X
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪
৫ বৈশাখ ১৪৩১

রাখাইন বিনিয়োগ মেলায় সু চি: নেতিবাচক বিষয় বেশি আলোচিত হয়েছে

বিদেশ ডেস্ক
২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৮:২২আপডেট : ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৯:১২
image

মিয়ানমারের রাখাইনে আয়োজিত বিনিয়োগ মেলায় শুক্রবার (২২ ফেব্রুয়ারি) মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেছেন দেশটির ডি ফ্যাক্টো নেত্রী অং সান সু চি। সেখানে তিনি বিনিয়োগকারীদের দায়িত্বশীলতার সঙ্গে ব্যবসা পরিচালনার আহ্বান জানিয়েছেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, সু চি সেখানে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রসঙ্গ তো দূরে থাক, রোহিঙ্গা শব্দটিও উচ্চারণ করেননি। বরং অনুযোগ করেছেন, বিশ্ব রাখাইনের বিনিয়োগ সম্ভাবনার বদলে ‘নেতিবাচক’ বিষয়ে বেশি মনোযোগ দিয়েছে। রাখাইন বিনিয়োগ মেলায় সু চি: নেতিবাচক বিষয় বেশি আলোচিত হয়েছে
রোহিঙ্গা নিপীড়নের প্রতিক্রিয়ায় মিয়ানমারে বিদেশি বিনিয়োগ যেমন কমে যায় তেমনি ধস নামে পর্যটন শিল্পে। সে সংকট কাটাতে মিয়ানমার রাখাইনে বিনিয়োগ মেলার আয়োজন করেছে। বিনিয়োগ মেলার ওয়েবসাইটে ভারত ও বাংলাদেশের মতো বাজারের কাছে অবস্থিত কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ একটি অঞ্চল হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়েছে রাখাইনকে। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সামনে তুলে ধরা হয়েছে পর্যটন শিল্পের উপযোগী সমুদ্র সৈকত ও ঐতিহাসিক দর্শনীয় স্থানের তথ্য।
বিনিয়োগ মেলায় দেওয়া ভাষণে সু চি দায়িত্বশীলতার সঙ্গে ব্যবসা পরিচালনা করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি চান না অপরিকল্পিতভাবে মাছের খামারের সম্প্রসারণ করা হোক। সেখানে রাখাইনের বিষয়ে তিনি মন্তব্য করেছেন, তার সরকার অঞ্চলটির ‘গভীর সংকটের’ বিষয়ে সচেতন। কিন্তু এ সময় তিনি রোহিঙ্গা প্রত্যাবসানের বিষয়ে কোনও কিছুই বলেননি। রোহিঙ্গা শব্দটিও উচ্চারণ করেননি।
মিয়ানমার সরকার মনে করে, অর্থনৈতিক উন্নয়ন রাখাইন অঞ্চলজুড়ে চলা বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করবে। সেখানে রোহিঙ্গা সংকট যেমন রয়েছে, তেমনি রয়েছে স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে সশস্ত্র আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া আরাকান আর্মি। বৌদ্ধ হলেও তারা মিয়ানমারের সংখ্যাগরিষ্ঠ বামার জনগোষ্ঠীর চেয়ে নৃতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্যে ভিন্ন।
কিন্তু বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, বিনিয়োগ মেলার মতো বিষয় সামনে ঠেলে দিলে তা সংকট সমাধান নয় বরং রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের প্রচেষ্টাকে চাপা দিয়ে দেবে। শুধু বিনিয়োগ মেলার মাধ্যমে দৃষ্টি অন্য দিকে ফেরানোর চেষ্টা নয়, মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের ভূমিতে স্থানীয় বৌদ্ধদের জন্য ঘরবাড়িও নির্মাণ করে দিচ্ছে। ফলে মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার পর রোহিঙ্গারা আর বসতভিটা ফিরে পাবে কি না তা নিয়ে তৈরি হয়েছে সংশয়।
২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট রাখাইনের কয়েকটি নিরাপত্তা চৌকিতে হামলার পর পূর্ব-পরিকল্পিত ও কাঠামোবদ্ধ সহিংসতা জোরালো করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। সন্ত্রাসবিরোধী শুদ্ধি অভিযানের নামে শুরু হয় নিধনযজ্ঞ। হত্যা-ধর্ষণসহ বিভিন্ন ধারার মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হতে থাকে ধারাবাহিকভাবে।
এমন বাস্তবতায় রাখাইন ছেড়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয় প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা। আগে থেকে উপস্থিত রোহিঙ্গাদের নিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের সংখ্যা দাঁড়ায় প্রায় দশ লাখে। এসব রোহিঙ্গা বাংলাদেশের বিভিন্ন আশ্রয় শিবিরে বসবাস করছে। রোহিঙ্গাদের ওপর চালানো মিয়ানমার সেনাবাহিনীর দমন-পীড়নকে ‘গণহত্যা’ আখ্যা দিয়েছে জাতিসংঘ।

/এএমএ/
সম্পর্কিত
মিয়ানমারে বিদ্রোহী-নিয়ন্ত্রিত শহরে কোণঠাসা জান্তা
আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা চায় চীন ও ইন্দোনেশিয়া
ভারতীয় নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ২৯ মাওবাদী নিহত
সর্বশেষ খবর
পাঞ্জাবের আশুতোষের ঝড়ও যথেষ্ট হলো না, মুম্বাইয়ের তৃতীয় জয়
পাঞ্জাবের আশুতোষের ঝড়ও যথেষ্ট হলো না, মুম্বাইয়ের তৃতীয় জয়
কানের সমান্তরাল বিভাগে ঢাকার দুই নির্মাতার স্বল্পদৈর্ঘ্য
কানের সমান্তরাল বিভাগে ঢাকার দুই নির্মাতার স্বল্পদৈর্ঘ্য
এআই প্রযুক্তিতে প্রথম বাংলা গানের অ্যালবাম
এআই প্রযুক্তিতে প্রথম বাংলা গানের অ্যালবাম
দুই বলের ম্যাচে জিতলো বৃষ্টি!
পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ড প্রথম টি-টোয়েন্টিদুই বলের ম্যাচে জিতলো বৃষ্টি!
সর্বাধিক পঠিত
সয়াবিন তেলের দাম পুনর্নির্ধারণ করলো সরকার
সয়াবিন তেলের দাম পুনর্নির্ধারণ করলো সরকার
ফিলিস্তিনের পূর্ণ সদস্যপদ নিয়ে জাতিসংঘে ভোট
ফিলিস্তিনের পূর্ণ সদস্যপদ নিয়ে জাতিসংঘে ভোট
ডিএমপির ৬ কর্মকর্তার বদলি
ডিএমপির ৬ কর্মকর্তার বদলি
পিএসসির সদস্য ড. প্রদীপ কুমারকে শপথ করালেন প্রধান বিচারপতি
পিএসসির সদস্য ড. প্রদীপ কুমারকে শপথ করালেন প্রধান বিচারপতি
পরীমনির বিরুদ্ধে ‘অভিযোগ সত্য’, গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন
পরীমনির বিরুদ্ধে ‘অভিযোগ সত্য’, গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন