেজে অধ্যাপক ১৪ জন
মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
এগিয়েছে ‘ওমর’, চমকে দিলো ‘লিপস্টিক’!
ঈদের ছবিএগিয়েছে ‘ওমর’, চমকে দিলো ‘লিপস্টিক’!
কুষ্টিয়ায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
কুষ্টিয়ায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা