X
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪
৬ বৈশাখ ১৪৩১

ভারত-পাকিস্তান বিবাদে কোনও পক্ষ নেবে না চীন

বিদেশ ডেস্ক
১২ মার্চ ২০১৯, ১৮:৩৪আপডেট : ১২ মার্চ ২০১৯, ১৮:৫০

চীন ও অন্যান্য দেশের চেষ্টাতেই ভারতে নিযুক্ত পাকিস্তানি রাষ্ট্রদূত দেশে ফিরে আসে এবং বড় ধরনের সামরিক সংঘাত এড়ানো সম্ভব হয় বলে দাবি করেছে চীনা সংবাদমাধ্যম। রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত এক কলামে বলা হয়, ভারত-পাকিস্তান বিবাদে কোনও পক্ষ নেবে না চীন।

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং

কাশ্মিরে ১৪ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) জইশ ই মোহাম্মদের আত্মস্বীকৃত আত্মঘাতী হামলায় পাকিস্তানকে দায়ী করে ২৬ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার) ভোর সাড়ে ৩টা নাগাদ ১২টি মিরাজ ২০০০ যুদ্ধবিমান নিয়ে পাকিস্তানের আকাশসীমায় ঢুকে পড়ে ভারত। তাদের দাবি, ওইদিন পাকিস্তানের জঙ্গি ঘাঁটি লক্ষ্য করে লেজার নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থার সাহায্যে ১০০০ কেজি বোমাবর্ষণ করা হয়েছে। পরদিন ২৭ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) বিদেশ সচিব বিজয় গোখলে সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন, ‘‘বালাকোটে জইশের সবথেকে বড় জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করেছে ভারত। জইশ-এ-মোহাম্মদের বহু জঙ্গি, সিনিয়র কমান্ডার, প্রশিক্ষক নিহত হয়েছে।’’ তবে পাকিস্তানের নিরাপত্তা বিভাগের বিবৃতিতে ভারতের দাবি উড়িয়ে দিয়ে বলা হয়, ‘আরও একবার ভারত সরকার স্বার্থপরতা ও কল্পনাপ্রসূত দাবি করেছে।’ ২৭ ফেব্রুয়ারি ভারতীয় বিমান ভূপাতিত করে এর পাইলটকে আটক করলেও এক পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সদিচ্ছায় তাকে মুক্তি দেয় পাকিস্তান। প্রধানমন্ত্রী ইমরানের পক্ষে দাবি করা হয়, সংলাপের স্বার্থে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বারবার চেষ্টা করেও টেলিফোনে কথা বলতে সমর্থ হননি তিনি। 

চীনের সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত কলামে বলা হয়. তাদের মূল উদ্দেশ্য দারিদ্র জর্জরিত ও পিছিয়ে থাকা কাশ্মিরের উন্নয়ন। এছাড়া ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা নিরসনে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করতেও রাজি তারা।

ভারতের অভিযোগ কাশ্মিরে হামলা চালানো গোষ্ঠী জইশ-ই মোহাম্মদকে  সমর্থন করছে চীন। এজন্যই জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে তাকে সন্ত্রাসী তালিকাভুক্ত করার ব্যাপারে সায় দেয়নি। তবে ভারতের এই দাবি উড়িয়ে দিয়েছে চীন। তারা জানায়, বিরোধপূর্ণ কাশ্মির অঞ্চলের পিছিয়ে থাকা চলবে না। তাদের উন্নয়ন ভারত-পাকিস্তানের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত। যদি দুই দেশ এগিয়ে আসে, তবে পারষ্পরিক বোঝাপড়া বাড়বে এবং শান্তিপূর্ণ সংলাপের ভিত্তি তৈরি হবে। বিশেষ করে চীনের সঙ্গে সন্ত্রাসবিরোধী কার্যক্রম আরও শক্তিশালী হবে তাদের।

কলামে বলা হয়, চীন এই বিবাদের কোনও পক্ষ নিবে না। বরং দুই দেশের সহিংস পরিস্থিতি ঠিক করার চেষ্টা করবে। চীন এই পরিস্থিতিতে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকাও পালন করতে পারে। চীন সন্ত্রাসীদের সমর্থন দিচ্ছে এই দোষারোপ ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’। অনেক ভারতীয় বিশেষজ্ঞ চীনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসীদের অব্যাহত সমর্থনের অভিযোগ এনেছেন। আর কয়েকজন বিশ্লেষক বলছেন, চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড প্রকল্প একটি ভূরাজনৈতিক হুমকি।

চীনের পক্ষ থেকে বলা হয়, এই অভিযোগের কোনও প্রমাণ নেই। ২৭ ফেব্রুয়ারি ভারত, চীন ও রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা এক বৈঠকে বসেন। সেখানে তারা সন্ত্রাসবাদ দমনের অঙ্গীকার করেন। চীন, পাকিস্তান ও ভারত সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে একইরকম অবস্থান নিয়েছে। ভারতের উচিত এসব ভিত্তিহীন অভিযোগ বন্ধ করা।  

/এমএইচ/
সম্পর্কিত
মিয়ানমারে বিদ্রোহী-নিয়ন্ত্রিত শহরে কোণঠাসা জান্তা
আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা চায় চীন ও ইন্দোনেশিয়া
ভারতীয় নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ২৯ মাওবাদী নিহত
সর্বশেষ খবর
ওঠানামা করছে মুরগির দাম, বাড়ছে সবজির
ওঠানামা করছে মুরগির দাম, বাড়ছে সবজির
শিশু হাসপাতালের আগুন নিয়ন্ত্রণে
শিশু হাসপাতালের আগুন নিয়ন্ত্রণে
দেয়ালের দেশ: মন খারাপ করা সিনেমা
সিনেমা সমালোচনাদেয়ালের দেশ: মন খারাপ করা সিনেমা
দুবাই হয়ে ট্রানজিট ফ্লাইট স্থগিত করলো এমিরেটস
দুবাই হয়ে ট্রানজিট ফ্লাইট স্থগিত করলো এমিরেটস
সর্বাধিক পঠিত
সয়াবিন তেলের দাম পুনর্নির্ধারণ করলো সরকার
সয়াবিন তেলের দাম পুনর্নির্ধারণ করলো সরকার
নিজ বাহিনীতে ফিরে গেলেন র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার মঈন
নিজ বাহিনীতে ফিরে গেলেন র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার মঈন
ডিএমপির ৬ কর্মকর্তার বদলি
ডিএমপির ৬ কর্মকর্তার বদলি
আমানত এখন ব্যাংকমুখী
আমানত এখন ব্যাংকমুখী
বৈধ পথে রেমিট্যান্স কম আসার ১০ কারণ
বৈধ পথে রেমিট্যান্স কম আসার ১০ কারণ