X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

রিয়াদ-আবুধাবিতে হামলার হুমকি ইয়েমেনি হুথিদের

বিদেশ ডেস্ক
১৭ মার্চ ২০১৯, ২৩:৫৭আপডেট : ১৮ মার্চ ২০১৯, ০৪:০৪
image

সৌদি আরবের রিয়াদ ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার হুমকি দিয়েছে ইয়েমেনের ইরান সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীরা। জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় হওয়া অস্ত্রবিরতি চুক্তির বাস্তবায়নে সহযোগিতা না করার অভিযোগে দেশ দুইটির বিরুদ্ধে এসেছে তাদের এই হুমকি। অন্যদিকে, সৌদি আরবের অভিযোগ, হুথিরাই চুক্তির শর্ত মানছে না। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের কাছে রিয়াদ ও আবুধাবিতে হামলা চালানোর মতো ক্ষেপণাস্ত্রের মজুত গড়ে তোলার দাবি করেছে হুথি সেনা কর্মকর্তা। রিয়াদ-আবুধাবিতে হামলার হুমকি ইয়েমেনি হুথিদের সৌদি আরব অভিযোগ করেছে, ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে স্টকহোমে স্বাক্ষরিত অস্ত্রবিরতি চুক্তিটির শর্ত মেনে চলছে না হুথি বিদ্রোহীরা। তাদের হুদেইদাহ ছেড়ে চলে যাওয়ার কথা। অন্যদিকে হুথিরা বলছে, তারা জাতিসংঘের কাছ থেকে আরও বেশি মাত্রার নিশ্চয়তা চায় এই মর্মে যে তারা যদি হুদেইদাহ ছেড়ে দেয় তাহলে সৌদি আরব তার অনৈতিক সুযোগ নেবে না।
হুদেইদাহতে জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় যে অস্ত্র বিরতি বাস্তবায়নের চেষ্টা চলছে তার প্রতি সমর্থন জানিয়ে হুথিদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, তাদের কাছে এমন ‘ক্ষেপণাস্ত্রের মজুত আছে’ যা দিয়ে তারা সৌদি আরব ও আরব আমিরাতে আঘাত হানতে সক্ষম। হুথি কর্নেল ইয়াহিয়া সারিয়ার ভাষ্য, ‘আমাদের কাছে গোয়েন্দা তথ্য আছে, শত্রুপক্ষ হুদেইদাহতে সংঘর্ষ বৃদ্ধির প্রস্তুতি নিচ্ছে। আমরা তাদের গতিবিধির ওপর কড়া নজর রাখছি। আমাদের বাহিনী যেকোনও পরিস্থিতিতে উপযুক্ত জবাব দেওয়ার জন্য প্রস্তুত।’ কর্নেল সেরিয়া বলেছেন, এই যুদ্ধে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত অস্ত্র। সৌদি আরবে হামলা চালাতে হলে এগুলোর মাধ্যমেই তা করতে হবে।
২০১৫ সালে ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট মনসুর হাদিকে উচ্ছেদ করে রাজধানী সানা দখলে নেয় ইরান সমর্থিত শিয়াপন্থী হুথি বিদ্রোহীরা। সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে পালিয়ে যান হাদি। ২০১৫ সালের মার্চে হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে মিত্রদের নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় সামরিক অভিযান শুরু করে সৌদি আরব।
লোহিত সাগরে অবস্থিত হুদেইদাহ বন্দরটি ইয়েমেনের সঙ্গে যোগাযোগের প্রধান পথ। বন্দরটি আক্রান্ত হলে লাখ লাখ ইয়েমেনির জন্য খাবার, জ্বালানি ও ওষুধ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাবে। কারণ এই বন্দরটি দিয়েই মানবিক সংকটে থাকা ইয়েমেনের ৮০ শতাংশ প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি করা হয়। জাতিসংঘের মতে, ইয়েমেন এখন বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মানবিক সংকট চলছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, দেশটির প্রায় ৮৪ লাখ মানুষ দুর্ভিক্ষের আশঙ্কায় আছে।  ২০১৫ সালের আগে ইয়েমেনের মানবিক সহায়তার ত্রাণ, খাবার ও জ্বালানির ৭০ শতাংশ আমদানি হতো হুদেইদাহ বন্দর দিয়ে। সৌদি আরব দাবি করে থাকে, হুথিরা এখনও ওই বন্দর দিয়ে প্রতিমাসে ৩ থেকে ৪ কোটি মার্কিন ডলার রাজস্ব আয় করে। এসব অর্থ তারা ইরান থেকে অস্ত্র কিনতে ব্যয় করে।

/এএমএ/
সম্পর্কিত
ইসরায়েলের আকরে শহরে হামলার দাবি করলো হিজবুল্লাহ
গাজার হাসপাতালে গণকবর, আতঙ্কিত জাতিসংঘ মানবাধিকার প্রধান
ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিতে গিয়ে অন্তত ৫ অভিবাসী নিহত
সর্বশেষ খবর
আগুন নেভাতে 'দেরি করে আসায়' ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে হামলা, দুই কর্মী আহত
আগুন নেভাতে 'দেরি করে আসায়' ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে হামলা, দুই কর্মী আহত
কুষ্টিয়ায় ৩ হাজার গাছ কাটার সিদ্ধান্ত স্থগিত
কুষ্টিয়ায় ৩ হাজার গাছ কাটার সিদ্ধান্ত স্থগিত
ট্রাকের চাপায় অটোরিকশার ২ যাত্রী নিহত
ট্রাকের চাপায় অটোরিকশার ২ যাত্রী নিহত
শেষ দিকে বৃথা গেলো চেষ্টা, ৪ রানে হেরেছে পাকিস্তান 
শেষ দিকে বৃথা গেলো চেষ্টা, ৪ রানে হেরেছে পাকিস্তান 
সর্বাধিক পঠিত
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা