সিরিয়ায় বিদ্রোহী অধ্যুষিত শহর ইদলিবে জোড়া বোমা হামলায় অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অনেক। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।
সিরিয়ার ইদলিব টিকে থাকা বিদ্রোহীদের সর্বশেষ শক্তিশালী অবস্থান সেখানে অস্ত্রবিরতির উদ্দেশ্যে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন, ইরানের প্রেসিডেন্ট রুহানি ও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান বৈঠকে বসলেও পুতিন ও রুহানি এর বিরুদ্ধে যান। পুতিনের ভাষ্য, ইসলামিক স্টেট ও জাভাত আল নুসরার মতো জঙ্গি সংগঠনগুলো তো আর এই অস্ত্র বিরতির চুক্তি মেনে চলবে না। তরাপরও সেপ্টম্বরে সেখানে সেনামুক্ত অঞ্চল তৈরির ব্যাপারে একমত হয় রাশিয়া ও তুরস্ক।
সোমবারের বিস্ফোরণ নিয়ে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান,একটি গাড়িতে বোমা লাগানো ছিলো। হতাহতদের বেশিরভাগই বেসামরিক কর্মী। বিস্ফোরণের কয়েক মুহূর্ত আগে তারা সেখানে পৌঁছেছিলেন। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, ত্রাণকর্মীরা হতাহতদের দেহ সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
অ্যালায়েন্স কমান্ডাররা জানান, সিরীয় প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের অনুগত বাহিনী ও আইএস সংশ্লিষ্টদের ওপর এই হামলা করেছে। তারা বলেন, হাজার হাজার বেসামরিক থাকার পরেও হামলা চালানো হয়েছে।
সিরিয়ায় ২০১১ সালে শুরু হওয়া গৃহযুদ্ধে লাখ লাখ মানুষ নিহত হয়েছেন। বাস্তুচ্যুত হয়েছেন ১০ লাখের বেশি মানুষ। সিরিয়ার চলমান সংকট নিয়ে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান বিপরীতধর্মী। বর্তমান প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। এ জন্য তারা আসাদ সরকারের বিদ্রোহ ঘোষণাকারী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে অস্ত্র দিয়ে সহযোগিতা করছে এবং ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধে বিমান হামলা চালাচ্ছে। তবে আসাদ সরকারের দাবি, আইএসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের নামে যুক্তরাষ্ট্র মূলত বিদ্রোহীদের সহযোগিতা করতে সরকারি বাহিনীর ওপর হামলা চালায়। আর রাশিয়া বাশার আল আসাদকে ক্ষমতায় দেখতে চায়। আসাদ সরকারের সমর্থনে রাশিয়া-ইরানও আইএস এবং বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে বিমান হামলা চালাচ্ছে। সিরিয়া সংকটকে কেন্দ্র করে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র ছায়াযুদ্ধে মেতে উঠেছে বলে অনেকেই মনে করেন।