X
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪
৬ বৈশাখ ১৪৩১

থামছে না যুদ্ধ-যুদ্ধ খেলা, বাড়ছে অঞ্চলগত অস্থিতিশীলতার ঝুঁকি

জাহিদুল ইসলাম জন ও আশফাক মাহমুদ
০২ মার্চ ২০১৯, ২৩:৫৬আপডেট : ০৩ মার্চ ২০১৯, ১৯:২৬
image

আটক পাইলট অভিনন্দন বর্তমানকে ভারতে ফিরিয়ে দেওয়ার সময় শুক্রবার পাকিস্তান বলেছিল, শান্তি স্থাপনের বার্তা হিসেবে তাকে ফেরত পাঠানো হলো। ধারণা করা হচ্ছিলো, দুই দেশের চলমান উত্তেজনা নিরসনে ইসলামাবাদের এই পদক্ষেপ ভূমিকা রাখবে। তবে সেই আশাবাদ গুলিবিদ্ধ হয়েছে একইদিন মধ্যরাতে। এদিন কাশ্মির সীমান্তে আবারও পরস্পরের বিরুদ্ধে গোলাবর্ষণ করেছে ভারত-পাকিস্তান। রাষ্ট্রনায়কদের সেই যুদ্ধান্মদনার বলি হয়েছে দুই দেশের সাধারণ মানুষ। শনিবার আবারও দুই দেশের মধ্যে সংঘাতের খবর মিলেছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সংবাদমাধ্যমের পাতায় উঠে এসেছে পরমাণু শক্তিধর দুই দেশের মধ্যকার উত্তেজনাজনিত উদ্বেগের খবর। কোনও কোনও সংবাদমাধ্যম বলছে সর্বাত্মক যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে চিরবৈরী দুই দেশ। তবে বিশ্লেষকদের ভিন্নমত রয়েছে। দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি সংঘর্ষে সামরিক সংঘাতের সর্বাত্লক রূপ নেওয়ার ঝুঁকির চেয়ে প্রচারণা আর কূটনীতিতেই তাদের বেশি মনোযোগ। বিশ্লেষকদের আশঙ্কা, চলমান উত্তেজনা ও সংঘাত দীর্ঘস্থায়ী হলে পরস্পরের বিরুদ্ধে চোরাগোপ্তা হামলার পাশাপাশি জঙ্গি তৎপরতা বিস্তৃত হবে। এতে অঞ্চলগত অস্থিতিশীলতা আরও প্রকট হয়ে উঠবে বলে আশঙ্কা তাদের। সংলাপেই সংকটের সমাধান দেখছেন তারা। থামছে না যুদ্ধ-যুদ্ধ খেলা, বাড়ছে অঞ্চলগত অস্থিতিশীলতার ঝুঁকি
কাশ্মিরে নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই মোহাম্মদের ১৪ ফেব্রুয়ারির (বৃহস্পতিবার) আত্মস্বীকৃত হামলার জেরে ২৬ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার) ভারতীয় বিমানবাহিনী পাকিস্তানের আকাশসীমায় ঢুকে বোমাবর্ষণ করে। পরদিন বুধবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে নিজেদের সীমানায় দুটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত ও অভিনন্দন বর্তমান নামের এক পাইলটকে আটক করে পাকিস্তান। ’৭১ পরবর্তী সময়ে প্রথমবারের মতো পাল্টাপাল্টি বিমান হামলায় দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বাড়তে শুরু করে। বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ভারতের সঙ্গে উত্তেজনা প্রশমনে সদিচ্ছার প্রতীক হিসেবে আটক অভিনন্দনকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানান। শুক্রবার রাত নয়টার কিছু পরে ওই পাইলটকে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের হাতে হস্তান্তর করে পাকিস্তান।
পাকিস্তান শুরু থেকেই বলছে, আটক পাইলট অভিনন্দনকে ফেরত দিয়ে তারা শান্তি প্রতিষ্ঠার বার্তা দিতে চায়। তবে ভারতের দাবি, জেনেভা কনভেনশনের ভয়ে পাকিস্তান বাধ্য হয়ে তাকে ফেরত দিতে সম্মত হয়েছে। এদিকে কূটনৈতিক সূত্রে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো খবর দিয়েছে, সৌদি আরব ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ওই পাইলটকে ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসলামাবাদ। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর দাবি, শান্তির বার্তা পৌঁছে দিতে 'অভিনন্দনকে প্রতীক হিসেবে ফেরত পাঠানো হয়েছে। তবে শান্তি আসেনি। তাকে ফিরিয়ে দেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে শুক্রবার রাতে দুই দেশই কাশ্মিরের নিয়ন্ত্রণ রেখায় পরস্পরের বিরুদ্ধে গোলাবর্ষণ করেছে।

ভারতের দাবি, শুক্রবার রাতে পাকিস্তানি হামলায় দুই শিশু ও এক নারীসহ একই পরিবারের তিনজন প্রাণ হারিয়েছে। আহত হয়েছে অনেকে। আর পাকিস্তান বলছে, ভারতীয় হামলায় দুই সেনার মৃত্যু হয়েছে। হামলায় তিন বেসামরিক আহত হয়েছে বলেও দাবি তাদের। পাল্টাপাল্টি গোলাবর্ষণের খবরে দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশের উত্তেজনা বৃদ্ধির ঝুঁকি নিয়ে উদ্বেগের খবর উঠে এসেছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে।
রুশ সংবাদমাধ্যম আরটি তাদের শিরোনামে লিখেছে ‘উত্তেজনা কমেনি: কাশ্মির সীমান্তে ভারত-পাকিস্তানের পাল্টাপাল্টি গোলাগুলি’। যুক্তরাজ্যের এক্সপ্রেস ইউকের বিশ্লেষণাত্মক প্রতিবেদনের ভাষ্য, কাশ্মিরে আবারও গোলাগুলিতে বেসামরিক নিহত হওয়ার ঘটনায় ফিরছে সর্বাত্মক যুদ্ধের আশঙ্কা। নিয়ন্ত্রণরেখায় দুই পক্ষের শক্তি প্রদর্শনীর প্রসঙ্গ সামনে এনেছে তারা। জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে লিখেছে, যুদ্ধের কিনার থেকে ফেরার বদলে পরস্পরের বিরুদ্ধে গোলাবর্ষণ করেছে দুই দেশ। মার্কিন সংবাদমাধ্যম কলোরাডো ডেইলিতে লেখা এক নিবন্ধে বলা হয়েছে, ১৪ ফেব্রুয়ারি কাশ্মিরে আত্মঘাতী জঙ্গি হামলার জেরে পাল্টাপাল্টি বিমান হামলার পর ভারত ও পাকিস্তান বড় যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে। 
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইকোনোমিক টাইমস-এর শনিবারের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনের শিরোনাম: ‘পাল্টা উপহার হবে না: পাকিস্তানের প্রতি কঠোর থাকবে ভারত’। সংবাদের ভাষ্য: অভিনন্দন বর্তমানের মুক্তি প্রশ্নে পরাশক্তিগুলোর পর্দার আড়ালের কূটনৈতিক পদক্ষেপ আর প্রকাশ্য শান্তির আহ্বান সত্ত্বেও পাকিস্তানের অভ্যন্তরে সন্ত্রাসী অবকাঠামো এবং সন্ত্রাসী হামলার মূল হোতাদের বিরুদ্ধে চাপ অব্যাহত রাখবে ভারত। এশিয়ান রিভিউ পত্রিকায় শ্রীরাম চাউলিয়া লিখেছেন, পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি তৎপরতা যে বিশ্বের জন্য একটা নিরাপত্তা হুমকি, ভারতের সে সংক্রান্ত প্রচারণা জঙ্গিবাদবিরোধী বিশ্ব জনমতের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে।

শ্রীরাম চাউলিয়া মনে করছেন, এই সংঘাত শুধুমাত্র কাশ্মিরের এলাকাগত নিয়ন্ত্রণ, জাতীয়তাবাদী আদর্শের সংঘাত বা সামরিক দ্বৈরথের বিষয় নয়, বরং তা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহানুভূতি পাওয়ার প্রতিযোগিতাও। তার মতে, বিমান হামলা, বোমাবর্ষণ এবং অস্ত্রবিরতি লঙ্ঘনের পারস্পরিক অভিযোগ আদতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহানুভূতি পাওয়ার জন্য কূটনৈতিক প্রচারণা।  ভারতীয় বৈমানিককে ফিরিয়ে দেওয়ার ঘটনাকে দিল্লির বিরুদ্ধে ইসলামাবাদের বিরল কূটনৈতিক বিজয় আখ্যা দিয়েছেন চাউলিয়া। লিখেছেন, 'শুক্রবার ওই বৈমানিককে ফেরত দেওয়ার নেপথ্যে যুক্তরাষ্ট্র, সৌদি আরব ও আরব আমিরাতের কূটনৈতিক চাপ কার্যকর থাকলেও বলছেন, ঘটনাটা দৃশ্যত ইতিবাচক। বিশ্ব জনমতের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ।' তবে সামগ্রিক কূটনৈতিক যুদ্ধে ভারতকেই এগিয়ে রাখছেন তিনি। বলছেন,  'ইসলামাবাদ উইং কমান্ডার অভিনন্দনকে ফিরিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে কিছু সুফল পেলেও ‘পিআর গেমে’ ভারত অনেক বেশি এগিয়ে। গণতান্ত্রিক দেশ ও ক্রমে উন্নতি করতে থাকা অর্থনীতি হিসেবে দিল্লির কূটনৈতিক অবস্থান অনেক বেশি সংহত।'

জাতিসংঘ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের শান্তি আলোচনার প্রস্তাবে কোনও আগ্রহ দেখায়নি ভারত। পাকিস্তানও শান্তির বার্তার সমান্তরালে পাল্টা আক্রমণ-হামলার হুঁশিয়ারি দিয়েছে। পারমাণবিক হামলার ইঙ্গিত দিতেও ছাড়েনি দুই পক্ষ। কানাডাভিত্তিক গ্লোবাল রিসার্চরে এক বিশ্লেষণ অনুযায়ী, এটা মনে রাখা জরুরি যে উভয় পক্ষের সরকার ও সংবাদমাধ্যমগুলো এই সংঘাতের তথ্য প্রচারের ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন অবস্থান নিয়েছে। হতাহতের সংখ্যা বাড়িয়ে দেখানো, উত্তেজনা বৃদ্ধিতে বিরোধী পক্ষের দোষ সামনে নিয়ে আসা এবং নিজেদের পক্ষের হতাহতের সংখ্যা ও নিজেদের দায়-দায়িত্বের প্রসঙ্গ এড়িয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটিয়েছে দুই পক্ষই।

বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, ২৮ ফেব্রুয়ারি নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর ভারত-পাকিস্তানের উত্তেজনা বাড়তে দেখা গেছে। উভয় পক্ষই সীমান্তে সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করেছে। মোতায়েন করেছে অতিরিক্ত সেনাবল ও সামরিক সরঞ্জাম। সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে পারমাণবিক বোমা সংশ্লিষ্ট বাহিনীকে। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত দুই পক্ষের দাবি পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, উভয় দেশই উত্তেজনা বৃদ্ধির জন্য পরস্পরকে দায়ী করার পাশাপাশি বড় বড় হুমকিও দিয়ে যাচ্ছে। তবে কেউই পূর্ণ মাত্রায় যুদ্ধ শুরু করতে ইচ্ছুক নয়। তাছাড়া কোনও পরাশক্তিও ঘটনাকে সেদিকে যেতে দিতে আগ্রহী নয়।'
গ্লোবাল রিসার্চের বিশ্লেষণ অনুযায়ী, এই পরিস্থিতির কারণে অঞ্চলটিতে নিরাপত্তা ব্যবস্থার আরও অবনতি হবে যার কারণে ভারত-পাকিস্তান একে অপরের বিরুদ্ধে চোরাগোপ্তা তৎপরতা বাড়িয়ে দেবে। ‘পরোক্ষ যুদ্ধের’ মতো যে সংঘাত এখন চলছে তাতে অঞ্চলটিতে থাকা জঙ্গি সংগঠনগুলোর মধ্যে বিদ্যমান চরমপন্থী আদর্শ আরও জোরালো হবে।। গ্লোবাল রিসার্চের প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ২৬ ও ২৭ ফেব্রুয়ারির ঘটনা স্পষ্টভাবে প্রমাণ করেছে, জঙ্গি দমনের নামে সার্বভৌমত্বকে উপেক্ষা করে সামরিক হামলা চালানোর নিন্দনীয় নীতি নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে আরও দুর্বল করে তোলে। এই নীতি কোনও দেশের জন্য চরমপন্থীদের প্রশ্রয় দেওয়াটা বৈধ করে তোলে না। তবে সন্ত্রাসবাদে পাকিস্তানের প্রশ্রয় ও উত্তেজনা বৃদ্ধির নেপথ্য কারণগুলোর একটি এটি। একই পরিস্থিতি দেখা গেছে সিরিয়া ও লেবাননে, যেখানে ইসরায়েল অবৈধ বিমান হামলা চালায়। আর তারপর ভাবতে বসে, কেন ওই হামলার পরও অঞ্চলটিতে উত্তেজনা প্রশমিত হলো না।
প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্ত উইড্রো উইলসন স্কুল অব পাবলিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্সের ‘প্রোগ্রাম অন সায়েন্স অ্যান্ড গ্লোবাল সিকিউরিটির’ সমন্বয়ক জিয়া মিয়া ‘ডেমোক্রেসি নাউ’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সংলাপের মধ্য তদয়ে সংকট নিরসনের পক্ষে মত দিয়েছেন। পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত এই গবেষক বুধবার সকালে  বলেছেন, আবার অস্ত্রবিরতি কার্যকর করার বিষয়ে আমাদের মনোযোগ দিতে হবে। দুই পক্ষকেই সংযত করতে হবে। বিমান হামলা ও শেলিং বন্ধ করাতে হবে। তারপর সর্বোচ্চ সদিচ্ছা নিয়ে বসতে হবে আলোচনায়।

/বিএ/
সম্পর্কিত
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে
লোকসভা নির্বাচন: প্রথম ধাপে পশ্চিমবঙ্গের ৩ আসনে ভোট আজ
মানব ও সুপারি পাচারের অভিযোগে ভারতে শুল্ক কর্মকর্তা গ্রেফতার 
সর্বশেষ খবর
আজকের আবহাওয়া: ঢাকাসহ ৩ বিভাগে বৃষ্টির পূর্বাভাস
আজকের আবহাওয়া: ঢাকাসহ ৩ বিভাগে বৃষ্টির পূর্বাভাস
ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়ার কাজ শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী: ওয়াশিংটনে অর্থমন্ত্রী
ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়ার কাজ শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী: ওয়াশিংটনে অর্থমন্ত্রী
ইউরোপা লিগ থেকে বিদায়ের ভালো দিক দেখছেন লিভারপুল কোচ
ইউরোপা লিগ থেকে বিদায়ের ভালো দিক দেখছেন লিভারপুল কোচ
রাশিয়ায় বোমারু বিমান বিধ্বস্ত
রাশিয়ায় বোমারু বিমান বিধ্বস্ত
সর্বাধিক পঠিত
সয়াবিন তেলের দাম পুনর্নির্ধারণ করলো সরকার
সয়াবিন তেলের দাম পুনর্নির্ধারণ করলো সরকার
ডিএমপির ৬ কর্মকর্তার বদলি
ডিএমপির ৬ কর্মকর্তার বদলি
পিএসসির সদস্য ড. প্রদীপ কুমারকে শপথ করালেন প্রধান বিচারপতি
পিএসসির সদস্য ড. প্রদীপ কুমারকে শপথ করালেন প্রধান বিচারপতি
নিজ বাহিনীতে ফিরে গেলেন র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার মঈন
নিজ বাহিনীতে ফিরে গেলেন র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার মঈন
পরীমনির বিরুদ্ধে ‘অভিযোগ সত্য’, গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন
পরীমনির বিরুদ্ধে ‘অভিযোগ সত্য’, গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন